Loading AI tools
অ্যাডভোকেট এবং রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
অ্যাডভোকেট আনিসুল হক হলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, আইনজীবী। তিনি ২৪৬ নং (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একজন সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন।[2] পুনরায় ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করেন।[3]
আনিসুল হক | |
---|---|
বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৭ জানুয়ারি ২০১৪ – ৬ আগস্ট ২০২৪ | |
পূর্বসূরী | শফিক আহমেদ (মন্ত্রী) |
উত্তরসূরী | আসিফ নজরুল (উপদেষ্টা) |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৫ জানুয়ারি ২০১৪ – ৬ আগস্ট ২০২৪ | |
প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
পূর্বসূরী | শাহ আলম |
সংখ্যাগরিষ্ঠ | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া[1] | ৩০ মার্চ ১৯৫৬
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
পিতামাতা | সিরাজুল হক (বাচ্চু মিয়া) জাহানারা হক |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংস কলেজ লন্ডন |
পেশা | রাজনীতি |
জীবিকা | আইনজীবী |
ধর্ম | ইসলাম |
আনিসুল হক তৎকালীন কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার (বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা) কসবার পানিয়ারূপ গ্রামে ৩০ মার্চ ১৯৫৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সিরাজুল হক (বাচ্চু মিয়া) এবং মাতা জাহানারা হক।[4] প্রয়াত অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক ও তাঁর ছেলে অ্যাডভোকেট আনিসুল হক তারা দু’জনেই বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে ১৯৮০-২০১৪ সময়কালে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, শীর্ষস্থানীয় ও সংবেদনশীল ফৌজদারি মামলার আইনজীবী হিসাবে কাজ করেছিলেন।[5]
আনিসুল হক কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকার সেন্ট জোসেফ হাই স্কুল থেকে ও-লেভেল পাস করেন। এরপরে তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের মাধ্যমে এ-লেভেল সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য বিভাগে ভর্তি হন। এ বিষয়ে তিনি স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাস করে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে এলএলএম পাস করেন।[5]
আনিসুল হক ১৯৮৫ সালের নভেম্বর মাসে ঢাকা জেলা আইনজীবী এবং ১৯৮৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০১ সালে তিনি আইনজীবী হিসাবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ভর্তি হন এবং ২০১০ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হন। বাবার মৃত্যুর পরে আনিসুল হক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা এবং জেল হত্যা মামলা উভয়ের প্রধান প্রসিকিউটর হয়েছিলেন। তার আইনি পরামর্শে বঙ্গবন্ধু খুনের মামলাটি শেষ হয় এবং বাংলাদেশের শীর্ষ আদালত রায় প্রদান করে। আনিসুল হক দুর্নীতি দমন কমিশন বাংলাদেশের প্রধান আইনজীবী ও বিশেষ প্রসিকিউটরও ছিলেন। আনিসুল হক পিলখানা হত্যা মামলার প্রধান প্রসিকিউটর ছিলেন যা ২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিডিআর বিদ্রোহের সাথে সম্পৃক্ত।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মরহুম সিরাজুল হক এবং তাঁর ছেলে আনিসুল হক দু'জনেই ১৯৮০-২০১৪ সময়কালে বাংলাদেশের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ, শীর্ষস্থানীয় এবং সংবেদনশীল ফৌজদারি মামলার পরামর্শক হিসাবে কাজ করেছেন।[5]
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আনিসুল হক কসবা ও আখাউড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ৯ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। এরপরে, তাকে ১২ জানুয়ারি ২০১৪-এ শেখ হাসিনার তৃতীয় মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।[5]
আনিসুল হক ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৩ জানুয়ারি ২০১৯ সালে সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন এবং ৭ জানুয়ারি ২০১৯ সালে শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রীসভার সদস্য শপথ গ্রহণ করেন। এ মন্ত্রীসভায় তাকে পুনরায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর পদে নিযুক্ত করা হয়। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে পর পর দুবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী প্রথম ব্যক্তি।[5]
আনিসুল হক ১৯৮৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর নুর আমতুল্লাহ রিনা হকের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। নুর আমতুল্লাহ রিনা হক ১৯৯১ সালের ২ জানুয়ারি সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।[5]
আনিসুল হক ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর ১৩ আগস্ট পর্যন্ত আত্মগোপনে ছিলেন। ১৩ আগস্ট নদীপথে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা সদরঘাটে পুলিশের হাতে ধরা পরেন। ২০২৪-এ বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে একজন ছাত্র ও একজন হকার নিহত হন। এ হত্যার ঘটনায় ইন্ধনদাতা হিসেবে উনাকে গ্রেফতার করা হয়।[6]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.