আসাদউদ্দিন ওয়াইসি

ভারতীয় রাজনীতিবিদ (জন্ম ১৯৬৯) উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

আসাদউদ্দিন ওয়াইসি

আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (জন্ম ১৩ মে ১৯৬৯) একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ, যিনি সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) তৃতীয় এবং বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[] তিনি ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ হায়দ্রাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী এলাকা থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

দ্রুত তথ্য আসাদউদ্দিন ওয়াইসিব্যারিস্টার, ৩য় সভাপতি, সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন ...
আসাদউদ্দিন ওয়াইসি
২০২০ সালে ওয়াইসি
৩য় সভাপতি, সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮
পূর্বসূরীসুলতান সালাহউদ্দিন ওয়াইসি
লোকসভা সদস্য
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১৭ মে ২০০৪
পূর্বসূরীসুলতান সালাহউদ্দিন ওয়াইসি
নির্বাচনী এলাকাহায়দ্রাবাদ লোকসভা কেন্দ্র
অন্ধ্র প্রদেশ বিধানসভা সদস্য
কাজের মেয়াদ
১ ডিসেম্বর ১৯৯৪  ২৬ এপ্রিল ২০০৪
পূর্বসূরীভিরাসাত রসূল খান
উত্তরসূরীসৈয়দ আহমেদ পাশা কাদরি
নির্বাচনী এলাকাচারমিনার বিধানসভা কেন্দ্র
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মআসাদউদ্দিন ওয়াইসি
(1969-05-13) ১৩ মে ১৯৬৯ (বয়স ৫৫)
হায়দ্রাবাদ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ভারত
নাগরিকত্বভারত
জাতীয়তাভারতীয়
রাজনৈতিক দলসর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন
দাম্পত্য সঙ্গীফারহিন ওয়াইসি (বিবাহিত ১৯৯৬ সালে)
সম্পর্কআকবরউদ্দিন ওয়াইসি (ভ্রাতা)
সন্তান
মাতানাজামুন্নিসা
পিতাসুলতান সালাহউদ্দিন ওয়াইসি
বাসস্থান৩৬–১৪৯, হায়দারগুডা, হায়দ্রাবাদ, তেলেঙ্গানা
৩৪, অশোকা রোড, নয়াদিল্লি, দিল্লি
প্রাক্তন শিক্ষার্থীওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বিএ)
লিংকনস্‌ ইন (ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল)
জীবিকাআইনজীবী
পুরস্কার
  • সংসদ রত্ন ২০১৪
  • শ্রেষ্ঠ সংসদ সদস্য ২০২২
ডাকনাম
  • নকীব-এ-মিল্লাত
  • কায়েদ
  • সাধারণভাবে "আসাদ ভাই" নামে পরিচিত
বন্ধ

বহু বছর ধরে, তিনি দ্য রয়েল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার (আরআইএসএসসি) কর্তৃক প্রকাশিত বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিমদের তালিকায় নিয়মিতভাবে স্থান পেয়ে আসছেন।[][]

প্রারম্ভিক জীবন ও পটভূমি

ওয়াইসি ১৯৬৯ সালের ১৩ই মে সুলতান সালাহউদ্দিন ওয়াইসি ও নাজমুননিসা বেগমের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[] তিনি হায়দ্রাবাদের একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য।[] তার দাদা আব্দুল ওয়াহেদ ওয়াইসি ১৯৫৭ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন রাজনৈতিক দলটিকে সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন নামে পুনরায় চালু করেন। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি কাসিম রাজভির স্থলাভিষিক্ত হয়ে দলটির সভাপতি হন।[] তার বাবা সুলতান সালাহউদ্দিন ১৯৬২ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে নির্বাচিত হন।[] সুলতান সালাহউদ্দিন ওয়াইসি ১৯৮৪ সালে প্রথমবার হায়দ্রাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভারতীয় সংসদে নির্বাচিত হন এবং ২০০৪ সাল পর্যন্ত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসেন, এরপর তিনি আসাদউদ্দিনের পক্ষে পদত্যাগ করেন। তিনি ২০০৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[]

