টেকনাফ স্থল বন্দর
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
টেকনাফ স্থল বন্দরটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত। এই বন্দরের বিপরীতে মায়ানমারের মংডু স্থল বন্দর অবস্থিত, তবে সিত্তে ও রেঙ্গুনের সাথে এখান থেকে মালামাল যায়।[১] এদিকে মিয়ানমার সাথে সুসম্পর্ক ও সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে ১৯৯৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সীমান্ত বাণিজ্য চালু করা হয়।[২] ১৯৯৫ সনে ৫ সেপ্টেম্বর টেকনাফ-মংডু সীমান্ত বাণিজ্য চালু হওয়ার পর থেকে ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ২১ বছরে টেকনাফ স্থল বন্দর কাষ্টম্স মোট রাজস্ব আয় করেছে ১০০১ কোটি ৩৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৮৪ টাকা এবং উক্ত ২১ বছরে টেকনাফ স্থল বন্দর থেকে ১৯১ কোটি ৯৬ লাখ ৯৭ হাজার ২২০ টাকা মূল্যের বাংলাদেশী পণ্য মিয়ানমারে রপ্তানী হয়েছে। প্রতিবছর এই আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।[৩]

আমদানি দ্রব্য
টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পণ্য হিমায়িত মাছ রুই, কাতাল, শুটকী মাছ, বিভিন্ন প্রকার কাঠ, বরই আচার, শুকনা বরই, টক তেতুল, প্লাস্টিক।
রপ্তানি দ্রব্য
রপ্তানিকৃত পণ্য সিমেন্ট, গেঞ্জি, গেঞ্জির কাপড়, দেশীয় কাপড়, প্লাস্টিক পাইপ, মানুষের চুল, এ্যালুমিনিয়াম প্রোডাক্টস, হাঙ্গর মাছ ও চামড়া, অক্স পেনিস, পাইস্যা মাছ, প্লাষ্টিক স্পিল্ডার।
সমস্যা
ইয়াবা চোরাচালানের বিরূপ প্রভাব, বন্দরে শ্রমিকসহ বহুমূখী সমস্যার কারণে টেকনাফ স্থল বন্দর কাস্টমস রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার মূখ দেখছেনা।[১] নাম প্রকাশ না করার শর্তে সীমান্ত বাণিজ্যের কয়েকজন প্রবীণ ব্যবসায়ী জানান, গত ৫ বছরে মিয়ানমার থেকে বানের স্রোতের মত ইয়াবা প্রবেশ করছে। এ ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় ব্যবসায়ীরা সেদিকে ঝুঁকছে। এছাড়া চোরাই পথে পণ্য আসা যাওয়া এবং ইয়াবা ব্যবসা বিস্তারের কারণে মুদ্রার মান কমে যাওয়া ও বাণিজ্য হ্রাস পাওয়া এর অন্যতম কারণ বলে অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীদের ধারণা। বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে ও পণ্য রপ্তানী বৃদ্ধিতে দেশীয় ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা খুব দ্রুত উদ্যোগ না নিলে টেকনাফ স্থল বন্দর এক সময়ে অচল হয়ে পড়বে বলে মনে করেন সচেতনমহল।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.