উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
এটি একটি সদা-পরিবর্তনশীল তালিকা এবং এটি সম্পূর্ণতার মানদণ্ডকে সন্তুষ্ট নাও করতে পারে। আপনি নির্ভরযোগ্য উৎস দ্বারা সমর্থিত অনুপস্থিত তথ্য যোগ করে সাহায্য করতে পারেন।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে প্রধানত বাংলা ও পাশাপাশি অন্যান্য ভাষায় বিপুল সংখ্যক রচনা, বই, পুস্তিকা রচিত হয়েছে। বাংলাদেশের বহু প্রতিষ্ঠান ও বিষয়বস্তুর নামকরণ শেখ মুজিবুর রহমানের নামানুসারে করা হয়েছে। তার জীবনের উপর বিভিন্ন চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে।
১৯৭২: হি ইজ্ ব্যাক, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র।
১৯৭২: বাংলাদেশ, শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ গঠনের কর্মকান্ডের উপর যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি টিভি কর্তৃক নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র।
১৯৭২: ডেভিড ফ্রস্ট প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশ, শেখ মুজিবুর রহমানের সাক্ষাৎকার ভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র। ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের উপর ভিত্তি করে এটি নির্মাণ করেন।
১৯৭৩: রহমান, দ্যা ফাদার অফ বেঙ্গল, জাপানি পরিচালক নাগাসি ওশিমা পরিচালিত শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত জীবন, তার প্রাত্যহিক কর্মকান্ড ও পরবর্তী পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র।
১৯৭৩: "ওয়েলকাম বঙ্গবন্ধু", জাপানে শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রীয় সফরের উপর ভিত্তি করে জাপানের মাইনিচি প্রডাকশনস এর প্রযোজনায় নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র। ২০২২ সালে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশে অবস্থিত জাপানের দূতাবাস, "বঙ্গবন্ধুর জাপান সফর" শিরোনামে বাংলা অডিও এবং জাপানি সাবটাইটেল সহ প্রামাণ্যচিত্রটির ডিজিটালি রিমাস্টার করা সংস্করণ প্রকাশ করে।[১]
১৯৯৬: চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু, শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র। ১০ আগস্ট বি এম সালাউদ্দিনের প্রযোজনায় এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৫ আগস্ট প্রচারিত হয়। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরে ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে প্রামাণ্যচিত্রটি ডিজিটাল ফিল্মে পুনঃনির্মিত হয়।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ, বিশ্বজিত সাহা ও শ্যামল দত্ত পরিচালিত প্রামাণ্যচিত্র।
২০১০: দ্যা স্পিচ, শেখ মুজিবুর রহমানের সাতই মার্চের ভাষণের বিশ্লেষণ নিয়ে ফাখরুল আরেফিন খান পরিচালিত প্রামাণ্যচিত্র। সাক্ষাৎকার ভিত্তিক এই প্রামান্যচিত্রে উঠে এসেছে ভাষণ রেকর্ডিং এর পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে সংরক্ষণের ঘটনা সমূহ।
২০১২: অসমাপ্ত মহাকাব্য, শেখ মুজিবুর রহমানের "অসমাপ্ত আত্মজীবনীর" উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র।
২০২৩: দ্য অ্যাসাসিন নেক্সট ডোর, কানাডিয়ান ডকুমেন্টারি সিরিজ দ্য ফিফথ এস্টেট-এর একটি পর্ব, শেখ মুজিবুর রহমানের ঘাতক নূর চৌধুরীর উপর প্রকাশিত হয়েছিল।[৪]
২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মৃত্যুঞ্জয় দেবব্রত পরিচালিত “যুদ্ধশিশু” নামক ভারতীয় বাংলা-হিন্দি চলচ্চিত্রে প্রদীপ গঙ্গোপাধ্যায় শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেন।[৭][৮]
২০২১: "তারুণ্যের আলোক শিখা", শেখ মুজিবুর রহমানের উপর নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত “টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই” চলচ্চিত্রে শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব হতে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত ঘটে যাওয়া বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ঘটনা দেখানো হয়, শান্ত খান শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেন।[৯]
২০২০ সালে “আগস্ট ১৯৭৫” নামে শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ড পরবর্তী ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়, যা ১৫ আগস্ট ২০২০ তারিখে মুক্তির পরিকল্পনা থাকলেও করোনা মহামারিজনিত জটিলতার কারণে এর মুক্তির তারিখ পিছিয়ে যায়।[১০][১১] ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়।[১২]
