Loading AI tools
ব্রিটিশ অভিনেতা ও পরিচালক উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
হুইলার ড্রাইডেন (ইংরেজি: Wheeler Dryden; ৩১শে আগস্ট, ১৮৯২ - ৩০শে সেপ্টেম্বর, ১৯৫৭) নামে পরিচিত জর্জ ড্রাইডেন হুইলার জুনিয়র (ইংরেজি: George Dryden Wheeler Jr) ছিলেন একজন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি গীতিমঞ্চে পরিবেশনাকারী লিও ড্রাইডেন ও হান্নাহ হিলের পুত্র, এবং মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেতা সিডনি ও বিখ্যাত কৌতুকাভিনেতা, চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক চার্লি চ্যাপলিনের সৎ ভাই। রক সঙ্গীতজ্ঞ স্পেন্সার ড্রাইডেন তার পুত্র।
হুইলার ড্রাইডেন | |
---|---|
Wheeler Dryden | |
জন্ম | জর্জ ড্রাইডেন হুইলার জুনিয়র ৩১ আগস্ট ১৮৯২ |
মৃত্যু | ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৫৭ ৬৫) | (বয়স
পেশা | অভিনেতা, পরিচালক |
দাম্পত্য সঙ্গী | অ্যালিস চ্যাপেল (বি. ১৯৩৮; বিবাহবিচ্ছেদ ১৯৪৩) |
সন্তান | স্পেন্সার ড্রাইডেন |
পিতা-মাতা | লিও ড্রাইডেন (পিতা) হান্নাহ হিল (মাতা) |
আত্মীয় | সিডনি চ্যাপলিন (সৎ ভাই) চার্লি চ্যাপলিন (সৎ ভাই) |
ড্রাইডেন ১৮৯২ সালের ৩১শে আগস্ট লন্ডনের ব্রিক্সটনে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা লিও ড্রাইডেন একজন গীতিমঞ্চের গায়ক ছিলেন। তার মাতা হান্নাহ হিলও গীতিমঞ্চের পরিবেশনাকারী ছিলেন। ড্রাইডেন হান্নাহর জন্ম নেওয়া তিন পুত্রের সর্বকনিষ্ঠ। তার অপর দুই ভাই হলেন সিডনি হিল ও চার্লি চ্যাপলিন। ড্রাইডেন যখন খুব ছোট তখন তার পিতা তাকে তার মানসিকভাবে অসুস্থ হতে থাকা মা হান্নাহর কাছ থেকে নিয়ে চলে যান। ১৯১৫ সালে তিনি ভডেভিল কৌতুকাভিনেতা হিসেবে ভারত ও দূরপ্রাচ্য সফরে যান। এসময়ে তিনি তার পিতার কাছ থেকে জানতে পারেন সে সময়ে বিখ্যাত হওয়ার চার্লি চ্যাপলিন তার সৎ ভাই।
এই সময়ে তিনি তার দুই সৎ ভাই চার্লি ও সিডনির কাছে বেশ কয়েকটি চিঠি লিখেন, কিন্তু দুজনের কারো কাছ থেকে কোন উত্তর পান নি। ১৯১৭ সালে তিনি চ্যাপলিনের চলচ্চিত্রের প্রধান অভিনেত্রী এডনা পারভায়েন্সের সাথে যোগাযোগ করেন। ধারণা করা হয় এডনাই চ্যাপলিনকে বুঝান যে ড্রাইডেন তার আত্মীয়।[1][2] তিনি পরবর্তীতে তার চ্যাপলিন ভাতৃদ্বয়ের সাথে যোগ দেন এবং ১৯১৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার মায়ের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়। ১৯৩৬ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করেন।[3]
তিনি ১৯২১ সালে ফল্স ওমেন' এবং ১৯২২ সালে স্ট্যান লরেলের মাড অ্যান্ড স্যান্ড চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯২৮ সালে তিনি আ লিটল বিট অব ফ্লাফ চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। এতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন তার সৎ ভাই সিডনি চ্যাপলিন। ১৯২৮ ও ১৯২৯ সালে তিনি ব্রডওয়ের উইংস অভার ইউরোপ মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন। পরবর্তীতে তিনি দ্য গ্রেট ডিক্টেটর (১৯৪০) এবং মঁসিয়ে ভের্দু (১৯৪৭) চলচ্চিত্রে চ্যাপলিনের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া তিনি চ্যাপলিনের শেষ মার্কিন চলচ্চিত্র লাইমলাইট (১৯৫২) এ ডক্টর ও সঙ চরিত্রে পার্শ্ব ভূমিকায় অভিনয় করেন।
ড্রাইডেন ১৯৩৮ সালে রেডিও সিটি মিউজিক হলের প্রিমা বেলেরিনা অ্যালিস চ্যাপেলকে (১৯১১-২০০৫) বিয়ে করেন। ১৯৪৩ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তাদের একমাত্র পুত্র স্পেন্সার ড্রাইডেন। ড্রাইডেন তার পুত্রকে ১৯৫০ এর দশকে লস অ্যাঞ্জেলেসের জ্যাজ ক্লাবগুলোতে নিয়ে যেতেন, যার ফলে স্পেন্সারের মধ্যে জ্যাজ ও রক সঙ্গীতজ্ঞ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা জন্মে। স্পেন্সার পরবর্তীতে জেফারসন এয়ারপ্লেন, নিউ রাইডার্স অব দ্য পার্পল সেজ ও অন্যান্য সঙ্গীতদলে ড্রাম বাদক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন।
১৯৫২ সালে চার্লি চ্যাপলিন যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে সুইজারল্যান্ডে চলে গেলে ড্রাইডেন ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত চ্যাপলিনের হলিউডের ব্যবসাগুলো দেখাশুনা করতেন। ১৯৫৪ সালে চ্যাপলিনের হলিউড স্টুডিও বিক্রি করে দেওয়া হয়। তার শেষ দিনগুলোতে তার ভাইয়ের রাজনীতি বিষয়ক এফবিআইয়ের ঘন ঘন তদন্তের কারণে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ড্রাইডেন ১৯৫৭ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর লস অ্যাঞ্জেলেসে মৃত্যুবরণ করেন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.