ব্যক্তিগত জীবন

ওয়াইসি ১৯৯৬ সালের ১১ ডিসেম্বর ফারহিন ওয়াইসিকে বিয়ে করেন।[] এই দম্পতির ছয় সন্তান রয়েছে, যার মধ্যে পাঁচ মেয়ে - খুদসিয়া ওয়াইসি, ইয়াসমিন ওয়াইসি, আমেনা ওয়াইসি, মাহীন ওয়াইসি ও আতিকা ওয়াইসি[১০][১১][১২] এবং এক ছেলে, সুলতানউদ্দিন ওয়াইসি (জন্ম ২০১০)। তার মায়ের নাম নাজিমা বেগম।[১৩] তিনি হায়দ্রাবাদের মেলারদেভপল্লীর শাস্ত্রীপুরমে বসবাস করেন।[১৪][১৫] তার বড় মেয়ে খুদসিয়া ওয়াইসির বাগদান নবাব শাহ আলম খানের (পিতার দিক থেকে) নাতি এবং মইনুদ্দিন খান সান্দোজাইয়ের (মাতার দিক থেকে) দৌহিত্র বরকত আলম খানের সাথে ২৪ মার্চ ২০১৮ সালে সম্পন্ন হয়।[১৬][১৭][১৮] তার দ্বিতীয় মেয়ে ইয়াসমিন ওয়াইসির বিয়ে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে চিকিৎসক মাজারউদ্দিন আলি খানের ছেলে আবিদ আলি খানের সাথে সম্পন্ন হয়, যিনি সিয়াসাত ডেইলির সম্পাদক জাহিদ আলি খানের চাচাতো ভাই।[১৯] তার তৃতীয় মেয়ে আমীনা ওয়াইসির বিয়ে ২০২২ সালের ২২শে ডিসেম্বর ফাহাদ বেগের সাথে সম্পন্ন হয়।[২০] তার সমর্থকরা তাকে নকীব-এ-মিল্লাত (সম্প্রদায়ের নেতা) হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। তিনি উর্দু/হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষায় সাবলীল।[২১] তিনি লম্বা শেরওয়ানি, একটি ইসলামিক টুপি এবং ছাঁটা দাড়ি রাখেন।[১১]

রাজনৈতিক কর্মজীবন

সারাংশ
প্রসঙ্গ

আসাদউদ্দিন ভারতের সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) দলের তৃতীয় জাতীয় সভাপতি, এর আগে তার পিতা ও পিতামহ এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এআইএমআইএম একটি সংখ্যালঘু দল।

আসাদউদ্দিন ১৯৯৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি চারমিনার নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, যে আসনটি ১৯৬৭ সাল থেকে তার দল জয়লাভ করে আসছে। উক্ত নির্বাচনে তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, নবগঠিত মজলিস বাঁচাও তেহরিকের প্রার্থীকে প্রায় ৪০ হাজার ভোটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেন। এর মাধ্যমে তিনি ভিরাসাত রসূল খানের স্থলাভিষিক্ত হয়ে ঐ নির্বাচনী এলাকার নির্বাচিত প্রতিনিধি হন। ১৯৯৯ সালের পরবর্তী নির্বাচনে, তিনি তেলেগু দেশম পার্টির সৈয়দ শাহ নুরু্ল হক কাদরীকে ৯৩ হাজার ভোটের আরও বড় ব্যবধানে পরাজিত করেন। সেই নির্বাচনে আসাদউদ্দিন মোট ১ লক্ষ ২৬ হাজার ভোট লাভ করেন। যদিও, ২০০৪ সালের নির্বাচনে তিনি আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি এবং সৈয়দ আহমেদ পাশা কাদরী ঐ আসন থেকে বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন।[২২][২৩] ২০০৪ সালে, ওয়াইসির পিতা সুলতান সালাহউদ্দিন ওয়াইসি, যিনি দীর্ঘদিন ধরে লোকসভায় হায়দ্রাবাদ নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করে আসছিলেন, শারীরিক অসুস্থতার দরুন পরবর্তী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই নির্বাচনী এলাকার প্রায় ৭০ শতাংশ ভোটার মুসলিম[২৪] পূর্ববর্তী নির্বাচনে তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুভাষ চন্দরজির ২৮ শতাংশ ভোটের বিপরীতে ৩৮ শতাংশ ভোট লাভ করেছিলেন।[২৫]

Thumb
২০০৬ সালে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি

২০০৮ সালে, কমিউনিস্ট পার্টিগুলোর সমন্বয়ে গঠিত বামফ্রন্ট জোট তৎকালীন সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট নেতৃত্বাধীন ভারত সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়। এর মূল কারণ ছিল ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ. বুশ স্বাক্ষরিত ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অসামরিক পরমাণু চুক্তি। এই চুক্তির অধীনে ভারত পারমাণবিক অস্ত্র বহাল রাখতে পারলেও, এর বিনিময়ে আন্তর্জাতিক পরিদর্শনের অনুমতি দিতে বাধ্য ছিল। কমিউনিস্ট দলগুলোর অভিমত ছিল যে এই চুক্তির ফলে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের একটি ক্রীড়নক রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বামফ্রন্ট কর্তৃক সমর্থন প্রত্যাহারের ফলস্বরূপ, ভারতীয় সংসদে একটি আস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়েছিল।[২৬] উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী যখন বলেন যে ভারতের মুসলমানরা এই চুক্তির বিরোধিতা করছে, তখন ওয়াইসি এর প্রতিক্রিয়ায় বলেন যে এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চেষ্টা, যার মাধ্যমে চুক্তিটিকে একটি সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ওয়াইসি আস্থা ভোটের সময় সংযুক্ত প্রগতিশীল জোটের প্রতি তার সমর্থন ঘোষণা করেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে তার প্রধান লক্ষ্য হলো বিরোধী ডানপন্থী দল ভারতীয় জনতা পার্টিকে ক্ষমতা দখল করা থেকে এবং লাল কৃষ্ণ আডবাণীকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া থেকে বিরত রাখা।[২৭] তিনি আরও উল্লেখ করেন:

