Loading AI tools
যবক্ষারজান উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
নাইট্রোজেন একটি মৌল বা মৌলিক পদার্থ যার বাংলা নাম যবক্ষারজান। লিকুইড নাইট্রোজেনের তাপমাত্রা মাইনাস ১৯৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস (–195⁰) । এই মৌলিক পদার্থের প্রতীক N ও পারমাণবিক সংখ্যা ৭।, বিশুদ্ধ নাইট্রোজেন স্বাভাবিক অবস্থায় বর্ণহীন, গন্ধহীন ও স্বাদবিহীন। নাইট্রোজেন একটি নিষ্ক্রিয় ধরনের দ্বিপরমাণুক গ্যাস। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আয়তনের হিসাবে নাইট্রোজেনের পরিমাণ ৭৮.০৯ শতাংশ।এর যোজনী ৩,৫(উদাহরণ N3H[৩])। যোজনী ইলেকট্রন ৫৷
উপস্থিতি | বর্ণহীন গ্যাস, তরল অথবা কঠিন | ||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
আদর্শ পারমাণবিক ভরAr°(N) | |||||||||||||||||||||||||||||||||
পর্যায় সারণিতে নাইট্রোজেন | |||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||
পারমাণবিক সংখ্যা | ৭ | ||||||||||||||||||||||||||||||||
মৌলের শ্রেণী | অধাতু | ||||||||||||||||||||||||||||||||
গ্রুপ | গ্রুপ ১৫; (নিকটোজেন) | ||||||||||||||||||||||||||||||||
পর্যায় | পর্যায় ২ | ||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্লক | পি-ব্লক | ||||||||||||||||||||||||||||||||
ইলেকট্রন বিন্যাস | [He] ২s২ ২p৩ | ||||||||||||||||||||||||||||||||
প্রতিটি কক্ষপথে ইলেকট্রন সংখ্যা | 2, 5 | ||||||||||||||||||||||||||||||||
ভৌত বৈশিষ্ট্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||
দশা | গ্যাস | ||||||||||||||||||||||||||||||||
গলনাঙ্ক | 63.15 কে (-210.00 °সে, -346.00 °ফা) | ||||||||||||||||||||||||||||||||
স্ফুটনাঙ্ক | 77.36 K (-195.79 °সে, -320.33 °ফা) | ||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘনত্ব | 1.251 গ্রা/লি (০ °সে-এ, ১০১.৩২৫ kPa) | ||||||||||||||||||||||||||||||||
তরলের ঘনত্ব | b.p.: 0.808 g·cm−৩ | ||||||||||||||||||||||||||||||||
ত্রৈধ বিন্দু | 63.1526 কে, 12.53 kPa | ||||||||||||||||||||||||||||||||
পরম বিন্দু | 126.19 কে, 3.3978 MPa | ||||||||||||||||||||||||||||||||
ফিউশনের এনথালপি | (N2) 0.72 kJ·mol−১ | ||||||||||||||||||||||||||||||||
বাষ্পীভবনের এনথালপি | (N2) 5.56 kJ·mol−১ | ||||||||||||||||||||||||||||||||
তাপ ধারকত্ব | (N2) 29.124 J·mol−১·K−১ | ||||||||||||||||||||||||||||||||
বাষ্প চাপ
| |||||||||||||||||||||||||||||||||
পারমাণবিক বৈশিষ্ট্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||
জারণ অবস্থা | 5, 4, 3, 2, 1, -1, -2, -3 strongly acidic oxide | ||||||||||||||||||||||||||||||||
তড়িৎ-চুম্বকত্ব | 3.04 (পলিং স্কেল) | ||||||||||||||||||||||||||||||||
আয়নীকরণ বিভব | (আরও) | ||||||||||||||||||||||||||||||||
সমযোজী ব্যাসার্ধ | 71±1 pm | ||||||||||||||||||||||||||||||||
ভ্যান ডার ওয়ালস ব্যাসার্ধ | 155 pm | ||||||||||||||||||||||||||||||||
