শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি
From Wikipedia, the free encyclopedia
শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার বেশ মজবুত আকার ধারণ করেছে। দেশটির মাথাপিছু বার্ষিক আয় $১১,০৬৮.৯৯৬ মার্কিন ডলার। দক্ষিণ এশিয়ার যে-কোন দেশের তুলনায় শীর্ষে অবস্থান করছে শ্রীলঙ্কা। তিন দশককালের গৃহযুদ্ধের অবসানের পর দেশটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ ও অবকাঠামোর উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ ঘটিয়েছে যা মাঝারি সারির দেশে পরিণত হয়েছে।
মুদ্রা | শ্রীলঙ্কান রূপী (LKR) |
---|---|
অর্থবছর | পঞ্জিকা বর্ষ |
বাণিজ্যিক সংস্থা | সাফটা, ডব্লিউটিও |
পরিসংখ্যান | |
জিডিপি | US$ ৮০.৫৯১ বিলিয়ন (বিশ্বব্যাংক) / US$ ২৩৩.৬৩৭ বিলিয়ন পিপিপি[1] |
জিডিপি প্রবৃদ্ধি | ৭.৩% (২০১৩) |
মাথাপিছু জিডিপি | US$ ৩,৮১৮.১৬১ (২০১৫) / US$ ১১,০৬৮.৯৯৬ ইউএসডি পিপিপি[1] |
খাত অনুযায়ী জিডিপি | কৃষি: ১২.৮%; শিল্প কারখানা: ২৯.২%; সেবা খাত: ৫৮% (২০০৯ প্রাক্কলন) |
মুদ্রাস্ফীতি (সিপিআই) | ৬.৯% (২০১২ প্রাক্কলন)[2] |
দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থিত জনসংখ্যা | ৪.৩% (২০১১ প্রাক্কলন)[2] |
৩৬.৪ (২০১৩) | |
শ্রমশক্তি | ৮,৩১৯,৬৮০ ([3] |
পেশা অনুযায়ী শ্রমশক্তি | কৃষি: ৩২.৭%; শিল্প: ২৬.৩%; সেবা: ৪১% (ডিসেম্বর, ২০০৮ প্রাক্কলন) |
বেকারত্ব | ৪.৩% (২০১১)[2] |
প্রধান শিল্পসমূহ | রাবার, চা, নারিকেল, তামাক প্রক্রিয়াকরণ ও অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য; টেলিযোগাযোগ, বীমা, ব্যাংকিং; পর্যটন, জাহাজীকরণ; পোশাক, টেক্সটাইল; সিমেন্ট, পেট্রোলিয়াম পরিশোধন, তথ্য প্রযুক্তি সেবা, অবকাঠামো |
ব্যবসা করার সহজসাধ্যতা সূচক ক্রম | ৮১তম[4] |
বৈদেশিক | |
রপ্তানি | $১০.৮৯ বিলিয়ন (২০১১ প্রাক্কলন) |
রপ্তানি পণ্য | টেক্সটাইলস ও অ্যাপারেল, ফার্মাসিউটিক্যালস, চা, মশলা, হীরা, পান্না, রুবি, নারিকেল দ্রব্যাদি, রাবার উৎপাদন, মাছ |
প্রধান রপ্তানি অংশীদার | United States ২১.৮% United Kingdom ৮.৩% India ৪.৫% Germany ৪.২% (২০১৩ প্রাক্কলন)[5] |
আমদানি | $২০.০২ বিলিয়ন (২০১১ প্রাক্কলন) |
আমদানি পণ্য | টেক্সটাইল ফেব্রিক্স, ধাতব পণ্য, পেট্রোলিয়াম, খাদ্য, যান্ত্রিক ও পরিবহন মালামাল |
প্রধান আমদানি অংশীদার | India ২১.৫% China ১৭.৬% Singapore ১০.১% United Arab Emirates ৬.১% Iran ৪.৯% (২০১৩ প্রাক্কলন)[6] |
এফডিআই স্টক | US$১ বিলিয়ন (২০১১) |
মোট বৈদেশিক ঋণ | $১৯.৪৫ বিলিয়ন (৩১ ডিসেম্বর, ২০০৯ প্রাক্কলন) |
সরকারি অর্থসংস্থান | |
সরকারি ঋণ | জিডিপি’র ৮১% (২০১১ প্রাক্কলন) |
রাজস্ব | $৮.৪৯৫ বিলিয়ন (২০১১ প্রাক্কলন) |
ব্যয় | $১২.৬৩ বিলিয়ন (২০১১ প্রাক্কলন) |
অর্থনৈতিক সহযোগিতা | $৮০৮ মিলিয়ন (২০০৬) |
ঋণ পরিশোধে ঝুঁকির মূল্যায়ন | স্ট্যান্ডার্ড এন্ড পুর’স:[7] বিবি- (অভ্যন্তরীণ) ই+ (বৈদেশিক) বি+ (টিএন্ডসি অ্যাসেসমেন্ট) আউটলুক: স্ট্যাবল[8] মুদি’জ:[8] বি১ আউটলুক: স্ট্যাবল ফিচ:[8] বি+ আউটলুক: স্ট্যাবল |
বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার | $৭.২ বিলিয়ন (১৭ এপ্রিল, ২০১১ প্রাক্কলন)[9] |
মূল উপাত্ত সূত্র: সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক মুদ্রা অনুল্লেখিত থাকলে তা মার্কিন ডলার এককে রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। |
দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি পর্যটন, চা রফতানী, টেক্সটাইল, চাউল উৎপাদন ও অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য দ্রব্যাদি প্রস্তুত করা। পাশাপাশি বিদেশে জনশক্তি রফতানী করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে। তন্মধ্যে, কেবলমাত্র মধ্যপ্রাচ্যেই ৯০% শ্রীলঙ্কান বসবাস করছে।
২০০২ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে দারিদ্রসীমায় অবস্থানকারী ব্যক্তিদের সংখ্যা ২৩ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশে নিয়ে আসে। ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে, গ্রামীণ দারিদ্র বিমোচনে চা শিল্প বিরাট ভূমিকা রাখছে।[10][11] জন সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন মন্ত্রণালয় কর্তৃক দেশের অন্যতম প্রধান শিল্প চা শিল্প পরিচালিত হয়। ১৯৯৫ সালে বিশ্বের মোট চা রপ্তানীতে কেনিয়ার ২২%-এর তুলনায় শ্রীলঙ্কার অবদান ছিল ২৩% যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। কৃষিখাত মূলতঃ ধান, নারিকেলকে ঘিরে পরিচালিত হচ্ছে।
দ্বীপরাষ্ট্রে অনেক ধরনের ব্যবসায়িক ও প্রযুক্তিখাতে উন্নয়নসহ পর্যটন এলাকাগুলোয় বিস্তৃত পরিকল্পনা গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী রনীল বিক্রমাসিংহে।[12] এছাড়াও সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক শ্রীলঙ্কান সামুদ্রিক খাদ্য আমদানীতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ জিএসপি+ সুবিধা অর্জনসহ ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশীপে যোগ দেয়।[13][14]