আখাউড়া উপজেলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আখাউড়া উপজেলা বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ উভয়ের জন্য একটি ঐতিহাসিক শহর। আখাউড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার প্রাণকেন্দ্র।
আখাউড়া | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে আখাউড়া উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫২′৫৯″ উত্তর ৯১°১৩′১০″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা |
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ | ২৪৬ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ |
সরকার | |
• জাতীয় সংসদ সদস্য | পদ শূন্য |
• উপজেলা চেয়ারম্যান | পদ শূন্য |
আয়তন | |
• মোট | ৯৮.০৫ বর্গকিমি (৩৭.৮৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ৬,৬৬,৬৬৬ |
• জনঘনত্ব | ৬,৮০০/বর্গকিমি (১৮,০০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫২.৭% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩৪৫০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ১২ ০২ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
আখাউড়া উপজেলার আয়তন ৯৮.০৫ বর্গ কিলোমিটার (২৪,২২৮ একর)।[1] এ উপজেলার উত্তরে বিজয়নগর উপজেলা, দক্ষিণে কসবা উপজেলা, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা, পশ্চিমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ও কসবা উপজেলা।
এই অঞ্চলটি হরিকেল নামক জনপদের অংশ ছিলো। কালক্রমে এই অঞ্চলটি ত্রিপুরা রাজ্যের জমিদার মহারাজা বীর বিক্রম রাধা কিশোর মানিক্য বাহাদুরের জমিদারের অংশে পরিণত হয়। এই জমিদারের চাকলা রৌশনাবাদ এষ্টেটের মোগড়া রাজকাচারী ও আখাউড়াস্থ তহশীল কাচারীর ছিলো বর্তমান আখাউড়া সদর থেকে ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে। এই কাচারী দুটির মাধ্যমে এই অঞ্চলের জমিদারীর যাবতীয় খাজনাদি আদায়সহ জমিদারী ব্যবস্থা কার্যাদি পরিচালিত হতো। মহারাজার জমিদারীর দ্বিতীয় রাজধানী ছিল কুমিল্লা। কুমিল্লার রাজবাড়ীতে যাতায়াতের জন্য সে সময় আখাউড়া-আগরতলা সড়ক ব্যবহৃত হতো। এছাড়া আসাম বেঙ্গল রেলপথে চলাচলের জন্য জমিদার সপরিবারে আখাউড়া কাচারীতে অবস্থান করতেন। তিনি এ অঞ্চলের রাধানগরে রাধামাধবের আখড়া, দুর্গাপুরে দুর্গাদেবীর আখড়া, মোগড়া হাওড়া নদীর পাড়ের আখড়া, মনিয়ন্দের আখড়া ইত্যাদি নিজ খরচে নির্মাণ করেছিলেন। সে সময়ে এ অঞ্চলে আখড়ার আধিক্যের কারণে এই অঞ্চল কালক্রমে আখাউড়া নামে পরিচিতি লাভ করে। এছাড়া এটি সে সময়ের পূর্ববঙ্গের প্রবেশদ্বার বলে পরিচিতি লাভ করে। বর্তমান আখাউড়া বাংলাদেশের সর্ব পূর্ব দিকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা সীমান্তবর্তী স্থানে অবস্থিত। ব্রিটিশ আমলে আখাউড়া থেকে প্রচুর পাট সুদূর বিলেতের শিল্পনগরী ডাণ্ডিতে রপ্তানি হতো। ফলে ব্রিটিশ শাসনামলে এই রেল স্টেশনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।
ইংরেজ শাসনামলে কসবার ১০ টি ইউনিয়ন আখাউড়া উপজেলার ছিলো। পরে কসবা উপজেলা হয় ১৯৭৬ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর আর আখাউড়া উপজেলা হয় ১৯৮৯ সাল ২৩ এপ্রিল। আখাউড়া উপজেলা বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ভূমিকা অনেক রেখেছে।
আখাউড়া উপজেলা ব্রিটিশ আমলে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী ছিল পরে এটাকে কুমিল্লায় স্থাপন করা হয়। কসবা উপজেলা আগে আখাউড়া উপজেলার একটি সাধারণ ইউনিয়ন ছিলো।
আখাউড়া উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম আখাউড়া থানার আওতাধীন।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী আখাউড়া উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৬,৬৬,৬৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩,৩৩,৩৩৩ জন এবং মহিলা ৩,৩৩,৩৩৩ জন।[2]
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী আখাউড়া উপজেলার সাক্ষরতার হার ৯৬.৯%।[1] এখানে রয়েছে:
স্বাস্থ্য সেবাদানের জন্য রয়েছেঃ
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৪৪.২৩%, অকৃষি শ্রমিক ৯৯.৭০%, শিল্প ৭৬.৮০%, ব্যবসা ৯৯.১৭%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১০০%, চাকরি ৮৭.১৬%, নির্মাণ ৯৮.৩২%, ধর্মীয় সেবা ৯৫.২৬%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৮৭.০৯% এবং অন্যান্য ৬৪.৯৯%। এখানকার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কৃষক।
আখাউড়া উপজেলায় ১৯৯ টি হাটবাজার রয়েছে।
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[4] | সংসদ সদস্য[5][6][7][8][9] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৪৬ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ | আখাউড়া উপজেলা এবং কসবা উপজেলা | আনিসুল হক | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.