এডনা পারভায়েন্স (ইংরেজি: Edna Purviance, /ˈɛdnə
এডনা পারভায়েন্স | |
---|---|
Edna Purviance | |
জন্ম | ওলগা এডনা পারভায়েন্স ২১ অক্টোবর ১৮৯৫ প্যারাডাইস ভ্যালি, নেভাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | জানুয়ারি ১৩, ১৯৫৮ ৬২) হলিউড, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স
মৃত্যুর কারণ | কণ্ঠনালীর ক্যান্সার |
সমাধি | গ্র্যান্ড ভিউ মেমোরিয়াল পার্ক সিমেট্রি |
কর্মজীবন | ১৯১৫–১৯২৭ |
দাম্পত্য সঙ্গী | জন পি. স্কয়ার (বি. ১৯৩৮; মৃ. ১৯৪৫) |
প্রারম্ভিক জীবন
ওলগা এডনা পারভায়েন্স ১৮৯৫ সালের ২১ অক্টোবর নেভাডার প্যারাডাইস ভ্যালিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা লুইসা রাইট ডেভি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে ইংরেজ অভিবাসী এবং পিতা ম্যাডিসন (ম্যাট) গেট্স পারভায়েন্স ছিলেন পশ্চিম খনি উত্তোলন ক্যাম্পে মার্কিন মদবিক্রেতা।[1] যখন এডনার বয়স তিন, তার পরিবার নেভাডার লাভলকে চলে যায়, সেখানে তারা একটি হোটেল ক্রয় করে।[2][3] ১৯০২ সালে তার পিতামাতার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তার মাতা পরবর্তীতে জার্মান রবার্ট নার্নবের্গারকে বিয়ে করেন। নার্নবের্গার ছিলেন একজন পানির পাইপ বসানোর মিস্ত্রী। এডনা পিয়ানো বাজানোর প্রতিভা নিয়ে বেড়ে ওঠেন।
১৯১৩ সালে তিনি লাভলক ত্যাগ করেন এবং সান ফ্রান্সিস্কোতে তার বিবাহিত বোন বেসির নিকট চলে যান এবং সেখানে একটি ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে একটি কলেজে অধ্যয়ন করেন।
কর্মজীবন
১৯১৫ সালে পারভায়েন্স সান ফ্রান্সিস্কোতে একটি প্রতিষ্ঠানের সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই বছর চার্লি চ্যাপলিন এসানের ক্যালিফোর্নিয়ার নাইলস স্টুডিওডে চলে আসার পর তার আ নাইট আউট চলচ্চিত্রের জন্য প্রধান নারী ভূমিকার জন্য একজন অভিনেত্রী খুঁজছিলেন। তার এক সহকারী পারভায়েন্সকে সান ফ্রান্সিস্কোর টেট্স ক্যাফেতে তাকে দেখেন এবং এই চলচ্চিত্রে অভিনেত্রী হিসেবে কাজের জন্য তার কথা ভাবেন। চ্যাপলিন তার সাথে সাক্ষাৎ করেন। পারভায়েন্স প্রথমে ভেবেছিলেন হাস্যরসাত্মক চরিত্রের ক্ষেত্রে তিনি খুবই গম্ভীর, কিন্তু পরবর্তীতে তিনি এই কাজের জন্য নির্বাচিত হন।[4]
১৯১৫ থেকে ১৯১৭ সালে এসানে, মিউচুয়াল ও ফার্স্ট ন্যাশনালের চলচ্চিত্রে কাজ করার সময় চ্যাপলিন ও পারভায়েন্স প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। পারভায়েন্স চ্যাপলিনের ৩৩টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল দ্য ট্রাম্প (১৯১৫), দি ইমিগ্র্যান্ট (১৯১৭), ও দ্য কিড (১৯২১)। চ্যাপলিনের সাথে তার শেষ চলচ্চিত্র ছিল আ ওম্যান অব প্যারিস (১৯২৩)। এটি ছিল তার প্রথম প্রধান নারী চরিত্রে কাজ। চলচ্চিত্রটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যর্থ হয় এবং পারভায়েন্সের অভিনয় জীবনের সমাপ্তি ঘটে। পরবর্তীতে তিনি আ ওম্যান অব দ্য সি (মুক্তি পায় নি), এবং ফরাসি চলচ্চিত্র এদুকেশন দ্য প্রিন্স (১৯২৭) এ অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
