Loading AI tools
স্পেনীয় ফুটবলার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সের্হিও বুস্কেৎস বুর্গোস (স্পেনীয়: Sergio Busquets Burgos, স্পেনীয় উচ্চারণ: [ˈserxjo βusˈkets], কাতালান উচ্চারণ: [βusˈkɛts]; জন্ম ১৬ জুলাই ১৯৮৮) একজন স্পেনীয় ফুটবলার যিনি মেজর লিগ সকার দল ইন্টার মায়ামি ফুটবল ক্লাবের হয়ে রক্ষণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সের্হিও বুস্কেৎস বুর্গোস | ||
জন্ম | [1] | ১৬ জুলাই ১৯৮৮||
জন্ম স্থান | সাবাদেয়, স্পেন[1] | ||
উচ্চতা | ১.৮৯ মিটার (৬ ফুট ২+১⁄২ ইঞ্চি)[1] | ||
মাঠে অবস্থান | রক্ষণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | ইন্টার মায়ামি | ||
জার্সি নম্বর | ৫ | ||
যুব পর্যায় | |||
১৯৯৫–১৯৯৬ | সিডি বাদিয়া | ||
১৯৯৬–১৯৯৯ | বারবেরা আন্দালুসিয়া | ||
১৯৯৯–২০০৩ | লেইদা | ||
২০০৩–২০০৫ | ইউনিও জাবাক | ||
২০০৫–২০০৭ | বার্সেলোনা | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০৬ | বার্সেলোনা সি | ১ | (০) |
২০০৭–২০০৮ | বার্সেলোনা বি | ২৫ | (২) |
২০০৮–২০২৩ | বার্সেলোনা | ৪৮১ | (১১) |
২০২৩– | ইন্টার মায়ামি | ০ | (০) |
জাতীয় দল | |||
২০০৮–২০০৯ | স্পেন অনূর্ধ্ব ২১ | ৩ | (১) |
২০০৯–২০২২ | স্পেন | ১৪৩ | (২) |
২০০৮–২০২২ | কাতালুনিয়া | ৮ | (০) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ২০ মে ২০২৩ তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। |
সের্হিও বুস্কেৎস ২০০৮ সালে যখন বার্সেলোনার মূল দলে খেলার সুযোগ পান এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি নিজেকে দলের একজন অপরিহার্য খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। এর এক বছর পরেই তিনি স্পেন জাতীয় দলে ডাক পান। তিনি ২০১০ বিশ্বকাপ এবং ইউরো ২০১২ জয়ী স্পেন দলের সদস্য ছিলেন। স্পেন জাতীয় দলের হয়ে ১৫ বছরে ১৪৩ টি ম্যাচ খেলার পর ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সের্হিও বুস্কেৎস আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেন।
বুসকেটস বার্সেলোনার সাবাদেল শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৫ সালে তিনি বার্সেলোনার যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগ দেন। বার্সেলোনায় নিজের দ্বিতীয় মৌসুমে তিনি জুভেনিল এ দলের হয়ে খেলেন এবং ২৬ খেলায় ৭ গোল করেন। দুই বছর পর, তিনি পেপ গার্দিওলার অধীনে বি দলে সুযোগ পান। ঐ মৌসুমে বার্সেলোনার মূল দলেও তার অভিষেক হয়, কাতালুনিয়া কাপের একটি খেলায় তিনি বদলি হিসেবে নামেন।
২০০৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, রেসিং সান্তান্দেরের বিপক্ষে লা লিগায় তার অভিষেক হয়। তিনি পুরো ৯০ মিনিট খেলেন এবং খেলাটি ১–১ গোলে ড্র হয়।[2] ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর, বাসেলের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের খেলায় তিনি বার্সেলোনার হয়ে তার প্রথম গোল করেন। খেলায় ৫–০ গোলে বার্সেলোনা জয় লাভ করে।[3] ডিসেম্বরে, এফসি শাখতার দোনেত্স্ক-এর বিপক্ষে তিনি বার্সেলোনার হয়ে তার দ্বিতীয় গোল করেন। যদিও ঘরের মাঠে খেলাটিতে বার্সা ২–৩ গোলে পরাজিত হয়।[4]
