মাধবপুর উপজেলা
হবিগঞ্জ জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
হবিগঞ্জ জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মাধবপুর উপজেলা বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। সোনাই নদীর তীরে অবস্থিত মাধবপুর উপজেলাটি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম পীঠস্থান; এখানেই স্বাধীনতা যুদ্ধের সাংগঠনিক কাঠামো সম্পর্কিত প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় এবং এর ফলশ্রুতিতে সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টর ও ৩টি ব্রিগেড ফোর্সে বিভক্ত করে সূচিত হয় আনুষ্ঠানিক প্রতিরোধ যুদ্ধের।[২][৩]
মাধবপুর | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে মাধবপুর উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৬′৪″ উত্তর ৯১°১৭′৪৭″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
জেলা | হবিগঞ্জ জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২৯৫ বর্গকিমি (১১৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩,১৯,০১৬[১] |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩৩৩০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৬০ ৩৬ ৭১ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলা সদর হতে ৪৯ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত মাধবপুর উপজেলাটির আয়তন ২৯৫ বর্গ কিলোমিটার।[১] এই উপজেলার উত্তরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা ও লাখাই উপজেলা, দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ও ভারতের ত্রিপুরা, পূর্বে চুনারুঘাট উপজেলা ও ভারতের ত্রিপুরা, পশ্চিমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ও নাসিরনগর উপজেলা।[৪] মাধবপুর উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান ২৪.১০২৮° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১.২৯১৭° পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে।[৫] সোনাই ও বোয়ালিয়া - এই উপজেলার প্রধান দুটি নদী।[৬]
১৮০৪ সালে প্রথম মাধবপুর থানা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং মাধবপুর থানা থেকে ১৯৮৩ সালের ১ আগস্ট তারিখে উপজেলায় উন্নীত হয়।
১৮০৪ সালে মাধবপুর থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে এ উপজেলার নামকরণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য কোথাও পাওয়া যায়নি। জনশ্রুতি রয়েছে যে, মহাদেব নামে একজন সাধক ছিলেন এবং তাঁর অনেক ভক্তবৃন্দ ছিল। জনগণের ভাষ্যমতে তাঁরই নামে প্রথমে মহাদেবপুর তারপর মহাদেবপুর থেকে মাধবপুর নামকরণ হয়েছে।
তেলিয়াপাড়ার যুদ্ধ - ৪ এপ্রিল, ১৯৭১ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের উধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা তেলিয়াপাড়ায় ২য় ইষ্ট বেঙ্গলের সদরদপ্তরে সমবেত হন। চা বাগান পরিবেষ্টিত পাহাড়ী এ অঞ্চলে জেনারেল এম এ জি ওসমানী, লে: কর্ণেল আব্দুর রব, লে: কর্ণেল সালাউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা, মেজর কাজী নুরুজ্জামান , মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর নুরুল ইসলাম, মেজর শাফায়াত জামিল, মেজর মইনুল হোসাইন চৌধুরীসহ অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন সেদিন। সেদিনের সভায় চারজন সিনিয়র অফিসারকে যুদ্ধকালীন কর্মক্ষেত্র ভাগ করে দেয়া হয়; সিলেট-বাহ্মণবাড়ীয়া এলাকায় মেজর শফিউল্লা, কুমিল্লা-নোয়াখালী এলাকায় মেজর খালেদ মোশাররফ, চট্টগ্রাম-পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় মেজর জিয়াউর রহমান এবং কুষ্টিয়া-যশোর এলাকায় মেজর আবু ওসমান চৌধুরীকে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এই সভাতেই মুক্তিবাহিনী সাংগঠনিক ভাবে পরিপুষ্ট হয়ে উঠে এবং জেনারেল এম এ জি ওসমানীর নেতৃত্ব গ্রহণ করা হয়।
মাধবপুর উপজেলাটি সোনাই নদীর তীরে অবস্থিত। এছাড়াও রয়েছে খাসটি নদী, বোয়ালিয়া নদী।
মাধবপুর উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম মাধবপুর থানার আওতাধীন।[৭]
২০২৩ সালের নির্বাচন অফিসের তথ্যমতে এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২৬৮৩১৫ জন।[৮] মাধবপুরে বর্তমান ভোট সংখ্যা ২৬৮৩১৫ জন। পুরুষ ও নারী ভোটার এখানে প্রায় সমান সমান।
এখানে ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের মানুষ বসবাস করে। এছাড়াও এখানে রয়েছে চা-জনগোষ্ঠী ও বাউল সম্প্রদায়।
এখানে শিক্ষার গড় হার ৪০%; পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৪২% এবং মহিলাদের মধ্যে ৩৮%। এখানে রয়েছেঃ
১।মাধবপুর প্রেসক্লাব (প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দ )
২। মাধবপুর উপজেলা প্রেসক্লাব ( প্রতিষ্ঠাকাল ২০২২ খ্রিস্টাব্দ)
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.