Loading AI tools
বাংলাদেশি ইসলামি চিন্তাবিদ ও রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আহমদ আবদুল কাদের (জন্ম: ৩১ জুলাই ১৯৫৫) একজন বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত, রাজনীতিবিদ, লেখক। তিনি ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর সাথে আদর্শিক বিরোধে জড়িয়ে তিনি ছাত্র শিবির থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে ইসলামী যুব শিবির প্রতিষ্ঠা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। এরপর তিনি মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী, আজিজুল হক, সৈয়দ ফজলুল করিম, মুহিউদ্দীন খান সহ প্রমুখ খ্যাতিমান দেওবন্দি আলেমদের সান্নিধ্যে আসেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোট সহ প্রভৃতি দলের মাধ্যমে ইসলামি আন্দোলনে নেতৃত্বদানের পর বর্তমানে তিনি খেলাফত মজলিসের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমীর ছিলেন। এছাড়াও তিনি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নুসরা নামক জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা।
ডক্টর আহমদ আবদুল কাদের | |
---|---|
মহাসচিব, খেলাফত মজলিস | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২০০৫ | |
নায়েবে আমীর, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ | |
অফিসে ১৫ নভেম্বর ২০২০ – ২৫ এপ্রিল ২০২১ | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | |
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
সন্তান | ৫ |
পিতামাতা |
|
জাতিসত্তা | বাঙালি |
যুগ | আধুনিক |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | ইসলামি আন্দোলন, লেখালেখি, রাজনীতি |
উল্লেখযোগ্য কাজ |
|
যেখানের শিক্ষার্থী |
কাদের ১৯৫৫ সালের ৩১ জুলাই হবিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত মাধবপুর উপজেলার আলা দাউদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আব্দুর রহমান ও মাতা আছিয়া খাতুন। অত্র এলাকার রাজাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তিনি প্রাথমিক, আউলিয়াবাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণি, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং সিটি ল' কলেজ, ঢাকা থেকে এলএলবি ডিগ্রী লাভ করেন। অতঃপর তিনি বিশিষ্ট আলেমদের তত্ত্বাবধানে ইসলামের বিভিন্ন শাস্ত্রে পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। ২০১০ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ অর্থনীতি বিভাগের অধীনে তিনি পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। পেশায় তিনি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিষয়ের একজন অধ্যাপক। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং ৪ মেয়ে ও ১ ছেলের জনক।[1][2][3][4][5]
ছাত্রজীবন থেকে তিনি ইসলামি আন্দোলনের সাথে জড়িত। তিনি ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। ১৯৮২ সালে ছাত্র শিবিরকে জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হলে তিনি জামায়াতের সাথে আদর্শিক বিরোধে জড়িয়ে পড়েন এবং শিবির থেকে সেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে তিনি ইসলামী যুব শিবিরের প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন। ১৯৮৪ সালে ১৩ টি দলের সমন্বয়ে গঠিত মোহাম্মদ উল্লাহ হাফেজ্জীর নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদের তিনি অন্যতম উদ্যোক্তা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ১৯৮৭ সালে বৃহত্তর ইসলামি আন্দোলনের প্রয়াসে বিভিন্ন ইসলামি দল, সংগঠন ও ব্যক্তিত্বের সমন্বয়ে গঠিত ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের (বর্তমানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) তিনি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ১৯৮৯ সালের ৮ ডিসেম্বর তদানীন্তন খেলাফত আন্দোলন ও ইসলামী যুব শিবির একীভূত হয়ে আব্দুল গফফারকে আমীর ও ভাষাসৈনিক মাসউদ খানকে মহাসচিব এবং আজিজুল হককে অভিভাবক পরিষদের সভাপতি করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস গঠিত হয়। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ২০০১ সালে গঠিত চার দলীয় জোটের আন্দোলনের লিয়াজো কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। সে সময় তিনি ইসলামী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত তিনি ইসলামী ঐক্যজোট ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সহ-সভাপতি ছিলেন। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নীতিগত কারণে দু’ভাগ হয়ে যায়। একভাগ পূর্ব নামেই নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হয় আর আরেকভাগ খেলাফত মজলিস নামে নিবন্ধিত হয়। তখন থেকে তিনি খেলাফত মজলিসের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর নির্বাচিত হন। [4] এছাড়াও তিনি সমমনা ইসলামি দলসমূহের মুখপাত্র ও সমন্বয়কারী এবং বিশ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। [5][6]
২০১৩ ও ২০২১ সালে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল তিনি গ্রেফতার হন।[7]
তার রচিত বইয়ের সংখ্যা ৩৫ টি। এর মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে ২৭ টি:[5]
এছাড়াও তার শতাধিক নিবন্ধ ও দশটির অধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সেমিনার ও সম্মেলনে তার পেশকৃত নিবন্ধগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে :[5]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.