Loading AI tools
রাসায়নিক মৌল যার পারমাণবিক সংখ্যা ৬ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কার্বন বা অঙ্গারক (ল্যাটিন ভাষায়ঃ কার্বো "কয়লা")(রাসায়নিক সংকেত C, পারমাণবিক সংখ্যা ৬) একটি মৌলিক পদার্থ। এটি একটি অধাতু এবং যদি চারটি মুক্ত ইলেক্ট্রন পায় তবে যা টেট্রাভেলেন্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে চারটি সমযোজী রাসায়নিক বন্ধন গঠন করতে সক্ষম। পর্যায় সারণীতে এর অবস্থান গ্রুপ ১৪তে ও এটি একটি পি-ব্লক মৌল এবং ১২C ও ১৩C প্রকৃতিতে এটি দুইটি আইসোটোপ স্থায়ী রুপে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। কিন্তু অস্থায়ী ১৪C শুধুমাত্র রেডিওনিক্লিড রুপে পাওয়া যায়। এটি ক্ষয়িষ্ণু হওয়ায়, যার অর্ধায়ু (হাফ-লাইফ) প্রায় ৫,৭৩০ বছর। এটি পৃথিবীর জীবজগতের প্রধান গাঠনিক ও প্রাচীনতম মৌল উপাদানগুলির অন্যতম।
উপস্থিতি | কালো (গ্রাফাইট) স্বচ্ছ (হীরক) | ||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
আদর্শ পারমাণবিক ভরAr°(C) | |||||||||||||||||||||||||||||||
পর্যায় সারণিতে কার্বন | |||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||
পারমাণবিক সংখ্যা | ৬ | ||||||||||||||||||||||||||||||
মৌলের শ্রেণী | অধাতু | ||||||||||||||||||||||||||||||
গ্রুপ | গ্রুপ ১৪; (কার্বন গ্রুপ) | ||||||||||||||||||||||||||||||
পর্যায় | পর্যায় ২ | ||||||||||||||||||||||||||||||
ব্লক | পি-ব্লক | ||||||||||||||||||||||||||||||
ইলেকট্রন বিন্যাস | [He] ২s২ ২p২ | ||||||||||||||||||||||||||||||
প্রতিটি কক্ষপথে ইলেকট্রন সংখ্যা | 2,4 | ||||||||||||||||||||||||||||||
ভৌত বৈশিষ্ট্য | |||||||||||||||||||||||||||||||
দশা | কঠিন | ||||||||||||||||||||||||||||||
ঊর্ধ্বপাতন বিন্দু | 3915 কে (3642 °সে, 6588 °ফা) | ||||||||||||||||||||||||||||||
ঘনত্ব (ক.তা.-র কাছে) | amorphous:[3] 1.8–2.1 g·cm−৩ (০ °সে-এ, ১০১.৩২৫ kPa) graphite: 2.267 g·cm−৩ diamond: 3.515 g·cm−৩ | ||||||||||||||||||||||||||||||
ত্রৈধ বিন্দু | 4600 কে, 10800[4][5] kPa | ||||||||||||||||||||||||||||||
ফিউশনের এনথালপি | 117 (graphite) kJ·mol−১ | ||||||||||||||||||||||||||||||
তাপ ধারকত্ব | 8.517(graphite), 6.155(diamond) J·mol−১·K−১ | ||||||||||||||||||||||||||||||
পারমাণবিক বৈশিষ্ট্য | |||||||||||||||||||||||||||||||
জারণ অবস্থা | 4, 3 [6], 2, 1 [7], 0, -1, -2, -3, -4[8] | ||||||||||||||||||||||||||||||
তড়িৎ-চুম্বকত্ব | 2.55 (পলিং স্কেল) | ||||||||||||||||||||||||||||||
আয়নীকরণ বিভব | (আরও) | ||||||||||||||||||||||||||||||
সমযোজী ব্যাসার্ধ | 77(sp³), 73(sp²), 69(sp) pm | ||||||||||||||||||||||||||||||
ভ্যান ডার ওয়ালস ব্যাসার্ধ | 170 pm | ||||||||||||||||||||||||||||||
বিবিধ | |||||||||||||||||||||||||||||||
কেলাসের গঠন | hexagonal | ||||||||||||||||||||||||||||||
শব্দের দ্রুতি | পাতলা রডে: 18350 (diamond) m·s−১ (at 20 °সে) | ||||||||||||||||||||||||||||||
তাপীয় প্রসারাঙ্ক | 0.8 (diamond) [9] µm·m−১·K−১ (২৫ °সে-এ) | ||||||||||||||||||||||||||||||
তাপীয় পরিবাহিতা | 119-165 (graphite) 900-2300 (diamond) W·m−১·K−১ | ||||||||||||||||||||||||||||||
চুম্বকত্ব | diamagnetic[10] | ||||||||||||||||||||||||||||||
ইয়ংয়ের গুণাঙ্ক | 1050 (diamond) [9] GPa | ||||||||||||||||||||||||||||||
কৃন্তন গুণাঙ্ক | 478 (diamond) [9] GPa | ||||||||||||||||||||||||||||||
আয়তন গুণাঙ্ক | 442 (diamond) [9] GPa | ||||||||||||||||||||||||||||||
পোয়াসোঁর অনুপাত | 0.1 (diamond) [9] | ||||||||||||||||||||||||||||||
