শেওড়াফুলি–বিষ্ণুপুর শাখা রেলপথ

পশ্চিমবঙ্গের একটি রেলপথ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

শেওড়াফুলি–বিষ্ণুপুর শাখা রেলপথ

শেওড়াফুলি—বিষ্ণুপুর শাখা রেলপথ হল হাওড়া—বর্ধমান প্রধান রেলপথের শেওড়াফুলিগোঘাট রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে সংযোগকারী রেলপথ। এই ৩৯ কিলোমিটার (২৪ মাইল) দীর্ঘ রেলপথ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার মধ্যে প্রসারিত। শেওড়াফুলি হাওড়া স্টেশন থেকে ২৩ কিলোমিটার (১৪ মাইল) দূরে অবস্থিত। এটি কলকাতা শহরতলি রেল ব্যবস্থার অংশ।

দ্রুত তথ্য শেওড়াফুলি—বিষ্ণুপুর শাখা রেলপথ, সংক্ষিপ্ত বিবরণ ...
শেওড়াফুলি—বিষ্ণুপুর শাখা রেলপথ
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
স্থিতিকার্যকর
মালিকভারতীয় রেল
অঞ্চলপশ্চিমবঙ্গ, ভারত
বিরতিস্থল
স্টেশন
পরিষেবা
ব্যবস্থাবৈদ্যুতিক
পরিচালকপূর্ব রেল
ইতিহাস
চালু১৮৮৫; ১৪০ বছর আগে (1885)
কারিগরি তথ্য
রেলপথের দৈর্ঘ্য৩৯ কিমি (২৪ মা)
ট্র্যাক গেজভারতীয় গেজ (১,৬৭৬ মিলিমিটার ( ফুট  ইঞ্চি))
চালন গতি১০০ কিমি/ঘ (৬২ মাইল প্রতি ঘণ্টা) পর্যন্ত
যাত্রাপথের মানচিত্র

কিমি
১১৯
বিষ্ণুপুর
১১১
বীরসামুন্ডা হল্ট
১০২
গোকুলনগর জয়পুর
৯৬
ময়নাপুর
00
অংশ
নির্মাণাধীন
৮৯
বড়গোপীনাথপুর
৮০
জয়রামবাটি
৭৬
কামারপুকুর
৭০
গোঘাট
কালীপুর সেতু
দ্বারকেস্বর নদের উপর
পাঁশকুড়ার দিকে
হাওড়া–খড়গপুর রেলপথে
ঘাটাল
ইরফলা
বোয়াইচণ্ডীর দিকে
বাঁকুড়া–মসাগ্রাম রেলপথে
(নির্মাণাধীন)
৬০
আরামবাগ পিসি সেন
৫১
মায়াপুর
৪৫
টাকিপুর হল্ট
ফুরফুরা শরীফ
বরগাছিয়ার দিকে
সাঁতরাগাছি–আমতা শাখা রেলপথে
(প্রস্তাবিত)
জঙ্গীপাড়া
চাঁপাডাঙা
৪০
তালপুর হল্ট
৩৫
তারকেশ্বর
ধনেখালির দিকে
হাওড়া–বর্ধমান কর্ডে
(নির্মাণাধীন)
৩৩
লোকনাথ
২৮
বাহিরখণ্ড
২৫
কৈকলা
২২
হরিপাল
২০
মালিয়া
১৭
নালিকুল
১৩
কামারকুণ্ডু
১১
সিঙ্গুর
নসিবপুর
দিয়ারা
বৈদ্যবাটী খাল
শেওড়াফুলি
হাওড়া–বর্ধমান
প্রধান রেলপথ
কিমি
উৎস:

[] [] [] []

বন্ধ

ইতিহাস

১৮৮৫ সালের ১ জানুয়ারি শেওড়াফুলিতারকেশ্বর ব্রাঞ্চ লাইনটি চালু করে তারকেশ্বর রেলওয়ে কোম্পানি (ইংরেজি: Tarakessur Railway Company)। ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোম্পানি এই পথে রেল চালাত।[][][] ১৯১৫ সালে তারকেশ্বর রেল কোম্পানিকে অধিগ্রহণ করে নেয় ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোম্পানি।[]

১৯১৭ সালে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন চালু হয়। এই লাইনটি কামারকুন্ডু রেল স্টেশনে শেওড়াফু্লিতারকেশ্বর ব্রাঞ্চ লাইনকে ক্রস করে।[]

১৮৮৫ সালে বেঙ্গল প্রভিন্সিয়াল রেলওয়ে তারকেশ্বরমগরা ন্যারোগেজ রেল চালু করে। এই লাইনটি ১৯৫৬ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০০৯-১০ সালে রেল বাজেটে তারকেশ্বর—মগরা রেলপথের সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।[]

বৈদ্যুতীকরণ

১৯৫৭ সালে শেওড়াফুলি—তারকেশ্বর ব্রাঞ্চ লাইনটির প্রথম ৩,০০০ ভোল্ট ডিসি ব্যবস্থায় বৈদ্যুতীকরণ করা হয়। এরপর রেল এসি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে ১৯৬৭ সালে লাইনটি ২৫ কেভি এসি ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করা হয়।[১০] বৈদ্যুতীকরণের পর এই লাইনে ইএমইউ চালু হয়।

তারকেশ্বর–বিষ্ণুপুর সম্প্রসারণ

Thumb
প্রস্তাবিত শেওড়াফুলি–বিষ্ণুপুর শাখা রেলপথের মানচিত্র

১৯৯৯–২০০০ সালে তারকেশ্বর–বিষ্ণুপুর প্রকল্পটির প্রস্তাব পাস হয়। কিন্তু পরবর্তী এক দশকে এই প্রকল্পের কাজ বিশেষ এগোয়নি। ২০০৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী হওয়ার পর এই কাজ আবার শুরু হয়।[১১] ২০০৩ সালে পূর্ব রেল এই প্রকল্পের বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছিল। প্রস্তাবিত সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক লাইনটি তিন ভাগে বিভক্ত ছিল: তারকেশ্বর—আরামবাগ (২৬ কিলোমিটার), আরামবাগ—কোদাবাড়ি (১৬ কিলোমিটার) ও কোদাবাড়ি—বিষ্ণুপুর (৪৪ কিলোমিটার)।[১২]

২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল তারকেশ্বর–তালপুর অংশে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।[১৩] ২০১২ সালের ৪ জুন তালপুকুর—আরামবাগ লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।[১৪]

লাইন উদ্বোধন করার সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আরামবাগ রেল স্টেশনটি পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের নামে ও মায়াপুর রেল স্টেশনটি রামমোহন রায়ের নামে নামাঙ্কিত হবে।[১৫]

ওভারহেড বৈদ্যুতীকরণ না থাকায় রেল প্রথম দিকে ডিজেল-ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট (ডেমু) ট্রেন চালাত।[১৪] ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রেলমন্ত্রী মুকুল রায় তারকেশ্বর পর্যন্ত বৈদ্যুতিক লাইন উদ্বোধন করেন।

২০০৯-১০ সালের রেল বাজেটে বিষ্ণুপুর বিষ্ণুপুর–গোকুলনগর সেক্টরের সম্পূর্ণ হওয়ার উল্লেখ আছে।[]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.