২০২১ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ
সাফ চ্যাম্পিয়নশপের ১৩তম আসর উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সাফ চ্যাম্পিয়নশপের ১৩তম আসর উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
২০২১ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ (এছাড়াও পৃষ্ঠপোষকজনিত কারণে উরিদু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২১ নামে পরিচিত)[১][২][৩] দক্ষিণ এশীয় ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা আয়োজিত আন্তর্জাতিক পর্যায়ের দক্ষিণ এশীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ১৩তম আসর, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল সংস্থা সাফের অন্তর্ভুক্ত ৫টি জাতীয় ফুটবল দল (পুরুষ) প্রতিযোগিতা করে। এই আসরটি ২০২১ সালের ১লা অক্টোবর হতে ১৬ই অক্টোবর পর্যন্ত মালদ্বীপের মালেতে অনুষ্ঠিত হয়।[৪]
বিবরণ | |
---|---|
স্বাগতিক দেশ | মালদ্বীপ |
শহর | মালে |
তারিখ | ১–১৬ অক্টোবর ২০২১ |
দল | ৫ (১টি উপ-কনফেডারেশন থেকে) |
মাঠ | ১ (১টি আয়োজক শহরে) |
চূড়ান্ত অবস্থান | |
চ্যাম্পিয়ন | ভারত (৮ম শিরোপা) |
রানার-আপ | নেপাল |
পরিসংখ্যান | |
ম্যাচ | ১১ |
গোল সংখ্যা | ২২ (ম্যাচ প্রতি ২টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | সুনীল ছেত্রী (৫টি গোল) |
সেরা খেলোয়াড় | সুনীল ছেত্রী |
ফেয়ার প্লে পুরস্কার | মালদ্বীপ |
এই প্রতিযোগিতাটি ২০২০ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারির কারণে এই প্রতিযোগিতাটি এক বছর পিছিয়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল।[৫][৬][৭] অতঃপর বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারির অবনতির কারণে সাফ জানায় যে, প্রতিযোগিতাটি ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত হবে।[৮][৯] এই আসরের সবগুলো ম্যাচ আয়োজন করার পাশাপাশি ফাইনাল আয়োজনের মাধ্যমে মালদ্বীপের মালেতে অবস্থিত মালদ্বীপ জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়াম সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনাল ম্যাচের আয়োজন করে। এই আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়।
মালদ্বীপ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০১৮ সালে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করে।[১০][১১] ১৬ই অক্টোবর তারিখে মালের মালদ্বীপ জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে, ভারত নেপালকে ৩–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে অষ্টমবারের মতো শিরোপা জয়লাভ করে।[১২][১৩][১৪][১৫]
২০১৮ সালে ১১শে এপ্রিল তারিখে, সাফ ফিফা কর্তৃক পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের সদস্যপদ পুনরুদ্ধারের পর পাকিস্তানকে ২০২১ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল; এটি সদস্যপদ বরখাস্ত হওয়ার পর পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা ছিল।[১৬][১৭][১৮] ২০১৯ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর তারিখে সাফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলালসহ সাত সদস্যের এক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এই আসরটি আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এটি এমনকি জোড় বছরগুলোতে অনুষ্ঠিত শেষ আসর হওয়ার কথা ছিল, কেননা সাফ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে এই আসরের পর থেকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ বিজোড় বছরগুলোতে অনুষ্ঠিত হবে।[১৯][২০]
তবে দক্ষিণ এশিয়ায় কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারির কারণে এই আসর ২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিল[২১] এবং ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আয়োজন করার কথা ছিল।[২২] পরবর্তীকালে কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারি এবং পৃষ্ঠপোষকের অভাবে বাংলাদেশ আয়োজকের পদ থেকে সরে আসে।[২৩][২৪] অতঃপর নেপালের প্রধানমন্ত্রী খড়্গ প্রসাদ শর্মা ওলী অখিল নেপাল ফুটবল সংঘকে (এএনএফএ) নেপালে এই আসরটি আয়োজনের প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছিলেন।[২৫] জুলাই মাসে এএনএফএ এই আসরটি আয়োজনের প্রস্তাব পেয়েছিল।[২৬][২৭] এদিকে, মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন আসরটি আয়োজনের জন্য তাদের দরপত্র জমা দিয়েছিল।[২৮][২৯] ২০২১ সালের ৯ই আগস্ট তারিখে নির্বাহী পরিষদের অনলাইন বৈঠকের পর মালদ্বীপকে স্বাগতিক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।[৮][৯]
২০২১ সালের এপ্রিল মাসে, ফিফা কর্তৃক পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনকে বরখাস্ত করেছিল, যার ফলে পাকিস্তান এই আসরে অংশগ্রহণে অযোগ্য ছিল।[৩০] ভুটান সরকার ভুটান জাতীয় দলকে বিদেশে ভ্রমণের অনুমতি না দেওয়ায় তাদেরও এই আসরে অংশগ্রহণে অনিশ্চয়তা ছিল।[৩১][৩২] অতঃপর ২০২১ সালের ১৮ই আগস্ট এই আসরের সময়সূচী প্রকাশের মাধ্যমে আসরে ভুটানের অংশগ্রহণ না করা নিশ্চিত হয়েছে।[৩৩]
২০২১ সালের ১৮ই আগস্ট তারিখে সাফ এই আসরের ম্যাচ আয়োজনের জন্য মালের মালদ্বীপ জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামের নাম ঘোষণা করেছিল, যেখানে এই আসরের সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মাঠে ইতিপূর্বে ২০১৪ এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের গ্রুপ পর্বের ৬টি ম্যাচসহ সেমি-ফাইনাল, তৃতীয় স্থান নির্ধারণী এবং ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
মালে | |
---|---|
জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়াম | |
ধারণক্ষমতা: ১১,৮৫০[৩৪] | |
২০২১ সালের ৯ই আগস্ট তারিখে, সাফ এই আসরের সময়সূচী ঘোষণা করেছিল এবং পরবর্তীতে তা সংশোধন করা হয়। ফিফা কর্তৃক পাকিস্তানের বরখাস্ত এবং ভুটানের প্রত্যাহারের পর, এই আসরের ম্যাচগুলো মূল বিন্যাস গ্রুপ এবং নকআউট পর্বের পরিবর্তে গ্রুপ পর্বের একক রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং গ্রুপ পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে।[৩৫]
এই প্রতিযোগিতায় ১৫ জন খেলোয়াড় ১১টি ম্যাচে ২২টি গোল করেছেন, যা ম্যাচ প্রতি গড়ে ২টি গোল।
৫টি গোল
৩টি গোল
২টি গোল
১টি গোল
উৎস: সকারওয়ে[৩৬]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.