Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপের বি-গ্রুপের খেলাগুলো ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ, ২০১৫ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। গ্রুপটিতে সহঃ স্বাগতিক দেশ নিউজিল্যান্ডে ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল একে-অপরের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার এই পর্বে সাতটি দল রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে খেলে। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ - শীর্ষস্থানীয় চার দল কোয়ার্টার ফাইনালে এ-গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় চার দলের মুখোমুখি হবে। এরফলে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও প্রত্যেক দলই কমপক্ষে ছয়টি খেলায় অংশ নিতে পেরেছে।[১]
অব | দল | খেলা | জ | হা | টাই | ফহ | পয়েন্ট | নে.রা.রে. | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ভারত | ৬ | ৬ | ০ | ০ | ০ | ১২ | +১.৮২৭ | নক-আউট পর্বে উন্নীত |
২ | দক্ষিণ আফ্রিকা | ৬ | ৪ | ২ | ০ | ০ | ৮ | +১.৭০৭ | |
৩ | পাকিস্তান | ৬ | ৪ | ২ | ০ | ০ | ৮ | −০.০৮৫ | |
৪ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ৬ | ৩ | ৩ | ০ | ০ | ৬ | −০.০৫৩ | |
৫ | আয়ারল্যান্ড | ৬ | ৩ | ৩ | ০ | ০ | ৬ | −০.৯৩৩ | |
৬ | জিম্বাবুয়ে | ৬ | ১ | ৫ | ০ | ০ | ২ | −০.৫২৭ | |
৭ | সংযুক্ত আরব আমিরাত | ৬ | ০ | ৬ | ০ | ০ | ০ | −২.০৩২ |
ব |
||
একদিনের আন্তর্জাতিকে ইতিহাসে ৫ম উইকেট জুটিতে ডেভিড মিলার ও জেপি ডুমিনি অবিচ্ছিন্নভাবে সর্বোচ্চ ২৫৬* রানের নতুন রেকর্ড গড়েন।[২]
ব |
||
ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ম ওভারে রোহিত শর্মা’র (১৪) উইকেট পড়ে। ২য় উইকেটে শিখর ধাওয়ান (৭৩)-বিরাট কোহলি (১০৭) ১২৯ রানে জুটি গড়েন। ৩য় উইকেটে সুরেশ রায়না-বিরাট কোহলি ১১০ রান তোলেন। শেষ ৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৭ রান তোলে ভারত ৩০০ রানে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষ করে। রবীন্দ্র জাদেজা, এমএস ধোনি ও অজিঙ্কা রাহানেকে ধারাবাহিকভাবে আউট করে পাকিস্তান দলগত হ্যাট্রিক করে। তারা যথাক্রমে ওয়াহাব রিয়াজ ও সোহেল খানের শিকারে পরিণত হন। ক্রিকেট বিশ্বকাপের ৬ষ্ঠ মোকাবেলায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত অপরাজিত অবস্থায় থাকে।
ব |
||
আয়ারল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। ৩১/২ থেকে ৮৭/৫-এ পরিণত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। ৬ষ্ঠ উইকেটে লেন্ডল সিমন্স-ড্যারেন স্যামি ১৫৪ রানের জুটি গড়ে দলকে ৫০ ওভারে ৩০৪/৭ নিয়ে যান। বিশাল রানকে তাড়া করতে গিয়ে ৭১ রানে আয়ারল্যান্ডের ১ম উইকেটের পতন ঘটে। পল স্টার্লিং-এড জয়েস ২য় উইকেটে ১০৬ রানে জুটি গড়েন। নায়ল ও’ব্রায়ান ৬০ বলে অপরাজিত ৭৯ রান তোলে চার ওভারেরও বেশি বল বাকী থাকতে দলকে ৪ উইকেটের জয় এনে দেন। এরফলে ক্রিকেট বিশ্বকাপে টেস্টখেলুড়ে দলের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের চতুর্থ জয়লাভ।[৩]
ব |
||
সংযুক্ত আরব আমিরাত দল একদিনের আন্তর্জাতিকে তাদের সর্বোচ্চ ইনিংস গড়ে।[৪]
ব |
||
পাকিস্তান দল তাদের একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে ব্যাটিং করে। দলটি মাত্র ১ রানে ৪ উইকেট হারায়।[৫] ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল একদিনের আন্তর্জাতিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় পায়।[৬]
ব |
||
শিখর ধাওয়ান একদিনের আন্তর্জাতিকে তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান তোলেন। ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়লাভ করে ভারত দল।[৭][৮] দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সকে দলের ধীরগতিতে বোলিংয়ের কারণে ম্যাচ ফি'র ২০% জরিমানা করা হয়। অন্যান্য খেলোয়াড়দেরকে একই কারণে ম্যাচ ফি'র ২০% জরিমানা করা হয়।[৯]
ব |
||
