Loading AI tools
ভারতীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
রুদ্র প্রতাপ সিং (হিন্দি: रुद्र प्रताप सिंह; জন্ম: ৬ ডিসেম্বর, ১৯৮৫) উত্তরপ্রদেশের রাইবারেলি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী কোচ ও সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কাল থেকে ২০১০-এর দশকের শুরুরদিক পর্যন্ত ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
;ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রুদ্র প্রতাপ সিং | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | রাইবারেলি, উত্তরপ্রদেশ, ভারত | ৬ ডিসেম্বর ১৯৮৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৫২) | ২১ জানুয়ারি ২০০৬ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৮ আগস্ট ২০১১ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৬৫) | ৪ সেপ্টেম্বর ২০০৫ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৯ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ১৩) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭ বনাম স্কটল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ১৬ জুন ২০০৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৩ - ২০১৫ | উত্তরপ্রদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭ | লিচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮ - ২০১০ | ডেকান চার্জার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১ | কোচি তুস্কার্স কেরালা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২ | মুম্বই ইন্ডিয়ান্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩ | রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৫ - ২০১৮ | গুজরাত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৬ | রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৪ অক্টোবর ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে ডেকান চার্জার্স, ইন্ডিয়া এ, ভারত অনূর্ধ্ব-১৯, কোচি তুস্কার্স কেরালা, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান ক্রিকেট সংস্থা সভাপতি একাদশ, রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও উত্তরপ্রদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন।[১] এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন আর. পি. সিং।
২০০৩-০৪ মৌসুম থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আর. পি. সিংয়ের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। বামহাতি দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলার রুদ্র প্রতাপ সিং ২০০৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে সকলের পাদপ্রদীপে চলে আসেন। এ প্রতিযোগিতায় ২৪.৭৫ গড়ে আট উইকেট পান।[২] এছাড়াও, ইনিংসের শেষদিকের স্লগ ওভারগুলোয়ও তিনি বেশ ভালোমানের বোলিংশৈলী উপহার দেন।
নতুন বলকে উভয় দিক দিয়েই বোলিং করাতে পারতেন ও পুরনো বলকে রিভার্স সুইংয়ে দক্ষ ছিলেন। রঞ্জী ট্রফিতে উত্তরপ্রদেশের সদস্যরূপে ক্রমাগত সফলতার স্বাক্ষর রাখতে থাকেন।[৩] ২০১৫ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে গুজরাতে স্থানান্তরিত হন।
নিজের স্বর্ণালী দিনগুলোয় তার দৌঁড়ানোর ভঙ্গীমা নমনীয় ছিল। তার ইনসুইঙ্গারগুলো ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্যে বিভ্রান্তিকর ছিল। ২০০৩-০৪ মৌসুমে উত্তরপ্রদেশের পক্ষে রঞ্জী ট্রফির ছয় খেলায় অংশ নিয়ে ৩৪ উইকেট দখল করেন। এ সংখ্যাটি ঐ মৌসুমে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ ছিল।
২০০৭-০৮ মৌসুমে বেশ ভালো খেলেন। এরপর তিনি তার খেলার ছন্দ হারিয়ে ফেলতে থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০০৯ সালের আইপিএলে ২৩ উইকেট পান। ডেকান চার্জার্সের শিরোপা বিজয়ে মুখ্য ভূমিকা রাখেন। ২০১৩ সালের পর থেকে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেননি। তাসত্ত্বেও, ২০১৫-১৬ মৌসুমের সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফি প্রতিযোগিতায় শীর্ষ ১৫ উইকেট শিকারীর অন্যতম ছিলেন।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটেই তাকে সেরা খেলা প্রদর্শন করতে দেখা যায়। ৩০ বছর বয়সে ২০১৫-১৬ মৌসুমের বিজয় হাজারে প্রতিযোগিতায় গুজরাতের শিরোপা বিজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন।
