রনীল শ্রীয়ান বিক্রমাসিংহে, এমপি (সিংহলি: රනිල් වික්රමසිංහ,তামিল: ரணில் விக்ரமசிங்க; জন্ম: ২৪ মার্চ, ১৯৪৯) সিলন ডমিনিয়নে জন্মগ্রহণকারী শ্রীলঙ্কার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। তিনি একাধারে শ্রীলঙ্কার বর্তমান রাষ্ট্রপতি, ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির দলনেতা ও কলম্বো জেলার সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও, ইউনাইটেড ন্যাশনাল ফ্রন্টের প্রধান হিসেবে অক্টোবর, ২০০৯ সাল থেকে দলীয় জোটের প্রধান হিসেবে মনোনীত হয়েছেন রনীল বিক্রমাসিংহে।[4]
রনিল বিক্রমসিংহ | |
---|---|
රනිල් වික්රමසිංහ
ரணில் விக்கிரமசிங்க | |
৯ম শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২ জুলাই ২০২২ ভারপ্রাপ্ত: ১৪-২১ জুলাই ২০২২[1] | |
প্রধানমন্ত্রী | দীনেশ গুণাওয়ার্দেনা |
পূর্বসূরী | গোঠাভয় রাজাপক্ষ |
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১২ মে ২০২২ – ২১ জুলাই ২০২২ | |
রাষ্ট্রপতি | গোঠাভয় রাজাপক্ষ নিজে (ভারপ্রাপ্ত) |
পূর্বসূরী | মহিন্দ রাজাপক্ষ |
উত্তরসূরী | দীনেশ গুণাওয়ার্দেনা |
কাজের মেয়াদ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ – ২১ নভেম্বর ২০৯ | |
রাষ্ট্রপতি | মৈত্রীপাল সিরিসেন গোঠাভয় রাজাপক্ষ |
পূর্বসূরী | মহিন্দ রাজাপক্ষ |
উত্তরসূরী | মহিন্দ রাজাপক্ষ |
কাজের মেয়াদ ৯ জানুয়ারি ২০১৫ – ২৬ অক্টোবর ২০১৮ | |
রাষ্ট্রপতি | মৈত্রীপাল সিরিসেন |
পূর্বসূরী | দিশানায়াকা মুদিয়ানসেনাগে জয়রত্নে |
উত্তরসূরী | মহিন্দ রাজাপক্ষ |
কাজের মেয়াদ ৯ ডিসেম্বর ২০০১ – ৬ এপ্রিল ২০০৪ | |
রাষ্ট্রপতি | চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা |
পূর্বসূরী | রত্নশ্রী বিক্রমনায়ক |
উত্তরসূরী | মহিন্দ রাজাপক্ষ |
কাজের মেয়াদ ৭ মে ১৯৯৩ – ১৮ আগস্ট ১৯৯৪ | |
রাষ্ট্রপতি | দিনগিরি বান্দা উইজেতুঙ্গা |
পূর্বসূরী | দিনগিরি বান্দা উইজেতুঙ্গা |
উত্তরসূরী | চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা |
১০ম প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা | |
কাজের মেয়াদ ২২ এপ্রিল ২০০৪ – ৯ জানুয়ারি ২০১৫ | |
রাষ্ট্রপতি | চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা মহিন্দ রাজাপক্ষ |
প্রধানমন্ত্রী | মহিন্দ রাজাপক্ষ রত্নশ্রী বিক্রমনায়ক দিশানায়াকা মুদিয়ানসেনাগে জয়রত্নে |
পূর্বসূরী | মহিন্দ রাজাপক্ষ |
উত্তরসূরী | নির্মল শ্রীপাল ডি সিলভা |
কাজের মেয়াদ ২৮ অক্টোবর ১৯৯৪ – ১০ অক্টোবর ২০০১ | |
রাষ্ট্রপতি | চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা |
প্রধানমন্ত্রী | শ্রীমাভো বন্দরনায়েকে রত্নশ্রী বিক্রমনায়ক |
পূর্বসূরী | গামিনি দিশানায়ক |
উত্তরসূরী | রত্নশ্রী বিক্রমনায়ক |
Ministerial roles | |
2022–present | Minister of Defence Minister of Technology Minister of Finance Ministry of Women, Child Affairs and Social Empowerment |
2015–2019 | Minister of National Policies and Economic Affairs |
1989–1993 | Minister of Industry Leader of the House |
1980–1989 | Minister of Education |
1977–1980 | Minister of Youth Affairs & Employment |
1977 | Deputy Minister of Foreign Affairs |
National List আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ 23 June 2021 – 21 July 2022 | |
Colombo District আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ 25 August 1994 – 3 March 2020 | |
Gampaha District আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ 9 March 1989 – 24 June 1994 | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | Colombo, Dominion of Ceylon | ২৪ মার্চ ১৯৪৯
জাতীয়তা | Sri Lankan |
