চার্ল উইলোবি
দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
চার্ল মাইলস উইলোবি (ইংরেজি: Charl Willoughby; জন্ম: ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭৪) কেপ টাউন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের সূচনালগ্নে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
![]() ২০১০ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে চার্ল উইলোবি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | চার্ল মাইলস উইলোবি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কেপ টাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা | ৩ ডিসেম্বর ১৯৭৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮৮ মিটার (৬ ফুট ২ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৯০) | ২৪ এপ্রিল ২০০৩ বনাম বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৪ জুলাই ২০০৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৬০) | ২৮ মার্চ ২০০০ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৪ এপ্রিল ২০০৩ বনাম বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৪ - ২০০০ | বোল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০০ - ২০০৫ | ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৫ | লিচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৫ - ২০০৭ | কেপ কোবরাস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৬ - ২০১১ | সমারসেট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২ | কেপ কোবরাস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২ | এসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১ ডিসেম্বর ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে বোল্যান্ড, কেপ কোবরাস ও ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্স, লিচেস্টারশায়ার ও সমারসেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন চার্ল উইলোবি।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
উইন্ডনর প্রাইমারি স্কুলে অধ্যয়ন শেষে ওয়েনবার্গ বয়েজ হাই স্কুলে পড়াশুনো করেন। এরপর স্টেলেনবোস বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছিলেন তিনি।
ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে বোল্যান্ড ও ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষে খেলার পর দুই মৌসুম কেপ কোবরাস দলের পক্ষে খেলেন। এছাড়াও, ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ২০০৫ সালে এক মৌসুম লিচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলেন। পরবর্তীতে, ২০০৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সমারসেট ও ২০১২ সালে এসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেন।
১৯৯৪-৯৫ মৌসুম থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত চার্ল উইলোবি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। এক পর্যায়ে তাকে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণে মূল্যবান সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তবে, মাঝে-মধ্যেই তাকে বলের বৈচিত্র্যতা আনয়ণে বেশ হিমশিম খেতে হতো। দীর্ঘকায় চার্ল উইলোবির নিখুঁতমানের পেস ও সুইং সহযোগে বামহাতি বোলিং যে-কোন দলের অধিনায়কের জন্যে বেশ কার্যকর শক্তিতে পরিণত হতে পারতো।
বোল্যান্ড অধ্যায়
সারাংশ
প্রসঙ্গ
অক্টোবর, ১৯৯৪ সালে বোল্যান্ডের সদস্যরূপে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের বিপক্ষে একদিনের ক্রিকেটে প্রথম খেলেন। বোলিং উদ্বোধনে নেমে খেলায় ১/৪৪ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। মিকি আর্থারের উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।[১] এর দুই সপ্তাহ পর ট্রান্সভালের বিপক্ষে তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষক হয়। প্রথম ইনিংসে তিন উইকেট পান। ড্র হওয়া ঐ খেলার দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি আরও দুই উইকেট পেয়েছিলেন।[২] প্রথম মৌসুম শেষে ৩৫.৭৩ গড়ে ১৫টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি।[৩]
১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে চমৎকার ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলের সদস্যরূপে তিনি সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশের বিপক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের প্রথম খেলায় তেমন সুবিধে করতে পারেননি তিনি। তবে, বোল্যান্ডের সদস্যরূপে পরবর্তী খেলায় আবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশের মুখোমুখি হয়েছিলেন। প্রথমবারের মতো পাঁচ-উইকেট লাভের কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন। তন্মধ্যে, ব্রায়ান লারা তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। ঐ ইনিংসে তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৫/৬০।[৪] ঐ মৌসুম শেষে ৩৬টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পান। সংখ্যার দিক দিয়ে এটি পূর্ববর্তী গ্রীষ্মের তুলনায় দ্বিগুণ ছিল।[৩]
