উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
অপরাজিত (ইংরেজি: Not out) ক্রিকেটের পরিভাষাবিশেষ। যখন একজন ব্যাটসম্যান ব্যাট হাতে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে এসে আউট না হয়ে খেলা শেষ করেন, তখন তিনি অপরাজিত ব্যাটসম্যানরূপে অভিহিত হন।[2] একইভাবে যখন খেলা চলাকালীন অবস্থায় সাময়িক বিরতি থাকে, তখনও অপরাজিত শব্দটি ব্যবহার করা হয়। প্রায়শই অপরাজিত ব্যাটসম্যানের রানের পার্শ্বে তারকা (*) চিহ্ন প্রদর্শিত হয়। যেমন: সাকিব আল হাসান - ৯৯*। এছাড়াও, বোলার কর্তৃক একজন ব্যাটসম্যানের আউটের আবেদন আম্পায়ার কর্তৃক বাতিল হলে ব্যাটসম্যান অপরাজিত হিসেবে বিবেচিত হন।
ক্রিকেট খেলায় প্রত্যেক দলের প্রতিটি ইনিংসে কমপক্ষে একজন ব্যাটসম্যান অপরাজিত থাকেন। খেলোয়াড়ের সংখ্যা ১১ জন হলেও আউট হন ১০ জন। কিন্তু একাদশ বা সর্বশেষ ব্যাটসম্যান সঙ্গীর অভাবে ব্যাটিং করতে পারেন না। টেস্ট ক্রিকেটে ডিক্লেয়ারজনিত কারণে কিংবা একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওভারের সীমাবদ্ধতা কিংবা নিজ দল কর্তৃক প্রতিপক্ষের রানকে অতিক্রম করার মাধ্যমে জয়ী হলে ব্যাটিংয়ে অংশগ্রহণকারী দুইজন ব্যাটসম্যানই অপরাজিত থাকেন। ব্যাটিং অর্ডার অনুযায়ী অন্য খেলোয়াড়দের মাঠে প্রবেশ করার প্রয়োজন না পড়লে তারা ডিড নট ব্যাট বা ব্যাটিং করেননি শব্দগুচ্ছ তাদের নামের পার্শ্বে লিপিবদ্ধ হয়। অপরদিকে ক্রিজে থেকে কোন বলের মোকাবেলা না করলেও ব্যাটসম্যান অপরাজিত থেকে যান। আঘাতপ্রাপ্তিতে কোন ক্রিকেটার মাঠের বাইরে চলে গেলে রিটায়ার্ড হার্ট কিন্তু অপরাজিত থাকেন। আঘাতবিহীন অবস্থায় কোন ব্যাটসম্যান অবসর নিলে তিনি রিটায়ার্ড আউট হন।
একজন ব্যাটসম্যানের রানের গড় নির্ধারিত হয় তার আউট সংখ্যার মাধ্যমে। যিনি প্রায়শঃই অপরাজিত থাকেন, তুলনামূলকভাবে তার ব্যাটিং গড় বেশি হয়।[3] মাইকেল বেভান তার খেলোয়াড়ী জীবনে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬৭ বার অপরাজিত থেকেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে জেমস অ্যান্ডারসন ও কোর্টনি ওয়ালশ তাদের খেলোয়াড়ী জীবনে সর্বাধিক ৬১ ইনিংসে অপরাজিত থেকেছেন যথাক্রমে ১২২ ও ১৩২টি খেলায় অংশগ্রহণ করে। ১৯৫৩ সালে অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান বিল জনস্টন ইংল্যান্ড সফরে ব্যাটিং গড়ে শীর্ষস্থান অধিকার করেছিলেন।[3]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.