Loading AI tools
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মিচেল গাই জনসন (ইংরেজি: Mitchell Guy Johnson; জন্ম: ২ নভেম্বর, ১৯৮১) কুইন্সল্যান্ড প্রদেশের টাউন্সভিলে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট, ওডিআই এবং টি২০ আন্তর্জাতিকে নিয়মিতভাবে প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন মিচেল জনসন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ফাস্ট বোলারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। পাশাপাশি, দলের প্রয়োজনে বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবেও পারদর্শিতা দেখান।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মিচেল গাই জনসন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | টাউন্সভিল, কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া | ২ নভেম্বর ১৯৮১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | নচ, মিজ, চম্পস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮৯ মিটার (৬ ফুট ২ ইঞ্চি)[১] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলিং, অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৯৮) | ৮ নভেম্বর ২০০৭ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২০ আগস্ট ২০১৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৫৬) | ১০ ডিসেম্বর ২০০৫ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৯ মার্চ ২০১৫ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ২৫ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৭ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ৩১ আগস্ট ২০১৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০১-২০০৮ | কুইন্সল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮-বর্তমান | ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২-২০১৩ | মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৪-বর্তমান | কিংস ইলাভেন পাঞ্জাব | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯ ও ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার লাভসহ স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি লাভের মর্যাদা পেয়েছেন।[২] এছাড়াও, ২০১৪ সালে মর্যাদাপূর্ণ অ্যালান বর্ডার পদক লাভ করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত জনসনের রুবিকা অ্যান নাম্নী এক কন্যা সন্তান রয়েছে।[৩] তিনি সাবেক মডেল ও কারাতে ব্ল্যাকবেল্টধারী জেসিকা ব্রাটিচ জনসনকে বিয়ে করেন।[৪]
১৭ বছর বয়সে ব্রিসবেনের ফাস্ট বোলিং ক্লিনিকে ভর্তি হন। এসময় সাবেক ফাস্ট বোলার ডেনিস লিলি তাকে একসময় আজীবন সম্মাননা পাবে বলে চিহ্নিত করেন।[৫] লিলি সাবেক সহ-খেলোয়াড় রড মার্শের সাথে যোগাযোগ করে জনসনকে অ্যাডিলেডে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তির ব্যবস্থা করেন।[৫] ১৯৯৯ সালে জনসন অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ইংল্যান্ড সফরে যান ও এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে খেলতে থাকেন। কিন্তু পিঠের আঘাতপ্রাপ্তির ফলে তার আশায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। দুই বছর পর আরোগ্য লাভ করে পুনরায় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিজ রাজ্য দল কুইন্সল্যান্ডের পক্ষে খেলতে নামেন। সেপ্টেম্বর, ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়া এ ক্রিকেট দলের হয়ে পাকিস্তান সফর করেন।
২৫ জুলাই, ২০০৮ তারিখে কুইন্সল্যান্ড বুলস ত্যাগ করে ওয়েস্টার্ন ওয়ারিয়র্সে স্থানান্তরিত হন।[৬] ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সালে ১১৬০০০০ অস্ট্রেলীয় ডলারের বিনিময়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের কিংস ইলাভেন পাঞ্জাব দল তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করে।[৭]
২৩ নভেম্বর, ২০০৬ তারিখে অনুষ্ঠিত অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে অন্তর্ভুক্ত হলেও সিরিজে দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবেই সময় অতিবাহিত করেন। ১০ নভেম্বর, ২০০৭ তারিখে নিজ মাঠ ব্রিসবেনের গাব্বায় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক ঘটে জনসনের। থিলান সামারাবীরাকে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ক্যাচ নিলে তিনি তার প্রথম টেস্ট উইকেট লাভ করেন। জনসন ইনিংসে ৯৬ রানে ৪ উইকেট দখল করেছিলেন।
১৯ জানুয়ারি, ২০০৮ তারিখে ভারত দলের বিপক্ষে প্রথম অর্ধ-শতক করেন। পার্থের ওয়াকা গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত এ খেলায় তার দল পরাজিত হয়েছিল।
২০০৮-০৯ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে জনসন মাত্র ৪২ রানে ৭ উইকেট লাভ করেন। তন্মধ্যে, দুই রানের ব্যবধানে পাঁচ উইকেট প্রাপ্তি ছিল অন্যতম ঘটনা। তার এ সাফল্যে সফরকারী দলের রান সংখ্যা ৩/২৩৪ থেকে ৮/২৪৩ হয়। পরদিন তার বোলিং দাঁড়ায় ৮/৬১।
২০১৩-১৪ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সুপারস্পোর্ট পার্কে অনুষ্ঠিত ১ম টেস্টের ১ম ইনিংসে ৭ উইকেট এবং ২য় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে চমক দেখান। এরফলে তার দল ২৮১ রানের বিশাল ব্যবধানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলকে পরাজিত করে। ঐ টেস্টে নিজস্ব সেরা ও ১ম অস্ট্রেলীয় বোলার হিসেবে ১৯৯১ সালে ব্রুস রিডের পর ১২ উইকেট লাভ করেন।[৮] এছাড়াও, তিনি এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো টেস্টে ১০ উইকেট লাভ করেছেন ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলকে ধারাবাহিকভাবে ৬ষ্ঠ টেস্ট বিজয়ে সহায়তা করেন। পাশাপাশি ৭ম অস্ট্রেলীয় বোলাররূপে ২৫০তম উইকেট শিকার করেন।
২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ১১ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ অস্ট্রেলিয়া দলের ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশ করে।[৯] এতে তিনিও অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। ৪ মার্চ, ২০১৫ তারিখে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ডেভিড ওয়ার্নারের ১৭৮ রানের পর ২২ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট দখল করেন। ঐ খেলায় তার দল ২৭৫ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়সহ বিশ্বকাপে সর্ববৃহৎ জয় পায়।[১০]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.