২০০৬ সালে প্রথম-শ্রেণী ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ার দলের দ্বিতীয় বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে তার চুক্তিবদ্ধ হবার কথা ঘোষণা করা হয়।[৪] তবে, বিশ্বকাপে ভারত দলের দূর্বলমানের ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শনের পর অপ্রত্যাশিতভাবে তাকে দলে ফিরিয়ে আনা হয় ও কেবলমাত্র একটি খেলায় ভালোমানের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন তিনি।[৫]
২০১১ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ডেকান চার্জার্সের পক্ষে চুক্তিবদ্ধ হন। এরপর কোচি তুস্কার্সের পক্ষে খেলেন। এ আসরের দ্বিতীয় সংস্করণে তিনি বিরাটভাবে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীতে পরিণত হন। ১৬ খেলায় অংশ নিয়ে ২৩ উইকেট দখল করেন তিনি। ফলশ্রুতিতে, পার্পল ক্যাপ লাভ করেন।[৬] প্রতিযোগিতায় ডেকান চার্জার্স শিরোপা জয় করে। ২৪ মে, ২০০৯ তারিখে জোহেন্সবার্গে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত খেলায় তারা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে পরাজিত করে।[৭] ফলশ্রুতিতে, ২০০৯ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় ভারত দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৮]
২০১২ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়দের নিলামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পক্ষে খেলার জন্যে তাকে $৬০০,০০০ মার্কিন ডলারে খরিদ করা হয়।[৯] ২০১৩ সালে $৪০০,০০০ মার্কিন ডলারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর তাকে ক্রয় করে। ২০১৪ সালের নিলামে তিনি অবিক্রিত ছিলেন। তার ভিত্তি মূল্য ধার্য্য করা হয়েছিল ১ কোটি ভারতীয় রূপি। ২০১৬ সালের আইপিএলে রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের পক্ষে কয়েকটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চৌদ্দটি টেস্ট, আটান্নটি একদিনের আন্তর্জাতিক ও দশটি টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন আর. পি. সিং। ২১ জানুয়ারি, ২০০৬ তারিখে ফয়সালাবাদে স্বাগতিক পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৮ আগস্ট, ২০১১ তারিখে ওভালে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৫ সালে ওডিআই দলে খেলার জন্যে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ২০০৫ সালের শেষদিকে জাতীয় পর্যায়ে একদিনের দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেপ্টেম্বরে হারারেতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজস্ব তৃতীয় একদিনের আন্তর্জাতিকের দ্বিতীয় ওভারে দুই উইকেট লাভ করেন। খেলায় চার উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আরও তিন উইকেট পান। ৯ নভেম্বর, ২০০৫ তারিখে রাজকূটে সিরিজের ৬ষ্ঠ ওডিআইয়ে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলকে ১৯৬ রানে গুটিয়ে ফেলতে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। ব্যাটিং উপযোগী উইকেটে সুইং বলে গুরুত্বপূর্ণ ৪ উইকেট দখল করেন। তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৮.৫-২-৩৫-৪। এভাবেই তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে তার পদচারণ ঘটান।[১০]
২০০৬ সালে পাকিস্তান গমনার্থে তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফয়সালাবাদে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। পাকিস্তানের সংগ্রহ ৫৮৮ রান হলেও তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছিলেন। খেলায় তিনি পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন।[১১]