প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিস গেইল বিশ্বকাপের ইতিহাসে ও প্রথম অ-ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিকে দ্বি-শতক হাঁকান।[১০] এছাড়াও গেইলের দ্বি-শতক একদিনের আন্তর্জাতিকে দ্রুততম।[১১] ১৬ ছক্কা মেরে রোহিত শর্মা ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের সাথে একদিনের আন্তর্জাতিকে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডে ভাগ বসান গেইল।[১২] মারলন স্যামুয়েলসের সাথে ৩৭২ রানের জুটি গড়ে একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে যে-কোন উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন।[১৩] ব্রায়ান লারা'র পর দ্বিতীয় ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান হিসেবে ক্রিস গেইল একদিনের আন্তর্জাতিকে ৯,০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।[১৪]
ব |
||
বিশ্বকাপের কোন খেলায় প্রথম আমিরাতি ক্রিকেটার হিসেবে সাইমন আনোয়ার সেঞ্চুরি করেন।[১৫] সাইমন আনোয়ার ও আমজাদ জাভেদ বিশ্বকাপের ইতিহাসে ৭ম উইকেট জুটিতে ১০৩-রানের জুটি গড়েন।[১৫]
ব |
||
এবি ডি ভিলিয়ার্স একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে দ্রুততম ১৫০ রান সংগ্রহ করেন মাত্র ৬৪ বল মোকাবেলা করে।[১৬] এছাড়াও এটি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি।[১৭] শেষ ৫ ওভারে তিনি ৭৩ রান তোলেন যা এ সময়ের যে-কোন ব্যাটসম্যানের মধ্যে সর্বাধিক।[১৭] ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডার ১০৪ রান দেন যা বিশ্বকাপের যে-কোন বোলারের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও তিনি একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে ধারাবাহিকভাবে দুই ওভারে সবচেয়ে বেশি রান দেন।[১৭] ২৫৭ রানের ব্যবধানে জয়ী হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা দল ২০০৭ সালে বারমুদার বিপক্ষে জয়ী ভারত দলের সমকক্ষ হয়।[১৮]
ব |
||
ব |
||
পাকিস্তানের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপের কোন খেলায় ওয়াহাব রিয়াজ অর্ধ-শতকসহ ৪ উইকেট লাভ করেন।[১৯]
ব |
||
একদিনের আন্তর্জাতিকে প্রথম দল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ধারাবাহিকভাবে দুই ইনিংসে ৪০০ রান সংগ্রহ করে। ৪১১/৪ বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান।[২০] হাশিম আমলা ও ফাফ দু প্লেসিস একদিনের আন্তর্জাতিকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ২৪৭ রানের সর্বোচ্চ রান তোলেন।[২১]
ব |
||
পাকিস্তানের পক্ষে চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে শহীদ আফ্রিদি একদিনের আন্তর্জাতিকে ৮,০০০ রান সংগ্রহ করেন।[২২]
ব |
||
বিশ্বকপে ভারত ধারাবাহিকভাবে অষ্টম জয় পায় যা তাদের দীর্ঘতম জয়ের ধারায় যৌথভাবে অবস্থান করে।[২৪]
ব |
||
বৃষ্টির কারণে প্রত্যকে দলের ইনিংস ৪৭ ওভার নির্ধারণ করা হয়। ফলে ডি/এল পদ্ধতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২৩২ নির্ধারিত হয়। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে পাকিস্তান দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করে।
ব |
||
ব |
||
খেলার ফলাফলে ভারত বি গ্রুপে শীর্ষস্থান দখল করে।[২৬] পাশাপাশি বিশ্বকাপে ধারাবাহিকভাবে ৯ম জয় পায়।[২৭]
ব |
||
এবি ডি ভিলিয়ার্স বর্তমানে যে-কোন বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় সর্বাধিক ২০ ছক্কা মেরে রেকর্ড গড়েন। এছাড়াও সকল বিশ্বকাপে সর্বাধিক ছক্কা (৩৬) হাঁকান।[২৯]
ব |
||
বিশ্বকাপে ভারতের পক্ষে ৫ম উইকেট জুটিতে সুরেশ রায়না-মহেন্দ্র সিং ধোনি অপরাজিত ১৯৬* রানের সর্বোচ্চ জুটি গড়েন।
ব |
||
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাইমন আনোয়ার বিশ্বকাপে সহযোগী দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হন। আমজাদ জাভেদ ও নাসির আজিজ বিশ্বকাপে ৭ম উইকেটে ১০৭-রানের নতুন রেকর্ড গড়েন। এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষে টেস্টভূক্ত দলের বিপক্ষে যে-কোন উইকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন।[৩০]
ব |
||
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.