Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ʿআলী ʾইবনে মুসা আর-রিদ়া (আরবি: عَلِيّ ٱبْن مُوسَىٰ ٱلرِّضَا, প্রতিবর্ণীকৃত: Alī ibn Mūsā ar-Riḍā; c. ১ জানুয়ারি ৭৬৬ – ৬ জুন ৮১৮),[1] যিনি ইমাম রেজা এবং আবুল হাসান নামেও পরিচিত, ছিলেন ইসলামের নবী মুহম্মদের একজন বংশধর এবং দ্বাদশী শিয়া মুসলমানদের অষ্টম ইমাম। তিনি তাঁর ধর্মীয় জ্ঞানের জন্য জায়েদি শিয়া এবং সুফিবাদী সুন্নি মুসলমানদের নিকটও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আব্বাসীয় আমলে জন্মগ্রহণ করেন এবং তাঁর জীবদ্দশায় আব্বাসীয় খলিফারা বিভিন্ন অসুবিধার—বিশেষত শিয়া বিদ্রোহের—সম্মুখীন হন। খলিফা আল-মামুন ইমাম আর-রিদাকে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে এই সমস্যার প্রতিকার চেয়েছিলেন, যাতে তিনি তাঁর মাধ্যমে পার্থিব বিষয়ে জড়িত হতে পারেন। তবে শিয়া মতানুসারে, আল-মামুন যখন দেখলেন যে ইমাম আরও বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, তখন তিনি তাঁকে বিষপ্রয়োগ করে নিজের ভুল সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নেন। ইমাম আর-রিদাকে খোরাসানের একটি শহরে দাফন করা হয়, শহরটি পরবর্তীতে মাশহাদ অর্থাৎ শাহাদতের স্থান নামে পরিচিতি লাভ করে।[5][6]
ʿইমাম আলী আর-রিদ়া عَلِيّ ٱلرِّضَا | |||||
---|---|---|---|---|---|
আল-ইমাম আর-রিদ়া[1] ইমাম আজ়-জ়ামিন[2] | |||||
৮ম ইমাম (শিয়া ইসলাম) | |||||
ইমামত | ৭৯৯ – ৮১৮ খ্রি. | ||||
পূর্বসূরি | মুসা আল-কাজিম | ||||
উত্তরসূরি | মুহম্মদ আল-জওয়াদ | ||||
জন্ম | ʿআলী ʾইবনে মুসা আনু. ১ জানুয়ারি ৭৬৬[3] (১১ জ্বিলকদ ১৪৮ হিজরি) মদীনা, হেজাজ, আব্বাসীয় খিলাফত | ||||
মৃত্যু | ৬ জুন ৮১৮ ৫৩) (১৭/৩০ সফর ২০২ হিজরি) তুস, পারস্য, আব্বাসীয় খিলাফত | (বয়স||||
দাম্পত্য সঙ্গী | সাবীকা (খয়জুরান)[1] | ||||
সন্তান |
| ||||
| |||||
স্থানীয় নাম | عَلِيّ ٱبْن مُوسَىٰ ٱلرِّضَا | ||||
বংশ | আহল আল-বাইত | ||||
বংশ | বনু হাশিম | ||||
রাজবংশ | কুরাইশ | ||||
পিতা | মুসা আল-কাজিম | ||||
মাতা | উম্মুল বনীন নাজমা[1] | ||||
ধর্ম | ইসলাম | ||||
মৃত্যুর কারণ | আল-মামুন কর্তৃক বিষপ্রয়োগ | ||||
সমাধি | ইমাম রেজার মাজার, মাশহাদ, ইরান ৩৩°২২′৪৮″ উত্তর ৪৪°২০′১৬.৬৪″ পূর্ব | ||||
আন্দোলন | দ্বাদশী শিয়া ইসলাম | ||||
১১ই জিলকদ ১৪৮ হিজরী মোতাবেক (২৯ ডিসেম্বর, ৭৬৫ খ্রীঃ) একটি পুত্র সন্তান লাভ করেন মদিনার ইমাম মুসা আল-কাদিম। যে শিশুটি শিয়া ইসলামে দ্বাদশ ইমামের আষ্টম ইমাম হয়ে ছিলেন। তিনি তার নিজ যোগ্যতা দ্বারা বাবার অবস্থান ধরে রাখেন। তিনি হলেন আলি আল-রিদা। মূল নাম আলি, উপাধি আল রিদা বা আল রাজি। তবে তাকে ডাকা হত আবুল হাসান আল তানি নামে। তিনি তার দাদা জাফর আর সাদিকের মৃত্যুর এক মাস পর জন্মগ্রহণ করেন।[8] তার মা নাজমা ছিলেন অত্যন্ত ধার্মিক মহিলা।"[6]
অষ্টম ইমাম তার বাবার মৃত্যুর পর এক বিষেশ আদেশ বলে বাবার স্থালাভিসিক্ত হন। আর ইমামত এর মত মর্যাদা পূর্ণ আসনে আরোহণ করেন। এ সময়ে ইমামের অনেক সঙ্গি হয়েছিল বিশেষ করে মুসা আল-কাদিম। যেমন মুখজুমি বলেন এক দিন নির্বাহক এবং উত্তরাধিকারী হিসাবে তাকে ডেকে আমাদের সংগৃহীত এবং অধিকারের কথা উল্লখ করেছেন।" [9]
মক্কা যাওয়ার সময় [[ইয়াজিদ ইবনে সালিত বর্ণানা দিয়েছেন সপ্তম ইমাম প্রথমে আলি ও পরে ইমাম বলে বিবেচিত হবেন। একই কথা বলেন, ইমাম মুসা আল-কাজিম আলী বিন আতিক, থেকে বর্ণিত" "আলী আমার সন্তানদের শ্রেষ্ঠতম এবং আমি তাঁর দিকেই আমার প্রত্যাবর্তণ করেছি।"[10][11]
বাদশা হরুনুর রশিদ মারা যান ৮০৯ সাল। আর এর পর শুরু হয় বাদশার দুই ছেলে আব্বাসীয় সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রিতিমত যুদ্ধ শুরু করে দেন। এক ছেলে আল-আমিন। তার মা ছিল আরব আর তাই তিনি আরবের সমর্থন লাভ করেছিল এবং তার সৎভাই আল মামুনের মা ছিল ফারসি আর তিনি পারস্যের সমর্থন লাভ করেছিলেন।[12] মামুন তার ভাইকে হারানোর পর তিনি খোরাসান যাওয়ার ডাক পেয়েছিলেন। Firstly, Ma'mun offered al-Ridha the caliphate. পরে তিনি বুঝতে পারে বিষয়টি ছিল রাজনৈতিক খেলা।[13]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.