মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ মসজিদ
ভারতের অযোধ্যার ধন্নিপুরে অবস্থিত মসজিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ভারতের অযোধ্যার ধন্নিপুরে অবস্থিত মসজিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ মসজিদ বা অযোধ্যা মসজিদ অযোধ্যা বিবাদ মামলার রায়ের পর ভারতের সুপ্রিম কোর্টের মনোনীত স্থানে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা জেলার ধন্নিপুরে নির্মিত হচ্ছে।[1] ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের অধীনে মসজিদ ও সংশ্লিষ্ট প্রাঙ্গণের নির্মাণকাজ চলছে।[2][3] মসজিদটি অযোধ্যার রাম মন্দির থেকে প্রায় ২২ কিমি দূরে অবস্থিত।[1]
মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
শাখা/ঐতিহ্য | সুন্নি |
জেলা | অযোধ্যা জেলা |
যাজকীয় বা সাংগঠনিক অবস্থা | নির্মানাধীন |
পরিচালনা সংস্থা | উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড |
অবস্থান | |
অবস্থান | ধন্নিপুর, অযোধ্যা |
পৌরসভা | ধন্নিপুর |
রাজ্য | উত্তর প্রদেশ |
দেশ | ভারত |
স্থানাঙ্ক | ২৬.৭৬২° উত্তর ৮২.০০২° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
প্রতিষ্ঠাতা | উত্তরপ্রদেশ সরকার উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড |
ভূমি খনন | ২৬ জানুয়ারী ২০২১ |
অযোধ্যা বিবাদ |
---|
অযোধ্যার পুরাতত্ত্ব (বিষ্ণু হরি শিলালিপি) |
বাবরি মসজিদ |
বাবরি মসজিদ ধ্বংস |
রাম জন্মভূমি |
অযোধ্যা গুলি চালানোর ঘটনা |
২০০৫ রাম জন্মভূমি জঙ্গি হানা |
সংগঠন |
অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা |
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ |
রাম জন্মভূমি ন্যাস |
শিবসেনা |
ভারতীয় জনতা পার্টি |
লিবারহান কমিশন |
নির্মোহী আখাড়া |
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ |
সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড |
ব্যক্তিত্ব |
বাবর |
অশোক সিংঘল |
অটলবিহারী বাজপেয়ী |
লালকৃষ্ণ আডবাণী |
কল্যাণ সিং |
মুরলি মনোহর যোশী |
উমা ভারতী |
২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়।[2] ১৮৫৭ সালের ভারতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতা আহমদুল্লাহ শাহের সম্মানে মসজিদটির আনুষ্ঠানিক নামকরণ করা হয় আহমদুল্লাহ শাহ মসজিদ, কিন্তু পরবর্তীতে এর নাম পরিবর্তন করে মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ মসজিদ করা হয়।[4]
ধন্নিপুর হলো ফৈজাবাদ জেলার (অযোধ্যা জেলা) সোহাওয়াল তহসিলে অবস্থিত একটি গ্রাম। মসজিদের জন্য নির্ধারিত জমিটি বাবরি মসজিদ থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
২০২১ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং চারা রোপণের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পটি চালু করে। মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি হাসপাতাল, যাদুঘর, গ্রন্থাগার ও একটি রান্নাঘর রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২,০০০ জন খেতে পারে। এছাড়াও একটি ইন্দো-ইসলামিক সংস্কৃতি গবেষনা কেন্দ্র ও একটি প্রকাশনা হাউস রয়েছে।[5]
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এর বিবৃতি অনুযায়ী, মসজিদটির নির্মাণ ওয়াকফ আইনের পরিপন্থী এবং শরিয়ত আইনের অধীনে বেআইনি।[6] এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি দাবি করেন যে, মসজিদ নির্মাণের জন্য অর্থ দান করা এবং মসজিদে প্রার্থনা করা ইসলামি নীতি অনুসারে হারাম (নিষিদ্ধ), যার জবাবে মসজিদ ট্রাস্ট বলেছিল যে, "মানবতার সেবা করা হারাম নয়"।[7]
দিল্লির দুই বোন এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে একটি পিটিশন দাখিল করে মসজিদের জন্য বরাদ্দকৃত ২৮ একর জমির মালিকানা দাবি করে। তারা বলেছিল যে, দেশভাগের সময় তাদের বাবাকে এটা দেওয়া হয়েছিল।[8]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.