যদিও পারভায়েন্স বেশ কয়েক বছর চার্লি চ্যাপলিনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিলেন, তিনি ১৯৩৮ সালে প্যান-মার্কিন উড়োজাহাজের পাইলট জন স্কোয়ারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৪৫ সালে পারভায়েন্সের মৃত্যু পর্যন্ত তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ থাকে।
মৃত্যু
পারভায়েন্স কণ্ঠনালীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৫৮ সালের ১৩ জানুয়ারি হলিউডের মোশন পিকচার অ্যান্ড টেলিভিশন কান্ট্রি হাউজ অ্যান্ড হসপিটালে মৃত্যুবরণ করেন।[5][6] তাকে ক্যালিফোর্নিয়ার গ্লেন্ডেলের গ্র্যান্ড ভিউ মেমোরিয়াল পার্ক সিমেট্রিতে সমাধিস্থ করা হয়।[6]
জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে
১৯৯২ সালে চ্যাপলিন ও ২০১০ সালে ম্যাডক্যাপ মেবল চলচ্চিত্রে তাকে চিত্রায়িত করা হয়। চ্যাপলিন চলচ্চিত্রের তার ভূমিকায় অভিনয় করেন পেনেলোপে অ্যান মিলার এবং ম্যাডক্যাপ মেবল এ কেটি ম্যাগুইয়ার।
চলচ্চিত্রের তালিকা
বছর | শিরোনাম | ভূমিকা | টীকা |
---|---|---|---|
১৯১৫ | আ নাইট আউট | প্রধান খাদ্য পরিবেশকের স্ত্রী | প্রথম চলচ্চিত্র |
দ্য চ্যাম্পিয়ন | এডনা, প্রশিক্ষকের কন্যা | ||
ইন দ্য পার্ক | নার্স | ||
আ জিটনি এলোপমেন্ট | এডনা | ||
দ্য ট্রাম্প | চাষীর কন্যা | ||
বাই দ্য সি | টুপিওয়ালার প্রেমিকা | ||
ওয়ার্ক | |||
আ ওম্যান | কন্যা | ||
দ্য ব্যাংক | এডনা | ||
সাংহাইড | জাহাজ মালিকের কন্যা | ||
আ নাইট ইন দ্য শো | স্টলে মহিলা | ||
বারলেস্ক অন কারমেন | কারমেন | ||
১৯১৬ | দ্য ফ্লোরওয়াকার | ব্যবস্থাপকের সচিব | |
পুলিশ! | কন্যা | ||
দ্য ফায়ারম্যান | প্রধানের প্রেমিকা | ||
দ্য ভ্যাগাবন্ড | চুরি হওয়া কন্যা | ||
দ্য কাউন্ট | মিস মানিব্যাগ্স | ||
দ্য পনশপ | কন্যা | ||
বিহাইন্ড দ্য স্কিন | তরুণী | ||
দ্য রিংক | তরুণী | ||
১৯১৭ | ইজি স্ট্রিট | মিশন কর্মী | |
দ্য কিউর | তরুণী | ||
দি ইমিগ্র্যান্ট | অভিবাসী | ||
দি অ্যাডভেঞ্চারার | তরুণী | ||
১৯১৮ | আ ডগ্স লাইফ | বার গায়িকা | |
ট্রিপল ট্রাবল | |||
সোল্ডার আর্ম্স | ফরাসি তরুণী | ||
দ্য বন্ড | চার্লির স্ত্রী | ||
১৯১৯ | সানিসাইড | গ্রাম্য বেলে | |
আ ডেজ প্লেজার | মা | ||
১৯২১ | দি আইডল ক্লাস | স্ত্রী | |
১৯২২ | পে ডে | ফোরম্যানের কন্যা | |
বছর | শিরোনাম | ভূমিকা | টীকা |
---|---|---|---|
১৯২১ | দ্য কিড | মা | |
১৯২৩ | দ্য পিলগ্রিম | মিস ব্রাউন | |
আ ওম্যান অব প্যারিস | মারি সেন্ট ক্ল্যের | ||
১৯২৬ | আ ওম্যান অব দ্য সি | জোন | মুক্তি পায় নি এবং মুদ্রনটি হারিয়ে গেছে |
১৯২৭ | এদুকেশন দ্য প্রিন্স | ||
১৯৪৭ | মসিয়ে ভেরদোয়া | পার্টি অতিথি | অনুল্লেখ্য |
১৯৫২ | লাইমলাইট | মিসেস পার্কার | অনুল্লেখ্য |
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.