নারগিস আক্তার

বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালিকা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

নারগিস আক্তার হলেন একজন বাংলাদেশী নারী চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক। গঠনমূলক ও শিক্ষনীয় গল্প নিয়ে তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণ করে থাকেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র মেঘলা আকাশ। পরবর্তীতে তিনি পরিচালনা করেছেন মেঘের কোলে রোদ (২০০৮), অবুঝ বউ (২০১০), পুত্র এখন পয়সাওয়ালা (২০১৫) ও পৌষ মাসের পিরীত (২০১৬)।[] মেঘলা আকাশঅবুঝ বউ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি দুইবার শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রথম নারী।[]

দ্রুত তথ্য নারগিস আক্তার, জন্ম ...
নারগিস আক্তার
জন্ম
নারগিস আক্তার

২০ নভেম্বর[]
জাতীয়তাবাংলাদেশী
মাতৃশিক্ষায়তনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাচলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক
কর্মজীবন২০০১বর্তমান
উল্লেখযোগ্য কর্ম
মেঘলা আকাশ
মেঘের কোলে রোদ
অবুঝ বউ
পুরস্কারজাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (২ বার)
বন্ধ

প্রাথমিক জীবন

নারগিস আক্তার বাংলাদেশের ঢাকার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার পৈতৃক বাড়ি মাদারীপুরে[]

কর্মজীবন

নারগিস আক্তার চলচ্চিত্র নির্মাণের আগে বেশ কিছু তথ্যচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন। ২০০১ সালে তিনি মেঘলা আকাশ দিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালকের খাতায় নাম লেখান। এইডস নিয়ে সচেতনতামূলক এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন মৌসুমী, শাকিল খানপূর্ণিমা। এছাড়া বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেত্রী শাবানা আজমি ও মুম্বাইয়ের আইয়ুব খান এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ছয়টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে এবং তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকারের পুরস্কার অর্জন করেন। তার পরবর্তী চলচ্চিত্র চার সতীনের ঘর। এতে আলমগীরের বিপরীতে চার সতীনের চরিত্রে অভিনয় করেন ববিতা, দিতি, শাবনূর ও ময়ূরী।[] ২০০৮ সালে মোহাম্মদ রফিকুজ্জামানের কাহিনীতে পরিচালনা করেন মেঘের কোলে রোদ। এইডস নিয়ে সচেতনতামূলক ত্রিভুজ প্রেমের এই ছায়াছবিতে অভিনয় করেন রিয়াজ, পপিটনি ডায়েস। চলচ্চিত্রটি পাঁচটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।[] ২০১০ সালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ছোটগল্প সমাপ্তি অবলম্বনে নির্মাণ করেন অবুঝ বউ[] এটি এক গ্রাম্য দুরন্ত কিশোরীর পরিণীতা হওয়ার গল্প। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রিয়াংকা। এছাড়া অন্যান্য ভূমিকায় ছিলেন ফেরদৌস আহমেদ, ববিতা। চলচ্চিত্রটি ৩৫তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনটি বিভাগে পুরস্কার লাভ করে এবং তিনি দ্বিতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকারের পুরস্কার অর্জন করেন।[] ২০১৫ সালে মুক্তি পায় তার পরিচালিত পুত্র এখন পয়সাওয়ালা। এতে পুত্রের ভূমিকায় অভিনয় করেন মামনুন হাসান ইমন ও মায়ের ভূমিকায় ছিলেন ববিতা[] পরের বছর নরেন্দ্রনাথ মিত্র রচিত গল্প রস অবলম্বনে তার চিত্রনাট্যে নির্মাণ করেছেন পৌষ মাসের পিরীত[] এতে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন পপি ও টনি ডায়েস।[১০] এছাড়া নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন রচিত মঞ্চনাটক যৈবতী কন্যার মন অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকার থেকে অনুদান পান।[১১] পরিশেষে, ২০২১ সালে ছবিটি মুক্তি পায়।[১২]

চলচ্চিত্রের তালিকা

আরও তথ্য বছর, চলচ্চিত্র ...
বছর চলচ্চিত্র পরিচালক চিত্রনাট্যকার সংলাপ রচয়িতা প্রযোজক ভাষা টীকা
২০০১মেঘলা আকাশহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁনাবাংলাবিজয়ী: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার
২০০৫চার সতীনের ঘরহ্যাঁহ্যাঁনাহ্যাঁবাংলা
২০০৮মেঘের কোলে রোদহ্যাঁহ্যাঁনাহ্যাঁবাংলা
২০১০অবুঝ বউহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁনাবাংলাবিজয়ী: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার
২০১৫পুত্র এখন পয়সাওয়ালাহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁনাবাংলা
২০১৬পৌষ মাসের পিরীতহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁনাবাংলা
২০২১যৈবতী কন্যার মনহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁনাবাংলা
বন্ধ

টেলিভিশন

টিভি অনুষ্ঠান

আরও তথ্য বছর, অনুষ্ঠান ...
বছরঅনুষ্ঠানউপস্থাপকচ্যানেলটীকা
২০১৪বৈশাখী টেলিভিশনলাইভ অনুষ্ঠান
সিটিসেল তারকা কথনচ্যানেল আইলাইভ অনুষ্ঠান
বিটিভি
বেলা শেষেএসএ টিভি
একুশে টিভিলাইভ অনুষ্ঠান[]
বন্ধ

সমালোচনা

নারগিস আক্তার ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকার থেকে যৈবতী কন্যার মন চলচ্চিত্রের জন্য ২৪,৮৬,০৪১ টাকা অনুদান গ্রহণ করেন।[১৩] কিন্তু যথাসময়ে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ না করতে পারায় তার বিরুদ্ধে পিডিআর অ্যাক্ট অনুযায়ী সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করা হয়।[১৪]

পুরস্কার ও সম্মাননা

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

আরও তথ্য বছর, বিভাগ ...
বছর বিভাগ চলচ্চিত্র ফলাফল
২০০৩শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকারমেঘলা আকাশ (২০০১)বিজয়ী
২০১২অবুঝ বউ (২০১০)বিজয়ী
বন্ধ

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.