সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন
ভারতের রাজনৈতিক দল উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সর্বভারতীয় মজলিসে-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমীন (অর্থাৎ সর্বভারতীয় মুসলমানের ইত্তেহাদের মজলিস) বা এমআইএম হল একটি ভারতীয় রাজনৈতিক দল।[৪] এর প্রধান কার্যালয় পুরাতন শহর হায়দ্রাবাদে অবস্থিত। এটি ভারতের তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং বিহার রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল।[৫]
সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন | |
---|---|
![]() | |
সংক্ষেপে | এআইএমআইএম মিম |
সভাপতি | আসাদউদ্দিন ওয়াইসি |
প্রতিষ্ঠাতা | নবাব মাহমুদ নওয়াজ খান |
প্রতিষ্ঠা | ১২ নভেম্বর ১৯২৭ |
সদর দপ্তর | দারুসালাম, আঘাপুরা, হায়দ্রাবাদ, তেলঙ্গানা, ভারত। |
সংবাদপত্র | ইন্ডিয়ান ইতেমাদ (উর্দু) |
সদস্যপদ (২০১৮) | ১,০৮,৪৭৩[১] |
ভাবাদর্শ | সম্মিলিত জাতীয়তাবাদ দলিত অধিকার সংখ্যালঘু অধিকার সংবিধানবাদ |
রাজনৈতিক অবস্থান | মধ্য-দক্ষিণপন্থী[২][৩] |
জোট | সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট (২০০৮-২০১২) গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক সেক্যুলার ফ্রন্ট (২০২০-) ভাগীদারী সংকল্প মোর্চা |
লোকসভা | ১ / ৫৪৫
|
রাজ্যসভা | ০ / ২৪৫
|
তেলঙ্গানা | ৭ / ১১৯
|
মহারাষ্ট্র | ১ / ২৮৮
|
বিহার | ১ / ২৪৩
|
নির্বাচনী প্রতীক | |
![]() | |
ওয়েবসাইট | |
www |
১৯৮৪ সাল থেকে এআইএমআইএম হায়দ্রাবাদ আসনের লোকসভা আসন দখল করে আছে। ২০১৪ সালের তেলঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে দলটি সাতটি আসন জিতেছিল এবং ভারতের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক "রাজ্য দল" হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল।[৬]
এর অস্তিত্বের বেশিরভাগ সময়, পুরাতন হায়দ্রাবাদের বাইরে এর উপস্থিতি খুব কম ছিল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, এটি অন্যান্য রাজ্যেও প্রসারিত হতে শুরু করেছে। এখন মহারাষ্ট্রে এর উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে, ইমতিয়াজ জলিল ২০১৯ সালে ঔরঙ্গাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছেন এবং একাধিক সদস্য বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছেন।[৭] এটি ২০২০ সালে বিহারেও প্রবেশ করে পাঁচটি বিধানসভা আসন জিতেছে।[৮][৯][১০][১১]
উৎপত্তি
সারাংশ
প্রসঙ্গ
এআইএমআইএম মূলত ১৯২৭ সালে হায়দ্রাবাদ রাজ্যের নবাব মাহমুদ নওয়াজ খান কিলেদার কর্তৃক মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা উলামায়ে মাশায়েকিনের উপস্থিতিতে একটি দেশভাগের সমর্থক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[১২] প্রথম সভাটি ১৯২৭ সালের ১২ নভেম্বর নওয়াজ খানের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় ।[১৩][১৪][১৫] ১৯৩৮ সালে বাহাদুর ইয়ার জং এমআইএম-এর সভাপতি নির্বাচিত হন। সেই সময়ে এর কেবল একটি সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় ইশতেহার ছিল। এটি শীঘ্রই একটি রাজনৈতিক রূপ ধারণ করে। ১৯৪৪ সালে বাহাদুর ইয়ার জং- এর মৃত্যুর পর, কাসিম রিজভীকে এর নেতা নির্বাচিত করা হয়।[১৬] পুলিশি অভিযানের ( অপারেশন পোলো নামে) পর ভারত সরকার হায়দ্রাবাদ রাজ্যকে ভারতের সাথে একীভূত করে এবং এর নেতা কাসিম রিজভী সহ রাজাকারদের গ্রেপ্তার করে । ১৯৫৭ সালে তিনি পাকিস্তানে যাওয়ার শর্তে কারাগার থেকে মুক্তি পান।

১৯৫৮ সালে পাকিস্তানে যাওয়ার আগে রাজভী আবদুল ওয়াহিদ ওয়াইসিকে তার উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত করেন। আইনজীবী আবদুল ওয়াহেদ ওয়াইসি দলটিকে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনে সংগঠিত করেন।[১৭][১৮] তার নেতৃত্বে এআইএমআইএম স্বাধীনতার কট্টর নীতি থেকে বাস্তবমুখী দিকে সরে আসে।[১৯] আব্দুল ওয়াহেদ ওয়াইসির পর, তার পুত্র সুলতান সালাহউদ্দিন ওয়াইসি ১৯৭৫ সালে এআইএমআইএম-এর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং তাকে সালার-ই-মিল্লাত (সম্প্রদায়ের কমান্ডার) হিসেবে উল্লেখ করা হয় ।[২০][২১] এআইএমআইএম-এর সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, তার পুত্র দাবি করেন যে এআইএমআইএম রাজাকারদের বংশধর নয় ।[২২]
ভারতীয় রাজনীতিতে
নির্বাচনী কর্মক্ষমতা
নেতৃত্ব
সদর দপ্তর
প্রধান দলীয় কার্যালয় দারুসসালামের মধ্যেই অবস্থিত, যেখানে ডেকান কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি , ডেকান স্কুল অফ ফার্মেসি, ডেকান স্কুল অফ প্ল্যানিং অ্যান্ড আর্কিটেকচার এবং ডেকান স্কুল অফ ম্যানেজমেন্টও অবস্থিত। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পাশেই ইন্ডিয়ান এতিম প্রেস অফিস অবস্থিত। ক্যাম্পাসের খোলা মাঠটি সময়ে সময়ে রাজনৈতিক সমাবেশ ("জলসা" নামে পরিচিত) আয়োজনের জন্যও ব্যবহৃত হয় যেখানে দলীয় নেতারা জনসাধারণ এবং মিডিয়ার সামনে বক্তৃতা দেন।
বিতর্ক
২০২০ সালে ফেব্রুয়ারিতে ভারতের কর্ণাটকের কালাবুরাগি অঞ্চলের পুলিশ দলীয় নেতা ওয়ারিস পাঠানকে তার হিন্দুবিদ্বেষী মনোভাব প্রকাশ করা বিদ্বেষমূলক ভাষণের জন্য অভিযুক্ত করে। পরে ওয়ারিস টুইটারের মাধ্যমে তার মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চান এবং দলীয় সভাপতি আসাদুদ্দিন ওয়াইসি তাকে জনসমক্ষে উসকানিমূলক মন্তব্য না করার পরামর্শ দেন।[২৩]
২০০৭ সালে তেলেঙ্গানা বিধানসভায় দলের সংসদীয় নেতা আকবরউদ্দিন ওয়াইসি লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে হুমকি দিয়ে বলেন, যদি তিনি আবার হায়দ্রাবাদে আসেন,[২৪] তাহলে তাকে হত্যা করা হবে।[২৫] পরে, তার উপন্যাস "শোধ"-এর তেলুগু অনুবাদের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে নাসরিনের ওপর হামলা চালানো হয়।[২৬]
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.