২০০৮ সালের ২২ ডিসেম্বর, বুস্কেৎস্ বার্সেলোনার সাথে ২০১৩ সাল পর্যন্ত চুক্তি সাক্ষর করেন।[5][6] ২০০৯ সালের ৭ মার্চ, বুস্কেৎস্ লা লিগায় তার প্রথম গোল করেন। ঘরের মাঠে অ্যাথলেতিক বিলবাও-এর বিপক্ষে ঐ খেলায় বার্সেলোনা ২–০ গোলে জয় লাভ করে। ২৭ মে, চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে তিনি প্রথম একাদশে জায়গা পান। খেলায় বার্সেলোনা ২–০ গোলে জয় লাভ করে।[7] এই জয়ের মাধ্যমে কার্লেস এবং সের্হিও বুস্কেৎস্ তৃতীয় পিতা এবং পুত্র সমন্বয়ে পরিণত হন, যারা একই দলের হয়ে ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা জিতেছেন। এর আগে এই কৃতিত্ব গড়েছিলেন ম্যানুয়েল স্যানচেস মার্তিনেজ ও ম্যানুয়েল স্যানচেস হনতিউয়েলু (রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে) এবং সিজার মালদিনি ও পাওলো মালদিনি (এসি মিলানের হয়ে)।
বুস্কেৎস্’র দূর্দান্ত ফর্ম ২০০৯–১০ মৌসুমেও বজায় ছিল।[8][9] গার্দিওলা ইয়াইয়া তরের চেয়ে তাকেই বেশি পছন্দ করতেন।
২০১০ সালের ২৮ এপ্রিল, চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে খেলায় থিয়াগো মোত্তা বুস্কেৎস্’র মুখে কনুই দ্বারা আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।[10] এজন্য থিয়াগো মোত্তাকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান রেফারি, ফলে তাকে মাঠ ছাড়তে হয়। দৃশ্যত আঘাতের অভিনয় করার জন্য পরবর্তীকালে, বুস্কেৎস্ মিডিয়ার সমালোচনার মুখে পড়েন।[10][11][12]
২০১০–১১ মৌসুমে বার্সেলোনায় বুস্কেৎস্ সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হিসেবেও খেলেন। ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি, তিনি বার্সেলোনার সাথে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চুক্তি সাক্ষর করেন।[13] ৮ মার্চ, চ্যাম্পিয়নস লিগের রাউন্ড অব ১৬-এর আর্সেনালের বিপক্ষে খেলায় সেন্টার ব্যাক হিসেবে খেলার সময় তিনি ওন গোল করে বসেন এবং আর্সেনালকে ১–১ সমতায় নিয়ে আসেন। অবশ্য খেলায় বার্সেলোনা ৩–১ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে এবং কোয়ার্টার ফাইনালে পৌছায় (দুই লেগ মিলিয়ে গোল ব্যবধান ৪–৩)।[14]
২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল, চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে চেলসির বিপক্ষে বুস্কেৎস্ একটি বিরল প্রকৃতির গোল করেন। আইজ্যাক কুয়েঙ্কার ক্রস থেকে সহজ টোকায় বল জালে জড়ান এবং দলকে ১–০ গোলে এগিয়ে নিয়ে যান। অবশ্য খেলাটি ২–২ গোলে ড্র হয় এবং বার্সেলোনা দুই লেগ মিলিয়ে ৩–২ গোল ব্যবধানে পরাজিত হয়ে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেয়।[15]
বুস্কেটসের ২৫তম জন্মদিনে বার্সেলোনা ঘোষণা করে যে তারা বুস্কেটসের সাথে চুক্তি নবায়ন বিষয়ে একমত হয়েছেন। ২০১৩ সালের ২৭ আগস্ট, তিনি এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যার মেয়াদ ২০১৮ সাল পর্যন্ত।[16]
