Remove ads
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বেঞ্জামিন উইলিয়াম হিলফেনহস (/ˈhɪlfənhaʊs/; জন্ম: ১৫ মার্চ, ১৯৮৩) তাসমানিয়া অঙ্গরাজ্যের আলভারস্টোন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলার পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটে তাসমানিয়ার হয়ে খেলছেন। ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়ার বোলার হিসেবে বলকে সুইং করানোয় পারদর্শী তিনি। ক্লাব ক্রিকেটে তাসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট ক্লাবে খেলছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | বেঞ্জামিন উইলিয়াম হিলফেনহস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | আলভারস্টোন, তাসমানিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ১৫ মার্চ ১৯৮৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | হিলফি, জেন্টল বেন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১৮৬ সে.মি.[১] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪০৭) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৪ ডিসেম্বর ২০১২ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৬১) | ১৪ জানুয়ারি ২০০৭ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৫ মার্চ ২০১২ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৫-বর্তমান | তাসমানিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১-বর্তমান | হোবার্ট হারিকেন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১-বর্তমান | চেন্নাই সুপার কিংস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: CricketArchive, 29 July 2013 |
২০০৫-০৬ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ঐ মৌসুমেই তাসমানিয়ার পক্ষে ৩৯ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়েন। তন্মধ্যে নিজস্ব সেরা বোলিং করেন ৭/৫৮।
জানুয়ারি, ২০০৭ সালে হিলফেনহস অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ও টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক খেলার জন্য আমন্ত্রণ পান। পরের মাসেই ব্রাডম্যান বর্ষসেরা যুব ক্রিকেটার হিসেবে তাকে পুরস্কৃত করা হয়। ২০০৬-০৭ মৌসুমে প্রথমবারের মতো পুরা কাপ জয় করে তার ক্লাব ও তাসমানিয়ার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পান। আঘাতপ্রাপ্তির কারণে টেস্ট ক্রিকেট খেলার জন্য তাকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
২০১০-১১ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া দল ৩-১ ব্যবধানে ইংল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়। পাঁচ টেস্টের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া দল তাদের সম্মুখ সারির চার ফাস্ট বোলার - মিচেল জনসন, পিটার সিডল, রায়ান হ্যারিস ও হিলফেনহস এবং অল-রাউন্ডার শেন ওয়াটসনকে বোলিং আক্রমণে নামায়। একটি টেস্টে অংশ না নিয়েও হিলফেনহস অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের তুলনায় সিরিজে অধিক ব্যর্থ ছিলেন। ৫৯.২৮ রান গড়ে তিনি মাত্র ৭ উইকেট পান ৯৪৭ বল ডেলিভারি করে।[২]
তারপরও তিনি চেন্নাই সুপার কিংসের পক্ষে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ১০০,০০০ ডলারে চুক্তিবদ্ধ হন।[৩] কিন্তু আঘাতের কারণে এপ্রিল, ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় খেলতে পারেননি।[৪]
পরবর্তীতে জুনে জিম্বাবুয়ে সফরে অস্ট্রেলিয়া এ দলের সদস্য মনোনীত হন। শ্রীলঙ্কা সফর ও পরের বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্যে নিজেকে মেলে ধরার ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়। দলের সদস্য হিসেবে মিচেল স্টার্ক, জেমস ফকনার ও ট্রেন্ট কোপল্যান্ড ছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল যে, হিলফেনহসের অভিজ্ঞতালদ্ধ জ্ঞান উদীয়মান ফাস্ট বোলারদের জন্য সুবিধা বয়ে নিয়ে আসবে। বিশেষতঃ স্টার্ক ও ফকনারের বলকে সুইং করার ক্ষমতা ছিল।[৫] কিন্তু জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য দল ঘোষণা করা হলে হিলফেনহসকে বাদ দেয়া হয়। দল নির্বাচক গ্রেগ চ্যাপেল এর কারণ হিসেবে তার পর্যাপ্ত যোগ্যতার অভাবকে দায়ী করেন।[৬]
ডিসেম্বরে দুই টেস্টের সফরে নিউজিল্যান্ড দল আসলে হিলফেনহসের দলে ফেরার সুযোগ সৃষ্টি হয়। কিন্ত দল নির্বাচকমণ্ডলী তরুণদের সুযোগ দিতে কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড়দেরকে প্রাধান্য দেয়। পরের মাসে ভারত দল অস্ট্রেলিয়া সফরে গেলে প্রথম টেস্টের জন্য ১৩-সদস্যের দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করে। এ প্রসঙ্গে দল নির্বাচক জন ইনভারারিটি বলেন যে, আমি মনে করি হিলফেনহসের শারীরিক ভঙ্গীমা ভালো ও গত বছরের তুলনায় উত্তরণ ঘটিয়েছেন। তিনি ছন্দ ফিরে পেয়েছেন ও ভালো অবস্থানে রয়েছেন। তিনি শক্ত, সামর্থ্যবান, দীর্ঘস্থায়ী ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বোলার।[৭]
প্রথম টেস্ট হিসেবে বক্সিং ডে টেস্টের তিনি খেলার সুযোগ পান ও ভারতের প্রথম ইনিংসে ৫/৭৫ পান যা তার প্রথম পাঁচ উইকেট লাভ।[৮] পরের টেস্টেও তিনি দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট পান ও দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে রাখতে সাহায্য করেন।[৯] তৃতীয় টেস্টে ইনিংসের ব্যবধানে জয়লাভ করে অস্ট্রেলিয়া দল বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি জয় করে। ঐ টেস্টের উভয় ইনিংসে চারটি করে উইকেট পান। এরফলে তিনি প্রথমবারের মতো আইসিসি’র র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ দশে অন্তর্ভুক্ত হন।[১০] সিরিজে তিনি সর্বাধিক উইকেট সংগ্রাহক হন। ১৭.২২ গড়ে ২৭ উইকেট পান হিলফেনহস।[১১]
খেলার বাইরে তিনি গল্ফারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।[১২] ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০০৯ ম্যান অব ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে মি. সেপ্টেম্বর নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১৩] স্বভাবসূলভ নম্র-ভদ্র আচরণের প্রেক্ষিতে দলীয় সঙ্গীরা তাকে জেন্টল বেন নামে ডেকে থাকে।[১৪]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.