দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মিত্র শক্তি (ইংরেজি ভাষায়: Allies, ফরাসি ভাষায়: Alliés, চীনা ভাষায়: 同盟國/同盟国 (Tóngméngguó), রাশিয়ান ভাষায়: Антигитлеровская коалиция) বলতে সেসব দেশকে নির্দেশ করা হয়, যারা অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫) সময় প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।[১] মিত্রশক্তির দেশগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল প্রত্যক্ষভাবে অক্ষশক্তির আগ্রাসনের কারণে অথবা অক্ষশক্তি কর্তৃক আক্রান্ত হতে পারে এমন ভয়ের কারণে।[২] ১৯৪১ সালের পরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সোভিয়েত ইউনিয়ন এই তিন রাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দ, যারা একত্রে (“বৃহৎ তিন” নামে পরিচিত ছিল), এবং চীন মিত্র শক্তি গঠন করে।[৩] পরবর্তীতে বৃহৎ রাষ্ট্র ফ্রান্সও মিত্রশক্তিতে যোগ দেয়।[৩][৪] এছাড়া আরও যে সব রাষ্ট্র মিত্র শক্তিতে যোগ দেয় তারা হল অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, কানাডা, চেকোস্লাভিয়া, ইথিওপিয়া, গ্রীস, ভারত, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, ফিলিপাইন কমনওয়েলথ, পোল্যান্ড এবং যুগোস্লাভিয়া।[৫] ১৯৪১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্কলিন ডিলানো রুজভেল্ট মিত্রশক্তিকে জাতিসংঘ নামে প্রচার করেন। তিনি বৃহৎ তিন ( যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ) এবং চীনকে একসাথে ট্রাস্টিশিপ অব পাওয়ারফুল নামে অভিহিত করেন, পরে যা ফোর পুলিশম্যান নামে পরিচিতি পায়।[৬] পরবর্তীতে ১৯৪২ সালে একটি ঘোষণার মাধমে বর্তমান জাতিসংঘের গোড়াপত্তন হয়।[৭] ১৯৪৫ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে পটসডাম সন্মেলনে রুজভেল্ট প্রস্তাব করেন চীন, সোভিয়েত ইউনিয়ন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইউরোপের রাষ্ট্রসমূহে শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠার রূপরেখা প্রণয়ন করবে। যার মাধ্যমে পরবর্তীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রী পরিষদ গঠিত হয়।[৮]
মিত্রশক্তি ঘোষণার সারাংশ
তৎকালীন জাতিসংঘের ৫১ সদস্যের পূর্ণ তালিকা:
জার্মানি কর্তৃক পোল্যান্ড আক্রান্ত হবার পর
- পোল্যান্ড: ১ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯
- অস্ট্রেলিয়া: ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯
- ফ্রান্স: ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ [৯]
- ভারত: ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ [১০][১১][১২][১৩]
- নিউজিল্যান্ড: ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯
- যুক্তরাজ্য: ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯
- দক্ষিণ আফ্রিকা: ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯
- কানাডা: ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯
- ডেনমার্ক: ৯ এপ্রিল ১৯৪০ [১৪]
- নরওয়ে: ৯ এপ্রিল ১৯৪০
ফোনি যুদ্ধের পর
- বেলজিয়াম: ১০ মে ১৯৪০
- লুক্সেমবুর্গ: ১০ মে ১৯৪০
- নেদারল্যান্ডস: ১০ মে ১৯৪০
- মিশর: ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৪০ [১৫][১৬]
- গ্ৰীস: ২৮ অক্টোবর ১৯৪০
- যুগোশ্লাভিয়া: ৬ এপ্রিল ১৯৪১ [১৭]
সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণের পর
- সোভিয়েত ইউনিয়ন: ২২ জুন ১৯৪১ (cooperated with Axis during Invasion of Poland)
- টুভান: ২৫ জুন ১৯৪১[১৮] (annexed by Soviet Union in ১৯৪৪)
- মঙ্গোলিয়া: ৯ আগস্ট ১৯৪১
পার্ল হারবার আক্রমণের পর
- পানামা: ৭ ডিসেম্বর ১৯৪১
- কোস্টা রিকা: ৮ ডিসেম্বর ১৯৪১
- ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র: ৮ ডিসেম্বর ১৯৪১
- এল সালভাদোর: ৮ ডিসেম্বর ১৯৪১
- হাইতি: ৮ ডিসেম্বর ১৯৪১
- হন্ডুরাস: ৮ ডিসেম্বর ১৯৪১
- নিকারাগুয়া: ৮ ডিসেম্বর ১৯৪১
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ৮ ডিসেম্বর ১৯৪১
- প্রজাতন্ত্রী চীন: ৯ ডিসেম্বর ১৯৪১ [১৯]
- গুয়াতেমালা: ৯ ডিসেম্বর ১৯৪১
- কিউবা: ৯ ডিসেম্বর ১৯৪১
- ফিলিপাইন: ৯ ডিসেম্বর ১৯৪১ [১১][১২][১৩][২০]
- চেকোস্লোভাকিয়া: ১৬ ডিসেম্বর ১৯৪১ [২১]
জাতিসংঘ তৈরি হবার পর
ডি-ডে এর পর
- ইকুয়েডর: ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫
- প্যারাগুয়ে: ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫
- উরুগুয়ে: ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫
- ভেনেজুয়েলা: ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫
- তুরস্ক: ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫
- লেবানন: ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫
- সিরিয়া: ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫
- সৌদি আরব: ১ মার্চ ১৯৪৫
- আর্জেন্টিনা: ২৭ মার্চ ১৯৪৫
- চিলি: ১১ এপ্রিল ১৯৪৫
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.