২০০৮ সালের ১১ অক্টোবর, ২০০৯ উয়েফা ইউরোপীয়ান অনূর্ধ্ব-২১ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বের প্লে-অফের প্রথম লেগের খেলায় সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে স্পেনের অনূর্ধ্ব-২১ দলে বুস্কেৎস্’র অভিষেক হয়। খেলার ১৭তম মিনিটেই তিনি গোল করেন, কিন্তু শের্ষ পর্যন্ত সুইজারল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দল ১–২ ব্যবধানে জয় লাভ করে। অবশ্য দ্বিতীয় লেগের খেলায় স্পেন অনূর্ধ্ব-২১ দল ঘুরে দাড়ায় এবং দুই লেগ মিলিয়ে ৪–৩ গোল ব্যবধানে তারা জয় লাভ করে।
“আমি যদি একজন খেলোয়াড় হতাম, তাহলে বুস্কেৎস্’র মত হতে চাইতাম।”
— ভিসেন্তে দেল বস্ক, জুন ২০১০[17]
২০০৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি প্রীতি খেলার জন্য তিনি সিনিয়র দলে ডাক পান।[18] অবশেষে ২০০৯ সালের ১ এপ্রিল, তুরস্কের বিপক্ষে ২০১০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের খেলায় স্পেনের হয়ে তার অভিষক হয়। দ্বিতীয়ার্ধ শেষ হওয়ার ১৬ মিনিট আগে ডেভিড সিলভার বদলি হিসেবে তিনি মাঠে নামেন। খেলায় স্পেন ২–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে।
স্পেন জাতীয় দলের ম্যানেজার ভিসেন্তে দেল বস্ক তাকে ২০১০ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা দেন। বুস্কেৎস্ সবগুলো খেলাতেই স্পেনের হয়ে মাঠে নামেন।
ক্লাব | মৌসুম | লীগ | কাপ | ইউরোপ | অন্যান্য[21] | মোট | |||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | ||
বার্সেলোনা বি | ২০০৭–০৮ | ২৩ | ২ | — | ২৩ | ২ | |||||
২০০৮–০৯ | ২ | ০ | — | ২ | ০ | ||||||
মোট | ২৫ | ২ | — | ২৫ | ২ | ||||||
বার্সেলোনা | ২০০৮–০৯ | ২৪ | ১ | ৯ | ০ | ৮ | ২ | — | ৪১ | ৩ | |
২০০৯–১০ | ৩৩ | ০ | ৪ | ০ | ১০ | ০ | ৫ | ১ | ৫২ | ১ | |
২০১০–১১ | ২৮ | ১ | ৫ | ০ | ১২ | ০ | ১ | ০ | ৪৬ | ১ | |
২০১১–১২ | ৩১ | ১ | ৮ | ০ | ১০ | ১ | ৩ | ০ | ৫২ | ২ | |
২০১২–১৩ | ৩১ | ১ | ৪ | ০ | ৮ | ০ | ২ | ০ | ৪৫ | ১ | |
২০১৩–১৪ | ১৪ | ১ | ১ | ০ | ৫ | ১ | ২ | ০ | ২২ | ২ | |
২০১৪–১৫ | ৩৩ | ১ | ৪ | ০ | ১০ | ০ | — | ৪৭ | ১ | ||
২০১৫–১৬ | ৩৫ | ০ | ৫ | ০ | ৯ | ০ | ৪ | ০ | ৫৩ | ০ | |
২০১৬–১৭ | ৩৩ | ০ | ৫ | ০ | ৮ | ০ | ২ | ০ | ৪৮ | ০ | |
২০১৭–১৮ | ৩১ | ১ | ৭ | ০ | ১০ | ০ | ২ | ০ | ৫০ | ১ | |
২০১৮–১৯ | ৩৫ | ০ | ৬ | ০ | ১২ | ০ | ১ | ০ | ৫৪ | ০ | |
২০১৯–২০ | ৩৩ | ২ | ২ | ০ | ৭ | ০ | ১ | ০ | ৪৩ | ২ | |
২০২০–২১ | ৩৬ | ০ | ৬ | ০ | ৬ | ০ | ২ | ০ | ৫০ | ০ | |
২০২১–২২ | ৩৬ | ২ | ২ | ০ | ১২ | ১ | ১ | ০ | ৫১ | ৩ | |
২০২২–২৩ | ২৯ | ০ | ৫ | ০ | ৫ | ০ | ২ | ০ | ৪১ | ০ | |
মোট | ৪৮০ | ১১ | ৭৭ | ১ | ১৩৬ | ৫ | ২৮ | ১ | ৭২১ | ১৮ | |
সর্বমোট | ৫০৫ | ১৩ | ৭৭ | ১ | ১৩৬ | ৫ | ২৮ | ১ | ৭৪৬ | ২০ |
বুস্কেটসের বাবা কার্লেসও একজন ফুটবলার ছিলেন। তিনি ১৯৯০-এর দশকে বার্সেলোনার হয়ে গোলরক্ষক হিসেবে কিছু খেলায় মাঠে নামেন।[24]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.