Remove ads
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
"যদি রাত পোহালে শোনা যেত" হল ১৯৯১ সালের বাংলাদেশী সঙ্গীত অ্যালবাম জনতার নৌকা-এর একটি গান। আধুনিক এই সঙ্গীতের গীতিকার ছিলেন হাসান মতিউর রহমান। মলয় কুমার গাঙ্গুলী রচিত এই গানটি মূলত আলমাস আলীর পরিচালনায় গেয়েছেন। গানটি শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় গান হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। অডিও অ্যালবামের অন্যান্য গানের সাথে গানটি চেনাসুর থেকে প্রকাশিত হয়।[১]
"যদি রাত পোহালে শোনা যেত" | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
জনতার নৌকা অ্যালবাম থেকে | |||||||
মলয় কুমার গাঙ্গুলী কর্তৃক সঙ্গীত | |||||||
ভাষা | বাংলা | ||||||
রচিত | ১৯৯০ | ||||||
প্রকাশিত | ১৯৯০ | ||||||
মুক্তিপ্রাপ্ত | ১৯৯১ | ||||||
রেকর্ডকৃত | ১৯৯১ | ||||||
স্টুডিও | ঝংকার স্টুডিও | ||||||
স্থান | ঢাকা | ||||||
ধারা | আধুনিক গান | ||||||
দৈর্ঘ্য | ০৪:২৭ | ||||||
লেবেল | চেনাসুর | ||||||
সুরকার | মলয় কুমার গাঙ্গুলী | ||||||
গীতিকার | হাসান মতিউর রহমান | ||||||
প্রযোজক | হাসান মতিউর রহমান | ||||||
|
গায়ক মলয় কুমার গাঙ্গুলীর প্রিয় ব্যক্তিত্ব শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তিনি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। সেই যন্ত্রণা থেকেই মলয় তাকে নিয়ে একটি গান করতে চেয়েছিলেন।[২] ১৯৯০ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের দলীয় সম্মেলনে গান গাওয়ার দায়িত্ব পান তিনি। এরপর তিনি হাসান মতিউর রহমানকে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে একটি করে দুটি গান লিখতে বলেন। মুজিবকে নিয়ে গান লেখা দায়িত্বের দিক থেকে কঠিন ছিল বিধায় তিনি প্রথমে রাজি না হলেও পরে বাধ্য হয়েছিলেন। ভোরবেলায় যখন তার হত্যাকাণ্ডের কথা মনে পড়ল, তখন তিনি গানের কথার জন্য কিছু ধারণা পেয়ে লিখে ফেলেন।[৩] তারপর সকালে তিনি মলয় কুমার গাঙ্গুলীর কাছে গিয়ে গানের কথাগুলো দেখান। সঙ্গে সঙ্গে গানটির সুরও করেন মলয়। সেই সম্মেলনে এটি গেয়েছিলেন মলয়। সম্মেলনে উপস্থিত শ্রোতারা গানটি পছন্দ করেন ও প্রশংসা করেন।[৪] ১৯৯৬ সালের জুনে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার এক বছর পর প্রধানমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে গানটি গাওয়ার পরিকল্পনা করেন। সে সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী ফরিদ আহমেদের পরিচালনায় সাবিনা গানটি গান।[১]
তৎকালীন সামরিক জান্তার হুমকির ভয়ে ঢাকার কোনো স্টুডিও গানটি রেকর্ড করতে না চাইলে মলয় প্রথমবারের মতো ফ্রান্সে গানটি রেকর্ড করেন। গানটি রেকর্ড করার জন্য সামরিক সরকার মলয় কুমার গাঙ্গুলীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে ও তার সরকারি বাসভবন থেকে বের করে দেয়।[২] বাংলাদেশে ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের ফলে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পদত্যাগ করার পর সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়। এরপর হাসান মতিউর রহমান দ্বিতীয়বারের মতো চেনাসুর লেবেলে গানটি রেকর্ড করেন। জনতার নৌকা শিরোনামের অ্যালবামে গানটি প্রকাশিত হয়।[১] আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণার অ্যালবাম প্রকাশের পর গানটি জনপ্রিয়তা পায়।[২][৫] অ্যালবামটি ১৯৯১ সালে এত জনপ্রিয় হয়েছিল যে লোকেরা এটির ক্যাসেট কেনার জন্য লড়াইয়ে লিপ্ত হয়।[৪]
কৌশিক হোসেন তাপস পরিচালিত গানটির তৈরি নতুন সংস্করণটি গান বাংলা ও ইউটিউবে ১৫ আগস্ট ২০২১-এ প্রকাশিত হয়।[৬]
বছর | পুরস্কার | মনোনয়ন | বিভাগ | ফলাফল | সূত্র |
---|---|---|---|---|---|
২০২০ | নাট্যজন শ্যামল অধিকারী স্মৃতি পুরস্কার | হাসান মতিউর রহমান | শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত | বিজয়ী | [৭] |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.