টেকনাফ উপজেলা
কক্সবাজার জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
টেকনাফ বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এটি বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের উপজেলা।
টেকনাফ | |
---|---|
উপজেলা | |
টেকনাফ লঞ্চ টার্মিনাল | |
![]() মানচিত্রে টেকনাফ উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২০°৫২′১৭″ উত্তর ৯২°১৮′৪″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | কক্সবাজার জেলা |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৩০ |
সংসদীয় আসন | ২৯৭ কক্সবাজার-৪ |
সরকার | |
• সংসদ সদস্য | পদশূন্য (পদশূন্য) |
আয়তন | |
• মোট | ৩৮৮.৬৮ বর্গকিমি (১৫০.০৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০২২)[১] | |
• মোট | ৩,৩৩,৮৪০ |
• জনঘনত্ব | ৮৬০/বর্গকিমি (২,২০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৭.৩৩ |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৪৭৬০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ২২ ৯০ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
টেকনাফ উপজেলার আয়তন ৩৮৮.৬৮ বর্গ কিলোমিটার। কক্সবাজার জেলার সর্ব-দক্ষিণে ২০°২৩´ থেকে ২১°০৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°০৫´ থেকে ৯২°২৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে টেকনাফ উপজেলার অবস্থান।[২] কক্সবাজার জেলা সদর থেকে এই উপজেলার দূরত্ব প্রায় ৮২ কিলোমিটার। এই উপজেলার উত্তরে উখিয়া উপজেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য, পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর।
প্রশাসনিক এলাকা
১৯৩০ সালে টেকনাফ থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়।[২] টেকনাফ উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন আছে। সম্পূর্ণ টেকনাফ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম টেকনাফ মডেল থানার আওতাধীন।
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী টেকনাফ উপজেলার জনসংখ্যা ৩,৩৩,৮৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৬৯০৬৮ জন এবং মহিলা ১৬৪৭৭২ জন। মোট জনসংখ্যার ৯৭.৪৮% মুসলিম, ১.১৫% হিন্দু, ১.৩৪% বৌদ্ধ এবং ০.২% খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী [৩]
শিক্ষা
টেকনাফ উপজেলার সাক্ষরতার হার ২৬.৭%।[২] এ উপজেলায় ১টি সরকারি ও ১টি বেসরকারি স্নাতক (পাস) কলেজ, ১টি কামিল মাদ্রাসা, ২টি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, ২টি আলিম মাদ্রাসা, ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (২টি বালিকা সহ), ৮টি দাখিল মাদ্রাসা (৩টি বালিকা সহ), ৮টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।[১]
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- কলেজ
- টেকনাফ সরকারি কলেজ
- মঈন উদ্দীন মেমোরিয়াল কলেজ
- উচ্চ বিদ্যালয়
- টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
- টেকনাফ এজাহার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- টেকনাফ বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল
- লম্বরী মলকাবানু উচ্চ বিদ্যালয়
- হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়
- হ্নীলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- লেদা উচ্চ বিদ্যালয়
- নাইক্ষ্যংখালী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- আলহাজ্ব আলী আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়
- নয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়
- কানজরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়
- সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়
- নয়াপাড়া আলহাজ্ব নবী হোসাইন উচ্চ বিদ্যালয়
- শাহপরীরদ্বীপ হাজী বশির আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়
- শামলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়
- মরিশবনিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়
- সেন্টমার্টিন বিএন ইসলামিক স্কুল এন্ড কলেজ
যোগাযোগ ব্যবস্থা
টেকনাফ উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক হলো এন-১ বা ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক। সব ধরনের যানবাহনে যোগাযোগ করা যায়। এছাড়াও কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ টেকনাফকে কক্সবাজারের সাথে সরাসরি যুক্ত করেছে।
এনজিও কার্যক্রম
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, শেড, এসিএফ, সুশীলন, এনজিও ফোরাম, ব্র্যাক, দুঃস্থ স্বাস্থ্য সংস্থা, রুম টু রিড, কোডেক, আরটিএমআই
অর্থনীতি

টেকনাফ পর্যটন এলাকা হওয়ায় দেশ-বিদেশ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-টেকনাফ রুটে এই উপজেলার সীমান্তে সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রতি বছর প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটে। এছাড়া টেকনাফ স্থল বন্দর, নাফ নদী, বঙ্গোপসাগর থেকে মূল্যবান মাছ আহরণ, খনিজ লবণ, পান সুপারী ইত্যাদি অর্থ উপার্জনের প্রধান মাধ্যম। পাহাড় ও নদী-সাগর ঘেরা টেকনাফে সুন্দর লবণ মাঠ এবং বড় বড় মৎস্য খামার আছে। এই স্থান কৃষি কাজ, লবণ চাষ ও মাছ চাষ করার জন্য বেশ উপযোগী।
ধর্মীয় উপাসনালয়
টেকনাফ উপজেলায় ১৮৩টি মসজিদ, ২টি মন্দির ও ১টি বিহার রয়েছে।[২]
নদ-নদী

টেকনাফ উপজেলার পূর্বে মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নাফ নদী।[৫]
হাট-বাজার
টেকনাফ উপজেলায় অনেক হাট-বাজার রয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফ বাজার, সাবরাং সিকদারপাড়া বাজার, সাবরাং নোয়া পাড়া বাজার, হ্নীলা বাজার, শাহপরীরদ্বীপ বাজার, শামলাপুর বাজার, টেকনাফ সদর পর্যটন বাজার, টেকনাফ সদর বটতলী বাজার ও হোয়াইক্যং বাজার উল্লেখযোগ্য।
দর্শনীয় স্থান

- সেন্টমার্টিন দ্বীপ; বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ।
- ছেঁড়া দ্বীপ
- শাহপরীর দ্বীপ
- তুংনঙ্গা চূড়া
- টেকনাফ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
- নাফ পর্যটন পার্ক
- সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক
- টেকনাফ সমুদ্র সৈকত
- মাথিনের কূপ
- বাংলাদেশ-মায়ানমার ট্রানজিট জেটিঘাট
- শীলখালী চিরহরিৎ গর্জন বাগান
- শামলাপুর সমুদ্র সৈকত
- মারিশবনিয়া সৈকত [২]
- নয়াপাড়া শরণার্থী শিবির
- লেদা রোহিঙ্গা শিবির
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলী
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা টেকনাফে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতেন। টেকনাফ ডাকবাংলোতে পাকবাহিনী তাদের ক্যাম্প স্থাপন করে। রামু, উখিয়া ও টেকনাফ থেকে লোকজন ধরে এনে এখানে নির্যাতন করে হত্যা করা হত। এ ক্যাম্পে ২৫০ জন বাঙালিকে হত্যা করা হয়।[২]
- মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন
- নাইট্যংপাড়া বধ্যভূমি[২]
জনপ্রতিনিধি
- সংসদীয় আসন
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৬] | সংসদ সদস্য[৭] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৯৭ কক্সবাজার-৪ | উখিয়া উপজেলা এবং টেকনাফ উপজেলা | পদশূন্য | পদশূন্য |
- উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন
উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিত্ব
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.