বিদেশনীতির ওপর এর প্রভাব নিয়ে আমাদের আপত্তি থাকবে, কিন্তু কোনো অবস্থাতেই আমরা বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে দিতে চাই না। কোনো অবস্থাতেই আমরা জনাব আডবাণীকে এই মহান জাতির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই না, যিনি বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার একজন অভিযুক্ত। তার প্রধানমন্ত্রী হওয়া মুসলমানদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করবে এবং ধর্মনিরপেক্ষতাকে দুর্বল করবে।[২৭]

২০০৯ সালের ভারতীয় সাধারণ নির্বাচনে, উর্দু দৈনিক দ্য সিয়াসাত ডেইলি-এর প্রধান সম্পাদক জাহিদ আলি খান ওয়াইসির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী তেলুগু দেশম পার্টি, ভারত রাষ্ট্র সমিতি, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)-এর সমর্থন পান।[২৮] হিন্দুস্তান টাইমস লেখে যে হায়দ্রাবাদ নির্বাচনী কেন্দ্রে এআইএমআইএম পার্টি "কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার" সম্মুখীন হয়।[২৯] তবে, ওয়াইসি বিজয়ী হন এবং আলি খানকে প্রায় এক লক্ষ দশ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। তিনি ২০০৪ সালের নির্বাচনের তুলনায় এ দফায় তার জয়ের ব্যবধান দশ হাজার ভোট বাড়াতে সক্ষম হন।[৩০]

অক্টোবর ২০১৩ সালে ১৫তম ভারতীয় সংসদের অধিবেশনে তার কর্মদক্ষতার জন্য ওয়াইসি ২০১৪ সালের সংসদ রত্ন পুরস্কার লাভ করেন। এই সময়কালে, তিনি সংসদে মোট ১০৮০টি প্রশ্ন উত্থাপন করেন, যা সেই সময়ের জাতীয় গড় ২৯২টি প্রশ্নের তুলনায় অনেক বেশি। সংসদে তার উপস্থিতি ছিল শতকরা ৭০ ভাগ।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] দ্য মিল্লি গেজেট লেখে যে তিনি "লোকসভায় (ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ) তার সাহসী বক্তৃতার জন্য জাতীয়ভাবে ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক সম্মান অর্জন করেন"। সংসদে তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এছাড়াও, সংসদে ওয়াকফ সম্পত্তির প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে, তৎকালীন গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ স্বীকার করেন যে ওয়াকফকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা না করা তাদের মন্ত্রণালয়ের একটি ত্রুটি ছিল।[৩১][৩২][৩৩]

এপ্রিল ২০১৪ সালে, ওয়াইসি ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে হায়দ্রাবাদ নির্বাচনী এলাকা থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তিনি ২.৭ মিলিয়ন রুপি (প্রায় ৪২,০০০ ডলার) মূল্যের অস্থাবর সম্পত্তি এবং ৩০ মিলিয়ন রুপি (প্রায় ৪৬৩,০০০ ডলার) মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি ঘোষণা করেন।[৩৪] তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতীয় জনতা পার্টির ভগবান্থ রাওকে ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে পুনরায় এই নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচিত হন।[৩৫]

ওয়াইসি ঘোষণা করেন যে তার দল এআইএমআইএম ২০১৫ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে মূলত রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত সীমানচল অঞ্চল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।নিউজ১৮ ইন্ডিয়া লেখে যে দলীয় প্রার্থীরা ভোট ভাগ করে দেবেন এবং ভোটাররা তাকে হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির এজেন্ট বলে সন্দেহ করেন।[৩৬] তিনি বলেন, নির্বাচনে তাদের জয়লাভের সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বাস্তববাদী ছিলেন। তিনি আরও বলেন যে সীমানচল অঞ্চলটি অনুন্নত এবং এর জন্য তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্টিকে দায়ী করেন। তিনি জানান, তার উদ্দেশ্য ছিল এই অঞ্চলের জন্য একটি আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিষদ গঠনের জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।[৩৭] যদিও দলটি সীমানচল অঞ্চলের ছয়টি নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, তবুও এটি কোনো আসনে জিততে পারেনি।[৩৮]

চতুর্থবারের মতো হায়দ্রাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ওয়াইসি ১৩ কোটি রুপির বেশি সম্পত্তির ঘোষণা করেন, কিন্তু কোনো গাড়ির মালিক নন বলে দাবি করেন।[৩৯]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.