Loading AI tools
২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা চলচ্চিত্র উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
লে ছক্কা ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত একটি বাংলা চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রে মুখ্য ভূমিকায় আছেন দেব, পায়েল সরকার এছাড়াও আছেন খরাজ মুখোপাধ্যায়, পদ্মমানব দাশগুপ্ত, ঋত্বিক চক্রবর্তী, লাবণী সরকার, দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ বসু, দীপংকর দে, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী সহ আরো অনেকে।[1] চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত।
লে ছক্কা | |
---|---|
পরিচালক | রাজ চক্রবর্তী |
প্রযোজক | শ্যাম আগরওয়াল,ও অশোক ধানুকা |
রচয়িতা | পদ্মানাভ দাশগুপ্ত |
শ্রেষ্ঠাংশে | দেব পায়েল সরকার খরাজ মুখোপাধ্যায় পদ্মমানব দাশগুপ্ত ঋত্বিক চক্রবর্তী লাবণী সরকার দেবযানী চট্টোপাধ্যায় বিশ্বনাথ বসু দীপংকর দে বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী অরিন্দম দত্ত |
সুরকার | ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত |
চিত্রগ্রাহক | সোমক মুখোপাধ্যায় |
প্রযোজনা কোম্পানি | শ্রীজন আর্টস এসকে মুভিজ |
মুক্তি | ১১ই জুলাই, ২০১০ |
স্থিতিকাল | ১২৮ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
নির্মাণব্যয় | ১.৫ কোটি টাকা |
আয় | ২ কোটি টাকা |
ভারতীয় ক্রিকেট বিষয়ক এই চলচ্চিত্রে আছে বন্ধুত্ব, ভালবাসা, ঘটি-বাঙাল প্রতিদ্বন্দিতা। ১১ই জুলাই, ২০১০ সালে[2] মুক্তিপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রটি বছরের অন্যতম ব্লকবাস্টার হয় এবং রাজ চক্রবর্তীকে একজন জনপ্রিয় পরিচালক হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে।
১১ বুলেট উত্তর কলকাতার একটি বাজে ক্রিকেট দল। এই দলের সবাই-ই প্রায় স্থানীয় এবং বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। চলচ্চিত্রটি ১১ বুলেট ও দক্ষিণ কলকাতার একটি ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়। আবীর (দেব) একাই ১১ বুলেটকে উড়িয়ে দেয়। ১১ বুলেটের খেলোয়াড়দের স্থানীয়রা তিরস্কার করে। ইতিমধ্যে আবীর-এর পরিবার দর্জিপাড়া নামক এক স্থানে বসবাস শুরু করে, যা ১১ বুলেটের এলাকায় পড়ে। যেহেতু এক বিরাট সাংষ্কৃতিক পার্থক্য রয়েছে, আবীর ঐ এলাকায় চলাচলে অস্বস্তি বোধ করে। আবীরদের পরিবারের সাথে তাদের প্রতিবেশীদের রোজই ঝগড়া হয়। একদিন আবীর জানতে পারে স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতা দর্জিপাড়ার তাদের পাশের বাড়িটি দখল করতে চায়। কিন্তু ঐ বাড়ির মালিক বাড়িটি বেঁচতে চায় না। আবীর স্থানীয়দেরকে বোঝায় যে প্রতিবাদ না করলে তারা বাঁচতে পারবে না। এভাবে স্থানীয়রা আবীর-এর ও আবীর স্থানীয়দের নিকটে চলে আসে।
এরই মধ্যে আবীর রাণীর পায়েল সরকার সাথে অন্তরঙ্গ হয়ে পড়ে, যা রাণীর বড় ভাই রজত (ঋত্বিক চক্রবর্তী) পছন্দ করে না। এদিকে শঙ্কর নামের ঐ রাজনৈতিক নেতার লোক রাণীর অবিবাহিত বড় বোন রত্নার সাথে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু পরে রত্না জানতে পারে শঙ্কর ভালবাসে রাণীকে, তাকে নয়। সে আত্মহত্যা করে। এদিকে নেতা দর্জিপাড়া দখল করতে এগিয়ে আসে। আবীর তাকে একটি ক্রিকেট ম্যাচের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়। সেই ম্যাচটিই ঠিক করবে দর্জিপাড়ার ভবিষ্যৎ। শেষে আবীর ও ১১ বুলেট সেই ম্যাচে জয়লাভ করে এবং পুরো দর্জিপাড়া এবং রাণীকে পায়।[1][3][4]
লে ছক্কা | |
---|---|
কর্তৃক সংগীত | |
মুক্তির তারিখ | ১৪ মে ২০১০ |
শব্দধারণের সময় | ২০১০ |
ঘরানা | চলচ্চিত্রের গান |
সঙ্গীত প্রকাশনী | ফাইভ স্টার |
এই চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। ১৪ই মে, ২০১০ সালে ভারতে সংগীত মুক্তি দেয়া হয়। চলচ্চিত্রের গান রচনা করেন প্রিয় চট্টোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায় এবং শ্রীজাত।[7]
মুক্তির পরপরই এই চলচ্চিত্রের গান অত্যন্ত জনপ্রিয় হয় এবং অনেকে একে দুর্দান্ত ও রকিং অ্যালবাম নামেও অভিহিত করে।
নং | গান | সংগীতশিল্পী | সময় (মিনিট:সেকেন্ড) | লেখা |
---|---|---|---|---|
১ | "উয়া উয়া রে" | শান, জুন বন্দ্যোপাধ্যায় | ৪:৫৬ | প্রিয় চট্টোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায় এবং শ্রীজাত |
২ | "শাব্বা রাব্বা রেবা রু" | কুনাল গঞ্জাওয়ালা, মোনালি ঠাকুর | ৫:০০ | প্রিয় চট্টোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায় এবং শ্রীজাত |
৩ | "আলী মওলা" | শ্রেয়া ঘোষাল, শান, শাহাদাব হোসেন | ৬:০৪ | প্রিয় চট্টোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায় এবং শ্রীজাত |
৪ | "একটা বিন্দাস পাড়া" | কুনাল গঞ্জাওয়ালা, শাহাদাব হোসেন, প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায় | ৪:৩৮ | প্রিয় চট্টোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায় এবং শ্রীজাত |
৫ | "লে ছক্কা" | কুনাল গঞ্জাওয়ালা প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায় | ৪:২৪ | প্রিয় চট্টোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায় এবং শ্রীজাত |
এই চলচ্চিত্রটি অত্যন্ত দর্শকপ্রিয়তা পায় ও ব্লকবাস্টার আখ্যা পায়। আইএমডিবি র্যাঙ্কিঙে ৫.২/১০ পায়।[8]
গোটা বাংলায় চলচ্চিত্রটি খুবই জনপ্রিয় হয়।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.