২০২১ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী অবলম্বনে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “চিরঞ্জীব মুজিব” নির্মাণ করা হয়।[১৩][১৪] এটি ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মুক্তি পায়। ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে নির্মিত ছবিটিতে শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের ১৯৪৯ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত চিত্রিত হয়।[১৫]
২০২৩: "বঙ্গমাতা", শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবনের উপর নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটিতে শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনির আহমেদ শাকিল।[১৬]
২০২৩: "দুঃসাহসী খোকা", মুশফিকুর রহমান গুলজারের পরিচালনায় সরকারি অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্রটিতে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম থেকে কৈশোর ও যৌবনের (১৯২০-১৯৩৮) সময়কে তুলে ধরা হয়েছে।[১৭][১৮]
"হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি", বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত চিত্রপরিচালক এখলাস আবেদিন পরিচালিত চলচ্চিত্র।[২৪]
১৯৯৬: নিস্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি, কায়েস চৌধুরী পরিচালিত শেখ মুজিবুর রহমানের উপর নির্মিত প্রথম নাটক ভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র। ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রামাণ্যচিত্রটি প্রচারিত হয়।
শেখ মুজিব রিসার্চ সেন্টার লন্ডনের অর্থায়নে লেখক ও সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী তার স্বলিখিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পলাশী থেকে ধানমন্ডি” অবলম্বনে ২০০৭ সালে একই নামে একটি টেলিভিশন চলচ্চিত্র তৈরি করেন, যেখানে শেখ মুজিব চরিত্রে অভিনয় করেন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।[২৫]
২০২১: অভিশপ্ত আগস্ট, শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের উপর নির্মিত বাংলাদেশ পুলিশ নাট্যদলের মঞ্চায়ন। মঞ্চনাট্যটির পরিকল্পনা, গবেষণা ও তথ্য সংকলন করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি হাবিবুর রহমান। রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক মো. জাহিদুর রহমান।
২০২০ সালের ১৬ই মার্চ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা নগদ শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের ফেসবুক ও ইউটিউব পাতায় শেখ মুজিবের জীবনীভিত্তিক দুই মিনিটের একটি অ্যানিমেটেড ভিডিওচিত্র প্রকাশ করে।[২৭][২৮]
২০২০ সালে অধ্যাপক ড. মোঃ হানিফ সিদ্দিকী পরিচালিত তসলিমা খানম প্রযোজিত অ্যাগামীল্যাবস প্রতিষ্ঠানের কারিগরি সহযোগিতায় শেখ মুজিবকে নিয়ে “খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা” নামে এনিমেশন চলচ্চিত্র নির্মাণ করে যার প্রথম ১৯ মিনিট ২০ সেকেন্ড বাংলাদেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন একুশে টিভিতে ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ সম্প্রচারিত হয়। [২৯] ২০২১সালের ১৭ই মার্চ একুশে টিভিতে চলচ্চিত্রটির প্রথম ৪০ মিনিট সম্প্রচারিত হয়। [৩০] এবং সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর ১ঘণ্টা ৩২ মিনিটের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়। [৩১]
২০২০ সালে তথ্য ও গবেষণা কেন্দ্রের অর্থায়নে শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা ও বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিখিত "মুজিব আমার পিতা" গ্রন্থ অনুসরণে একই নামে একটি অ্যানিমেটেড কার্টুন চলচ্চিত্র নির্মাণাধীন ছিল।[৩২] এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায়।[৩৩]
২০২৩ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে "মুজিব ভাই" নামে অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র নির্মাণ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প।
২০২৩: আমাদের ছোট রাসেল শোনা, শেখ রাসেলকে নিয়ে নির্মিত অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র, যেখানে শেখ মুজিবুর রহমান চিত্রিত হয়েছেন।
২০২৩: খোকা, আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব-কৈশোরকে ভিত্তি করে নির্মিত ১০ পর্বের অ্যানিমেশন সিরিজ। অ্যানিমেশন সিরিজটি যৌথভাবে তৈরি করেছে মার্স সল্যুশন, টিম এসোসিয়েট, ম্যাজিক ইমেজ এবং প্রোল্যান্সার স্টুডিও।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে ভারতীয় গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার “শোনো একটি মুজিবুরের থেকে” গানটি রচনা করেন এবং লোকসংগীত শিল্পী অংশুমান রায় গানটিতে সুরারোপ করেন। পরবর্তীতে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার নিজেই “দ্য ভয়েস অফ নট ওয়ান, বাট মিলিয়ন মুজিবরস সিঙ্গিং” নামে গানটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন, যেটি গেয়েছিলেন শিল্পী কবরী নাথ।[৩৪][৩৫]