বিবিধ | |||||||||||||||||||||||||||||||||
কেলাসের গঠন | hexagonal | ||||||||||||||||||||||||||||||||
শব্দের দ্রুতি | (gas, 27 °C) 353 m·s−১ | ||||||||||||||||||||||||||||||||
তাপীয় পরিবাহিতা | 25.83 × 10−3 W·m−১·K−১ | ||||||||||||||||||||||||||||||||
চুম্বকত্ব | diamagnetic | ||||||||||||||||||||||||||||||||
ক্যাস নিবন্ধন সংখ্যা | 7727-37-9 | ||||||||||||||||||||||||||||||||
নাইট্রোজেনের আইসোটোপ | |||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||
নাইট্রোজেন প্রথম আবিষ্কার করেন রাদারফোর্ড ১৭৭২ সালে।
১৭৭২ খ্রিষ্টাব্দে স্কটিশ পদার্থবিদ ড্যানিয়েল রাদারফোর্ড এটিকে বায়ু থেকে আলাদা করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। তিনি এর নাম দেন নক্সাস এয়ার বা ফিক্সড এয়ার।[৪][৫] রাদারফোর্ড বুঝতে পারেন যে এটি বাতাসের একটি উপাদান এবং এটি দহন বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না।
নাইট্রোজেন একটি অধাতু, যার তড়িৎ ঋণাত্মকতা ৩.০৪।[৬]
নাইট্রোজেন পরমাণুর বহিস্থ কক্ষপথে ৫টি ইলেক্ট্রন বিদ্যমান এ কারণে অধিকাংশ যৌগে এটি ত্রিযোজী। নাট্রোজেন অণুতে (N
2) বিদ্যমান ত্রিবন্ধন শক্তিশালী বন্ধনসমুহের মধ্যে একটি। ফলে (N
2) অণুকে অন্যান্য যৌগে পরিণত করা বেশ কষ্টসাধ্য এবং অন্যান্য নাইট্রোজেনের বিভিন্ন যৌগ থেকে N
2 উৎপাদন সহজসাধ্য।
এক বায়ুমণ্ডলীয় চাপে ৭৭ K (−১৯৫.৭৯ °C) নাট্রোজেন ঘনীভূত হলে তরলে রূপ পরিগ্রহণ করে এবং ৬৩ K (−২১০.০১ °C) তাপমাত্রায় কঠিন স্ফটিকে পরিণত হয়।[৭]
অতি উচ্চ চাপ (১.১ মিলিয়ন বায়ুচাপে) এবং উচ্চ তাপমাত্রায় (২০০০ K) নাইট্রোজেন পলিমারকরণ প্রকৃয়ায় একক বন্ধনবিশিষ্ট ঘনকআকৃতির গশে স্ফটিকের পরিগ্রহ করে। তখন একে হীরার মতো দেখায়। এটি তখন হীরার মতোই শক্ত সমযোজী বন্ধন যুক্ত। এ কারণে একে নাইট্রোজেন ডায়মন্ড বলা হয়ে থাকে।[৮]
নাইট্রোজেনের প্রধান হাইড্রাইড হল অ্যামোনিয়া (NH3); আয়নিত অবস্থায় অ্যামোনিয়া মূলত অ্যামোনিয়ামরুপে বিদ্যমান থাকে। হাইড্রাজিন (N2H4) হল নাইট্রোজেনের অপর হাইড্রাইড যা সব চাইতে বেশি ব্যবহৃত হয়। অ্যামোনিয়া পানির চেয়ে ছয় গুন বেশি ক্ষারীয়।
সাধারণ অবস্থায় নাইট্রোজেন তেমন কোন বিক্রিয়া দেখায় না, এটি কার্যত একটি নিষ্ক্রিয় গ্যাসের মতো আচরণ করে। প্রকৃতপক্ষে নাইট্রোজেনের অণুতে দুটি নাইট্রোজেন পরমাণুর মধ্যে ত্রিবন্ধন অত্যন্ত শক্তিশালী,তাই এর বন্ধন বিয়োজন এনথ্যালপির মান উচ্চ (941.4 kJ/mol)।তবে উচ্চ তাপমাত্রার শর্তে ইহা সক্রিয় ধাতু,অধাতু এবং অ্যালুমিনা,ক্যালসিয়াম কার্বাইড প্রভৃতি যৌগের সঙ্গে বিক্রিয়া করে।
নাইট্রোজেনের বহুবিধ ব্যবহার আছে। নিষ্ক্রীয় বিধায় এটি বাতাসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয় যেখানে জারণ বিক্রিয়া এড়ানো প্রয়োজন। শস্যাগারে শস্য মজুদ রাখতে,ভেসেলে,সিল করা প্যাকেটের মধ্যে নাইট্রোজেন গ্যাসের পূর্ণ থাকে।
ড্রাই আইসের মত তরল নাইট্রোজেনের প্রধান ব্যবহার হিমায়ক হিসেবে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.