রাজনৈতিক দল | United National Party |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | Sri Lanka Podujana Peramuna[2][3] |
দাম্পত্য সঙ্গী | Maithree Wickremesinghe (বি. ১৯৯৪) |
পিতামাতা |
|
আত্মীয়স্বজন |
|
বাসস্থান | 115 Fifth Lane |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | Royal College, Colombo University of Ceylon |
জীবিকা | Attorney at law |
Other offices held
|
প্রারম্ভিক জীবন
সাবেক সমসমাজপন্থী এসমন্ড ও নলীনি বিক্রমাসিংহে দম্পতির দ্বিতীয় পুত্র তিনি।[5] এসমন্ড বিক্রমাসিংহে সংবাদপত্রের গ্রুপ লেক হাউজের প্রধান।[6] তার পৈতৃক সম্পর্কীয় কাকা লক্ষ্মণ বিক্রমাসিংহে শ্রীলঙ্কা চার্চে বিশপ ছিলেন।[7] এছাড়াও, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জুনিয়াস রিচার্ড জয়েবর্ধনের ভাইপো তিনি।
কলম্বোর রয়্যাল কলেজে অধ্যয়ন করেন। সিলন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে ভর্তি হন। স্নাতক ডিগ্রী লাভের পর শ্রীলঙ্কা ল' কলেজ থেকে আইন পরীক্ষায় অংশ নেন। ১৯৭২ সালে এডভোকেট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন তিনি।[8]
রাজনৈতিক জীবন
ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টিতে (ইউএনপি) যোগ দেন। ১৯৭০-এর দশকের মধ্যভাগে কেলানিয়া নির্বাচনী এলাকায় প্রধান সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৭৭ সালে বিয়াগামা নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেন।
জুনিয়াস রিচার্ড জয়াবর্ধনের নতুন সরকার গঠিত হলে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপ-মন্ত্রী হন। এরপর যুব ও কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এরফলে শ্রীলঙ্কার সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রীর মর্যাদা পান।[7] পরবর্তীতে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।[9]
রাষ্ট্রপতি রানাসিংহে প্রেমাদাসা’র সরকারে শ্রমমন্ত্রীর হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ সালে সংসদ নেতা মনোনীত হন। তামিল টাইগার্সের হাতে রানাসিংহে প্রেমাদাসা নিহত হলে ৭ মে, ১৯৯৩ তারিখে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দিনগিরি বান্দা উইজেতুঙ্গাকে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীত্ব
৭ মে, ১৯৯৩ থেকে ১৯ আগস্ট, ১৯৯৪ এবং ৯ ডিসেম্বর, ২০০১ থেকে ৬ এপ্রিল, ২০০৪ তারিখ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। নভেম্বর, ১৯৯৪ সালে রাষ্ট্রপতির নির্বাচন প্রচারকালে গামিনি দিসানেয়েকের হত্যাকাণ্ডের পর দলের নেতা মনোনীত হন।[10] ২০১৫ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মহিন্দ রাজাপক্ষকে পরাজিত করার পর ৮ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে রাষ্ট্রপতি মৈত্রীপাল সিরিসেন কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।[11]
বিক্রমাসিংহের দলীয় জোট ইউনাইটেড ন্যাশনাল ফ্রন্ট ফর গুড গভর্ন্যান্স ২০১৫ সালের সংসদীয় নির্বাচনে ১০৬ আসন দখল করে। কিন্তু নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টির ৩৫ সদস্যকে নিজ মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হন। গণবিক্ষোভের চাপে পড়ে ৯ জুলাই ২০২২ পদত্যাগ করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
১৯৯৪ সালে কেলানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের[14] ইংরেজি বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ড. মৈত্রী বিক্রমাসিংহের[15] সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে একমাত্র কন্যা রয়েছে।
২০১৪ সালে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি কর্তৃক রবার্ট ই. উইলহেম ফেলো মনোনীত হন।[16]
তথ্যসূত্র
আরও পড়ুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.