১৯৭৩ সালে ফরাসি বুদ্ধিজীবী বার্নার্ড হেনরি লেভিBangla-Desh, Nationalisme dans la révolution বা Les Indes Rouges, বাংলায় বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হচ্ছিল নামের বইয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে শেখ মুজিবকে নিজস্ব দৃষ্টিতে বিশ্লেষণাত্মকভাবে তুলে ধরেছেন।[৩৭]
১৯৭৪ সালে পাকিস্তানি সাংবাদিক কুতুবউদ্দিন আজিজ তার "ব্লাড এন্ড টিয়ারস" নামক বইতে শেখ মুজিবকে নেতিবাচকরূপে তুলে ধরেন।
১৯৭৮ সালে আনন্দবাজার পত্রিকার সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাসগুপ্ত "মিডনাইট ম্যাসাকার ইন ঢাকা" নামের বইতে শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নিয়ে তার নিজস্ব বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। [৩৮]
১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলৎস তার “তাহেরের স্বাক্ষ্য - বাংলাদেশ: একটি অসমাপ্ত বিপ্লব” বইয়ে কর্নেল আবু তাহেরের ভাষ্য অনুযায়ী শেখ মুজিব ও তার হত্যাকাণ্ডকে বর্ণনা করেছেন।[৩৯]
১৯৮৬- ফ্যাক্টস এন্ড ডকুমেন্টস: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড (অধ্যাপক আবু সাইয়িদ)। ফ্যাক্টস এন্ড ডকুমেন্টস: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড হলো বাংলাদেশের অন্যতম সংবিধান প্রণেতা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, পাবনা -১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ রচিত একটি বই যাতে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তার গবেষণালব্ধ তথ্য ও দলিলাদি উপস্থাপন করেছেন।
১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে অ্যান্থনি মাসকারেনহাস কর্তৃক রচিত “বাংলাদেশ: রক্তের ঋণ” নামক গ্রন্থে লেখক যুদ্ধ পরবর্তী সময় হতে মৃত্যু পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমানকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ঘটনাবলি দলিল হিসাবে তুলে ধরেছেন।[৪০]
হালিম দাদ খান “বাংলাদেশের রাজনীতি ১৯৭২ – ১৯৭৫” নামে একটি বই লেখেন, যা আগামী প্রকাশনী থেকে ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভুল তথ্য সন্নিবেশনের কারণে বইটি সমালোচিত হয়।[৪১][৪২]
বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত “জোছনা ও জননীর গল্প” উপন্যাসে মুক্তিযুদ্ধকালীন শেখ মুজিবুর রহমানকে চরিত্র হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।[৪৩]
সাংবাদিক আমির হোসেন ২০০৮ সালে এডর্ন পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বইয়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন শেখ মুজিবুর রহমানকে তুলে ধরেন,[৪৪] এছাড়াও ২০০৯ সালে একই প্রকাশনী থেকে বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীন নামে তার আরেকটি গ্রন্থ রয়েছে, যেখানে তিনি শেখ মুজিব ও তাজউদ্দীনের সম্পর্ক তুলে ধরেন।[৪৫][৪৬] এর পূর্বে তিনি ১৯৮০ সালে তৎকালীন প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে ইশতিয়াক হাসান ছদ্মনামে মুজিব হত্যার অন্তরালে নামক বই প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি শেখ মুজিব হত্যা নিয়ে সাংবাদিকদের সংগৃহীত তথ্য ও বিবৃতি তুলে ধরেন।[৪৫][৪৭]
হুমায়ূন আহমেদ তার “দেয়াল” নামক উপন্যাসে বাংলাদেশের যুদ্ধপরবর্তী সময়ে শেখ মুজিবুর রহমানকে চিত্রায়িত করেছেন। তবে শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভুল তথ্য সমন্বয়ের জন্য হাইকোর্ট বইটির প্রকাশে সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।[৪২][৪৮] পরবর্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী হুমায়ুন আহমেদের নিজস্ব তথ্য সংশোধনীসহ পরিমার্জিতরূপে বইটি ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়।[৪৯][৫০]
মিজানুর রহমান খান শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দলিলের ভিত্তিতে “মার্কিন দলিলে মুজিব হত্যাকাণ্ড” নামে একটি বই রচনা করেন, যা প্রথমা প্রকাশন থেকে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।[৫১][৫২]
বাংলাদেশী-কানাডীয় লেখক নিয়ামত ইমাম তার ২০১৩ সালের উপন্যাস ”দ্য ব্ল্যাক কোট”-এ শেখ মুজিবকে নেতিবাচকরূপে দেখিয়েছেন, যেখানে মুজিবকে একজন ভয়ঙ্কর স্বৈরশাসক হিসেবে চিত্রায়িত করা হয়েছে।[৫৩]
২০১৪ সালে আবদুল করিম খন্দকার তার লেখা "১৯৭১: ভেতরে বাইরে" নামক গ্রন্থে যুদ্ধকালীন ও যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে শেখ মুজিবকে তুলে ধরেন যা সমসাময়িক আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের দ্বারা মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস হিসেবে সমালোচিত হয়।[৫৪]