১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে ইংল্যান্ডের ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নেয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলের সদস্যরূপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমনের জন্যে মনোনীত হন। সেখানে তিনি বার্বাডোসের বিপক্ষে দুইটি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের বিপক্ষে চারটি খেলায় অংশ নেন। ২০০০-০১ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সে যোগ দেন। সেখানে তিনি ২০০৪-০৫ মৌসুম শেষ হবার পর কেপ কোবরাসে যোগ দেন।
ফেব্রুয়ারি, ২০০৩ সালে বাদ-বাকী একাদশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলের সদস্যরূপে প্রত্যেকটি একদিনের খেলায় তিন উইকেট করে লাভ করেছিলেন। ফলশ্রুতিতে, বাংলাদেশ গমনার্থে তাকে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্ট ও তিনটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন চার্ল উইলোবি। ২৪ এপ্রিল, ২০০৩ তারিখে চট্টগ্রামে স্বাগতিক বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২৪ জুলাই, ২০০৩ তারিখে বার্মিংহামে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
প্রাদেশিক ক্রিকেটে ছয় বছর অতিক্রান্ত হবার পর ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সদস্যরূপে শারজাহ গমন করেন। ঐ মৌসুমের শেষদিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। কোকাকোলা শারজাহ কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার প্রথম খেলায় বোলিং উদ্বোধনে নামেন তিনি। দুই উইকেট পেলেও তার দল ৬৫ রানে পরাজিত হয়।[৫] সম্ভাব্য পাঁচটি খেলার মধ্যে মাত্র একটিতে তার অংশগ্রহণ ছিল। মৃতপ্রায় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২/৩৯ পান।
তবে, ২০০০-০১ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলের সদস্যরূপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পূর্ব-পর্যন্ত আর কোন খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাননি তিনি। তিনি এ সুযোগ নিয়ে তিনটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় ২৪.৩০ গড়ে দশ উইকেট পান। অভিষেকের পর খুব দ্রুত টেস্ট অঙ্গন থেকে সিঁটকে পড়েন।
টেস্ট অভিষেক
বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ২০০৩ সালের টিভিএস কাপের একদিনের আন্তর্জাতিক দলে তাকে রাখা হয়। ঐ প্রতিযোগিতার দুই খেলায় অংশ নিলেও কোন উইকেটের সন্ধান পাননি। এরপর থেকে তাকে আর দক্ষিণ আফ্রিকার ওডিআই দলে খেলতে দেখা যায়নি।[৬] ঐ একই সফরে তার টেস্ট অভিষক পর্ব সম্পন্ন হয়। এপ্রিল, ২০০৩ সালে সিরিজে প্রথম টেস্টে মোহাম্মদ আশরাফুলের একমাত্র উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি।[৭]
ইংল্যান্ড গমনার্থেও তাকে টেস্ট দলে রাখা হয়। তিনটি প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশ নেন। এজবাস্টনে ড্র হওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। প্রথম ইনিংসে ২০ ওভার বোলিং করে কোন উইকেট না পাওয়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক গ্রেইম স্মিথ তাকে বোলিংয়ের জন্যে আমন্ত্রণ জানাননি।[৮]
কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ
২০০৫ সালে ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ার ও ২০০৬ সাল থেকে কোলপ্যাক নিয়মের আওতায় সমারসেটের পক্ষে খেলতে থাকেন। ২০১৬ সালে সমারসেটের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীতে পরিণত হন। ২৫-এর অল্প বেশি গড়ে ৬৬ উইকেট লাভ করেন তিনি। এ মৌসুমে ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ৪৭ রানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন ও গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ৭/৪৪ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন তিনি।
এছাড়াও, ২০০৭ সালে ধারাবাহিক ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছেন। এ মৌসুমেই সমারসেট দল কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের প্রথম বিভাগে উত্তরণ ঘটায়। পাশাপাশি, ন্যাটওয়েস্ট প্রো৪০ প্রতিযোগিতার শিরোপাধারী হয়। নভেম্বর, ২০১১ সালে ঘোষণা করা হয় যে, তিনি দুই বছরের চুক্তিতে এসেক্সে যোগদান করছেন।[৯]
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.