২০০৫-০৬ মৌসুমে মুলতানে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ওডিআইয়ে চার উইকেট পান ও দলকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে নিয়ে যান। এ খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার প্রাপ্ত হন।[১২] ভারত দল ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে। নিজস্ব প্রথম ১১টি ওডিআইয়ে তিনবার ম্যান অব দ্য ম্যাচের অধিকারী হন।
উন্নততর মিতব্যয়ী বোলিংয়ের কারণে এস. শ্রীশান্তের তুলনায় তাকে এগিয়ে রেখে দল নির্বাচকমণ্ডলী ২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাকে দলে রাখে।[১৩] কিন্তু, তিনি দূর্বল খেলা প্রদর্শন করেন। ফলশ্রুতিতে, দল থেকে তাকে বাইরে রাখা হয়।
ইংল্যান্ড গমনার্থে ভারতীয় টেস্ট দলে আর. পি. সিংকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বেশ ভালো খেলা উপহার দেন। লর্ডস টেস্টে ৫/৫৯ পান। এটিই তার টেস্টে প্রথমবারের মতো পাঁচ-উইকেট লাভ করা ছিল।[১৪] একদিনের সিরিজে পাঁচ খেলায় অংশ নিয়ে ৩১.৭১ গড়ে সাত উইকেট লাভ করেন।[১৫]
সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় ভারতের পক্ষে খেলার জন্যে আর. পি. সিংকে মনোনীত করা হয়।[১৬] ঐ প্রতিযোগিতায় খেলেন তিনি। ১৯৮৩ সালের পর ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ বিজয়ে অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর মর্যাদাপ্রাপ্ত হন তিনি। ৭ খেলায় ১২.৬৬ গড়ে ১২ উইকেট দখল করেন।[১৭] চূড়ান্ত খেলায় পাকিস্তানকে পরাভূত করে ১২-জাতির ঐ প্রতিযোগিতায় শিরোপা লাভ করে তার দল।[১৮] সুপার-৮ পর্বের শেষ খেলায় ৪ ওভারে ৪/১৩ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে স্বাগতিক দলকে প্রতিযোগিতা থেকে বিতাড়িত করেন তিনি। এটিই তার সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিল।[১৯]
এরপর, নিজ দেশে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের বিপক্ষে একদিনের সিরিজ খেলার জন্যে মনোনীত হন। উভয় সিরিজেই অংশ নিয়ে সর্বমোট ১১ উইকেট লাভ করেন।[২০][২১]
এক বছর পর পার্থ টেস্টে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলকে পরাজিত করতে উজ্জ্বীবিত বোলিং করেন। ১৯৮৫ সালে তৎকালীন বিশ্ব পরাশক্তি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে পরাজিত হবার পর ঐ মাঠে দলটি কোন টেস্টে পরাজিত হয়নি।
তিন বছর দলের বাইরে অবস্থানের পর ২০১১ সালে ওভাল টেস্টে তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ৩৪ ওভার বোলিং করেও তিনি সাফল্য পাননি। ঐ গ্রীষ্মের পর তাকে আর ভারত দলে খেলতে দেখা যায়নি। এ পর্যায়ে তিনি ১৪ টেস্ট, ৫৮টি ওডিআই ও ১০টি টি২০আইয়ে অংশ নেন।
আগস্ট, ২০১১ সালে ইংল্যান্ডে সফররত ভারতীয় দলে তাকে পরবর্তীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিন বছর পর তার এ অন্তর্ভূক্তি জহির খানের পায়ের আঘাত লাভের ফলে ঘটে।[২২] সিরিজের চার টেস্টে অংশগ্রহণ করেন আর. পি. সিং। প্রথম ওভারের প্রথম চারটি বলই লেগ সাইড দিয়ে চলে যায়। এক পর্যায়ে তাকে ক্লাব বোলার হিসেবে দেখাচ্ছিল। তিনি পেস বেশ কমিয়ে দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে নিয়ে আসেন। ফলে, ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের কাছে তিনি সমীহের পাত্রে পরিণত হননি।
স্যার ইয়ান বোথাম এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন যে, টেস্ট ক্রিকেটে উদ্বোধনী ওভারটি তার দেখা অন্যতম বাজে ওভার ছিল। সুনীল গাভাস্কারও শারীরিকভাবে অনুপযুক্ত অবস্থায় তাকে দলে অন্তর্ভূক্তিতে সমালোচনায় মুখর হন। ক্রিকেটবোদ্ধাসহ সাবেক ক্রিকেটারদের অভিমত, ভারতীয় অধিনায়ক এমএস ধোনি’র সাথে তার শখ্যতার কারণেই দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তিনি।
সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সালে সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে নিজের অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন আর. পি. সিং।[২৩]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.