২০১৪ সালে প্রকাশিত "তাজউদ্দীন: নেতা ও পিতা" বইতে তাজউদ্দীন আহমেদের কন্যা শারমিন আহমেদ রিপি শেখ মুজিবুর রহমানকে তাজউদ্দীন আহমেদের অভিজ্ঞতা থেকে চিত্রায়িত করেন।
২০১৪ সালে প্রথমা প্রকাশন কর্তৃক প্রকাশিত সাংবাদিক এ বি এম মূসা তার 'মুজিব ভাই' বইতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা তুলে ধরেন। মূসা রাজনীতিক ও ব্যক্তি শেখ মুজিবকে যেভাবে দেখেছেন, বুঝেছেন, তারই লিখিত ভাষ্য এই বইটি , যা অনেকটা ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্কের দলিল।[৫৫]
২০১৫ সাল থেকে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা কেন্দ্র "মুজিব" নামে বাংলা, ইংরেজি ও জাপানি ভাষায় শেখ মুজিবের অসমাপ্ত আত্মজীবনী ভিত্তিক ১০ খণ্ডের একটি শিশুতোষ গ্রাফিক নভেলের ধারাবাহিক প্রকাশ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।[টীকা ১][৫৬][৫৭]
২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে মেজর নাসির উদ্দিন রচিত “বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর” নামের একটি গ্রন্থ আগামী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়, যেখানে লেখক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে শেখ মুজিব ও তার হত্যাকাণ্ডের সমসাময়িক ঘটনাবলি বিবৃত করেন।[৫৮]
২০১৫ সালে, বাংলাদেশ সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) বিভাগ শেখ মুজিবুর রহমানের দুটি আত্মজীবনী ("অসমাপ্ত আত্মজীবনী" ও "কারাগারের রোজনামচা")-এর উপর ভিত্তি করে মুজিব নামে একটি চার পর্বের শিশুতোষ কমিক বই প্রকাশ করে।
২০২২ সালের মার্চ মাসে, শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিকথা মুক্তিদাতা শেখ মুজিব প্রকাশিত হয়।[৫৯]
শেখ মুজিবুর রহমানের ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সমসাময়িক প্রধানমন্ত্রী ও শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বৈঠকে ২০২০-২১ খ্রিষ্টাব্দকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী পালনের জন্য মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেন।[৬০][৬১] ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত এ বর্ষ উদ্যাপন করা হয়।[৬২][৬৩] ইউনেস্কোর ১৯৫টি সদস্য দেশে এই মুজিব বর্ষ পালন করা হয়।[৬৪][৬৫]
১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার “ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ”-কে (আইপিজিএমআর) মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নাম রাখা হয়।[৭২] বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই “জিন্নাহ সড়ক”-এর নাম পরিবর্তন করে “শেখ মুজিব সড়ক” নামে চট্টগ্রাম শহরের বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদের প্রধান সড়কের নামকরণ করা হয়।[৭৩]
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানে কলকাতার বেকার হোস্টেলের দুটি কক্ষ (২৩ ও ২৪ নং) জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়। জাদুঘরটি ৩১ জুলাই ১৯৯৮ সালে উদ্বোধন করা হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে, ছাত্রাবাসে মুজিবের আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। এছাড়াও ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির একটি সড়কের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মার্গ করা হয়। কনট প্লেসের নিকটবর্তী স্থানটি ইতোপূর্বে পার্ক স্ট্রিট নামে পরিচিত ছিল।[৭৪]
২০২১ সালের ডিসেম্বরে তুরস্কের আঙ্কারায় শেখ মুজিবুর রহমানের একটি আবক্ষ ভাস্কর্য উদ্বোধন করা হয় এবং তার নামে একটি পার্কের নামকরণ করা হয়।[৭৫]
২০২০ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই পর্যন্ত বাংলায় সাতটি, ইংরেজিতে তিনটি এবং জাপানি ভাষায় দুইটি খণ্ড প্রকাশিত হয়েছে। ইংরেজি ভাষায় গ্রাফিক নভেলটি ঢাকা লিট ফেস্ট উপলক্ষে প্রকাশিত হয়।
১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে ন্যাম সম্মেলন উপলক্ষে নির্মীত এই কেন্দ্রের নাম “বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র” দেওয়া হয়েছিল। ২০০২ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর নাম পরিবর্তন করে “বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র” রাখা হয়।
পাঠ-পরিচিতি: শোন একটি মুজিবরের থেকে, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, পৃষ্ঠা ৭৬–৭৮, সপ্তবর্ণা, সপ্তম শ্রেণি, শিক্ষাবর্ষ ২০২০, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ
"মুজিববর্ষে যত আয়োজন"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১০ জানুয়ারি ২০২০। ১১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২০।