Loading AI tools
জার্মান রসায়নবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
অটো হান, ফরমেমআরএস[1] (জার্মান: Otto Hahn; জন্ম: ৮ মার্চ, ১৮৭৯ - মৃত্যু: ২৮ জুলাই, ১৯৬৮) ছিলেন বিখ্যাত জার্মান ভৌত রসায়নবিদ। তিনি পরমাণু বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন। ১৯৩৮ সালে নিউক্লিয়ার ফিসন আবিষ্কার করেন যা পারমাণবিক বিভাজন নামে পরিচিত।[2] তেজস্ক্রিয়তা এবং তেজস্ক্রিয়-রসায়নবিদ্যার পথিকৃৎদের অন্যতম তিনি।[3] তাকে প্রায়শঃই পরমাণু রসায়নবিদ্যার জনক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তিনি ১৯৪৪ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
অটো হান | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৮ জুলাই ১৯৬৮ ৮৯) (বয়স গোটিনজেন, পশ্চিম জার্মানি |
জাতীয়তা | জার্মান |
মাতৃশিক্ষায়তন | মারবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | তেজস্ক্রিয় উপাদান আবিষ্কার(১৯০৫–১৯২১) তেজস্ক্রিয় সঙ্কোচন(১৯০৯) ফাজান্স-পানেথ-হান সূত্র প্রোটেক্টিনিয়াম(১৯১৭) নিউক্লিয়ার ইজোমেরিজম (১৯২১) প্রায়োগিক তেজস্ক্রিয়রসায়ন (১৯৩৬) নিউক্লিয়ার ফিশন (১৯৩৮) |
দাম্পত্য সঙ্গী | এডিথ হান, বিবাহ-পূর্ব জাংহ্যান্স (১৮৮৭-১৯৬৮) |
পুরস্কার | হারমান এমিল ফিশার পদক(১৯১৯) ক্যানিজারো পুরস্কার(১৯৩৯) কোপার্নিকাস পুরস্কার(১৯৪১) রসায়নে নোবেল পুরস্কার(১৯৪৪) ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক পদক(১৯৪৯) প্যারাসেলিসাস পদক(১৯৫২) হেনরি বেকরেল পদক(১৯৫২) পোর লে মেরিত(১৯৫২) ফ্যারাডে লেকচারশীপ প্রাইজ(১৯৫৬) হুগো গ্রোশিয়াজ পদক(১৯৫৮) লিজিও ডি’অনার(১৯৫৯) এনরিকো ফার্মি পুরস্কার(১৯৬৬) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | তেজস্ক্রিয়-রসায়নবিদ্যা পরমাণু-রসায়নবিদ্যা |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | থিওডর জিঙ্ক |
অন্যান্য উচ্চশিক্ষায়তনিক উপদেষ্টা | স্যার উইলিয়াম র্যামজি, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন; আর্নেস্ট রাদারফোর্ড, ম্যাকগ্রিল ইউনিভার্সিটি মন্ট্রিল; এমিল ফিশার, বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয় |
ডক্টরেট শিক্ষার্থী | রোল্যান্ড লিন্ডহার ওয়াল্টার সীলমান-এগবার্ট ফ্রিৎজ স্ট্রাজমান কার্ল এরিক জিম্যান হ্যাঞ্জ জোচিম বোর্ন হ্যাঞ্জ গ্যোটে সিগফ্রিড ফ্লাগ নিকোলাস রিল |
স্বাক্ষর | |
হেনরিখ হান ও শার্লত হানের কনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন অটো হান। কার্ল, হেইনার এবং জুলিয়াস নামীয় তার তিন ভাই রয়েছে। অটো উপযুক্ত পরিবেশে ও পারিবারিক সান্নিধ্যে বড়ো হয়ে উঠেন। ১৫ বছর বয়সে তিনি রসায়নশাস্ত্রে আগ্রহী হন। পরিবারের লন্ড্রি রুমে সাধারণ পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অগ্রসর হন তিনি। তার বাবা চেয়েছিলেন যে তিনি যেন স্থাপত্যকলায় অধ্যয়ন করেন, নিজেকে গড়ে তুলেন এবং অগাধ বিত্ত-বৈভবের অধিকারী হন। কিন্তু অটো এ বিষয়ে নিজ আগ্রহহীনতার কথা তুলে ধরেন ও শিল্প রসায়নবিদ হিসেবে অংশগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
হান নাৎসি পার্টি কর্তৃক ইহুদী গণহত্যার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিনি উদীয়মান প্রচারকের ভূমিকায় থেকে পারমাণবিক শক্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিপক্ষে ছিলেন। ১৯৪৬ সালে কাইজার উইলহেম সোসাইটি'র (কেডব্লিউজি) সর্বশেষ সভাপতি ছিলেন তিনি। ১৯৪৮ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত ম্যাক্স প্লাঙ্ক সোসাইটি (এমপিজি)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তীক্ষ্ণ বুদ্ধিবৃত্তির ধারক ও বাহক এবং স্বাধীনচেৎা ব্যক্তি হিসেবে অনেকের কাছেই পরিগণিত ছিলেন। পশ্চিম জার্মানির সবচেয়ে প্রভাবশালী ও বিশিষ্ট নাগরিকদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হতো অটো হানকে।
১৫ নভেম্বর, ১৯৪৫ তারিখে বিজ্ঞানবিষয়ক রয়্যাল সুইডীশ একাডেমী ঘোষণা করে যে, ১৯৪৪ সালের রসায়নে নোবেল পুরস্কারের জন্যে অটো হানকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।[4][5][6] তবে কিছু ইতিহাসবিদ দেখিয়েছেন যে নিউক্লিয়ার ফিশন সৃষ্টিতে অনবদ্য অংশগ্রহণের জন্যে সহযোগী লিজ মেইটনারকেও নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা উচিত ছিল।[7][8] কিন্তু ফার্ম হলে অবস্থানকালীন সময়ে এ বিষয়টি জানতেন না। তাকে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল এবং নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে তাকে স্বাগতঃ টেলিগ্রাম পাঠানোর ব্যবস্থা ছিল না। ডেইলি টেলিগ্রাফ সংবাদপত্র মারফত তিনি পুরস্কার প্রাপ্তির কথা জানতে পারেন।[9] ১৮ নভেম্বর তারিখে তার সহকর্মী অন্যান্য জার্মান বিজ্ঞানীরা বক্তৃতা, হাসি-ঠাট্টা-তামাশা এবং গীতবাদ্য গেয়ে এ পুরস্কারকে উদযাপিত করে।[10] ৪ ডিসেম্বর তারিখে হান ছাড়া পান এবং নোবেল কমিটিকে ধন্যবাদজ্ঞাপনপূর্বক চিঠি লিখে পুরস্কার গ্রহণের জন্যে তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তার উপস্থিত না থাকার সম্ভাবনাও ব্যক্ত করেন।[11] কিন্তু তাকে আটককারী কর্মকর্তাগণ ফার্ম হল ত্যাগে বাধা-নিষেধ আরোপ করলে তিনি নোবেল উৎসবে যেতে পারেননি।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.