(মোজ) কাঠিন্য | 1-2 (Graphite) 10 (Diamond) | ||||||||||||||||||||||||||||||
ক্যাস নিবন্ধন সংখ্যা | 7440-44-0 | ||||||||||||||||||||||||||||||
কার্বনের আইসোটোপ | |||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||
ভূত্বকের প্রাচুর্যতার দিক দিয়ে এটি ১৫তম অবস্থানে রয়েছে, কিন্তু ভরের দিক দিয়ে বিবেচনা করলে হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, এবং অক্সিজেন-এর পরে চতুর্থতম এর স্থান।
কার্বন কবে আবিষ্কৃত হয়েছিল তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। কারণ আগুন আবিষ্কারের আগে থেকেই মানুষ কার্বনের সাথে পরিচিত ছিল। বজ্রাঘাতের ফলে পুড়ে যাওয়া কাঠের মাধ্যমেই মানুষ প্রথম কার্বনের সাথে পরিচিত হয়। আগুন আবিষ্কারের পর কার্বন হয় মানুষের নিত্যসঙ্গী। কারণ এটি অতিমাত্রায় দাহ্য একটি বস্তু। কার্বন পদার্থটির সাথে পরিচিত থাকলেও এটি যে একটি মৌলিক পদার্থ তা মানুষ বেশিদিন আগে জানতে পারেনি। এমনকি কার্বন নামটির ইতিহাস বেশি প্রাচীন নয়। ১৭৮৯ সালে এন্টনি ল্যাভয়সিয়ে কর্তৃক সংকলিত মৌলিক পদার্থের তালিকায় কার্বন উপস্থিত ছিল। মূলত ল্যাভয়সিয়েই প্রথম ব্যক্তি যিনি প্রমাণ করেছিলেন কার্বন একটি মৌলিক পদার্থ। কয়লা ও অন্যান্য যৌগের দহন পরীক্ষা করে তিনি এই প্রমাণ পেয়েছিলেন।
প্রকৃতিতে কার্বনের দুইটি বহুরুপ রয়েছে। একটি হীরক এবং অন্যটি গ্রাফাইট। অনেক আগে থেকেই মানুষ এ পদার্থ দুটিকে চিনতো। এমনকি উচ্চ তাপমাত্রায় হীরাকে দহন করালে যে অবশেষ হিসেবে কিছু পাওয়া যায়না তাও মানুষের জানা ছিল। কিন্তু এই পদার্থ দুটিকে সম্পূর্ণ ভিন্ন পদার্থ হিসেবে মনে করা হতো। কার্বন ডাই অক্সাইড আবিষ্কারের পর এই সমস্যার সমাধান হয়। ল্যাভয়সিয়ে দেখেন যে, হীরক এবং কাঠকয়লা দুটির দহনেই কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়। এ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া গিয়েছিল যে এরা অভিন্ন পদার্থ। ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে Methods of Chemical Nomenclature নামক গ্রন্থে (ল্যাভয়সিয়ে, এল. গুইটন ডি. মারভিউ, সি. বারথোলেট এবং এ. ফোউরক্রই কর্তৃক লিখিত) প্রথম কার্বনেয়াম (কার্বন) নামটির উল্লেখ পাওয়া যায়। ল্যাটিন নাম তথা কার্বনেয়াম আবার সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে। সংস্কৃত ভাষায় ক্রা শব্দের অর্থ ফোটা। ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে মৌলটির নাম কার্বন দেয়া হয়েছিল।
১৭৯৭ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী এস. টেন্যান্ট আবিষ্কার করেন, সম পরিমাণ হীরক ও গ্রাফাইটের দহনে সমআয়তন কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়। অবশেষে ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে এল. গুইটন ডি. মারভিউ নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করেন যে হীরক, গ্রাফাইট এবং কোকের একমাত্র উপাদান হচ্ছে কার্বন। এর বিশ বছর পর তিনি সতর্কতার সাথে উত্তপ্ত করে হীরককে গ্রাফাইট এবং গ্রাফাইটকে কার্বন ডাই অক্সাইডে পরিণত করতে সমর্থ হন। কিন্তু গ্রাফাইট থেকে হীরক তৈরির মত প্রযুক্তি তখনও ছিলনা। অবশেষে ১৯৫৫ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের একটি দল ৩০০০° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা এবং ১০৯ প্যাসকেল চাপে গ্রাফাইট থেকে হীরক সংশ্লেষণ করতে সক্ষম হন। এর কিছুদিন পর সোভিয়েত ইউনিয়নে কার্বন নামে আরেকটি পদার্থ তৈরি করা হয় যাকে কার্বনের তৃতীয় বহুরুপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই পদার্থের ক্ষেত্রে কার্বনের পরমাণুগুলো একটির সাথে আরেকটি সংযুক্ত হয়ে লম্বা শিকল তৈরি করে। এটি দেখতে অনেকটা ভূসিকালির মত।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.