১ম শতাব্দীতে খ্রিস্টধর্ম
From Wikipedia, the free encyclopedia
১ম শতাব্দীতে খ্রিস্টধর্ম বলতে খ্রিস্টধর্মের গঠনমূলক ইতিহাসকে বোঝানো হয়, যা শুরু হয় যীশুর পরিচর্যা থেকে (আনু. ২৭-২৯ খ্রিস্টাব্দ) এবং বারোজন প্রেরিতের মৃত্যু পর্যন্ত (আনু. ১০০) এর সময়সীমা ধরা হয়। এ সময়কালকে অ্যাপোস্টোলিক যুগ বা প্রেরিতীয় যুগ হিসেবেও ধরা হয়। প্রারম্ভিক খ্রিস্টধর্ম যীশুর এস্ক্যাটোলজিকাল পরিচর্যা থেকে বিকশিত হয়। যীশুর উর্ধ্বগমণের পর, তার প্রথম দিকের অনুসারীরা ১ম শতাব্দীর দ্বিতীয় মন্দির কালের শেষের দিকে একটি এপোক্যালিপ্টিক মেসিয়ানিক ইহুদি সম্প্রদায় গঠন করে। প্রথম দিকে যীশুর পুনরুত্থানই পরকালের সূচনা এই বিশ্বাস করলেও, শীঘ্রই এটি "যীশুর প্রত্যাশিত দ্বিতীয় আগমন এবং ঈশ্বরের রাজ্যের সূচনা একই সময়কালে হবে" এতে পরিবর্তিত হয়।[1]
পল দ্য অ্যাপোস্টেল, একজন ফরীশী ইহুদি যিনি প্রথম দিককার ইহুদি খ্রিস্টানদের শাস্তি প্রদান করেছিলেন, তিনি আনু. ৩৩-৩৬ খ্রিস্টাব্দে ধর্মান্তরিত হন[2][3][4] এবং বিধর্মীদের মধ্যে ধর্মান্তরগ্রাহ শুরু করেন। পলের মতে, বিজাতীয় ধর্মান্তরিত ব্যক্তিদের ইহুদী হুকুম আহকাম থেকে অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে। তার যুক্তিতে সকলেই যীশুর উপর বিশ্বাসের কারণে সঠিক পথে আছে।[5][6] এটিই ছিল প্রাথমিক খ্রিস্টধর্ম এবং ইহুদি ধর্মের ক্রমান্বয়ে বিভক্তির একটি অংশ। কারণ এর মাধ্যমে খ্রিস্টধর্ম একটি স্বতন্ত্র ধর্ম হয়ে ওঠে যার মধ্যে প্রধানত বিধর্মীদের আনুগত্য ছিল।[5]
জেরুজালেমে একটি প্রাথমিক খ্রিস্টান সম্প্রদায় ছিল, যার নেতৃত্বে ছিলেন জেমস দ্য জাস্ট, পিটার এবং জন।[7] অ্যাক্টস ১১:২৬ অনুসারে, অ্যান্টিওকে যীশুর অনুসারীদের প্রথম খ্রিস্টান নামে অভিহিত করা হয়। প্রেরিত পিটার রোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী রোমে শহীদ হন। প্রেরিতরা সুসমাচারের বার্তাকে ধ্রুপদী বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে গিয়েছিলেন এবং খ্রিস্টধর্মের প্রাথমিক কেন্দ্রগুলির পাশাপাশি প্রেরিতীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। সর্বশেষ মারা যাওয়া প্রেরিতের নাম ছিল জন (যোহন), আনু. ১০০ খ্রিস্টাব্দে তার মৃত্যু।[8]