Loading AI tools
বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ভারতীয় ক্রাইম ট্র্যাজেডি চলচ্চিত্র উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
হায়দার হল ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় ক্রাইম ট্র্যাজেডি চলচ্চিত্র।[3][4][5][6] ছবিটির প্রযোজক ও পরিচালক হলেন বিশাল ভরদ্বাজ। উইলিয়াম শেকসপিয়র রচিত হ্যামলেট নাটকের একটি আধুনিক সংস্করণ ও বশরত পীরের স্মৃতিকথা কারফিউড নাইট অবলম্বনে এই ছবির কাহিনী রচনা করেছেন বিশাল ভরদ্বাজ ও বশরত পীর। ছবিতে নামভূমিকায় অভিনয় করেন শাহিদ কপূর। অন্যান্য প্রধান চরিত্রগুলিতে রূপদান করেন তাবু, শ্রদ্ধা কাপুর ও কে কে মেনন। বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয় করেন ইরফান খান। ছবির প্রেক্ষাপট ১৯৯৫ সালে কাশ্মীরে জঙ্গি সংঘর্ষ ও গণ-অন্তর্ধানের ঘটনা।[7] ছবির নায়ক হায়দার এক তরুণ ছাত্র ও কবি। কাশ্মীরে জঙ্গি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত যখন চরমে, ঠিক সেই সময় নিজের বাবার অন্তর্ধান নিয়ে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সে ফিরে আসে কাশ্মীরে এবং জড়িয়ে পড়ে রাজ্য-রাজনীতির জটিলতার মধ্যে।[8]
হায়দার | |
---|---|
Haider | |
পরিচালক | বিশাল ভরদ্বাজ |
প্রযোজক | বিশাল ভরদ্বাজ সিদ্ধার্থ রায় কপূর |
রচয়িতা | বিশাল ভরদ্বাজ |
চিত্রনাট্যকার | বশরত পীর বিশাল ভরদ্বাজ (সংলাপ সহ) |
উৎস | উইলিয়াম শেকসপিয়র কর্তৃক হ্যামলেট |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | বিশাল ভরদ্বাজ |
চিত্রগ্রাহক | পঙ্কজ কুমার |
সম্পাদক | আরিফ শেখ |
প্রযোজনা কোম্পানি | ভিবি পিকচার্স |
পরিবেশক | ইউটিভি মোশন পিকচার্স |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৬২ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি কাশ্মীরি |
নির্মাণব্যয় | ২৪ কোটি রুপি[1] |
আয় | ৮৯ কোটি ২১ লক্ষ রুপি[2] |
মকবুল (২০০৩) ও ওমকারা (২০০৬) ছবি দু’টির পর হায়দার ছিল বিশাল ভরদ্বাজের শেকসপিয়রীয় ত্রয়ীর তৃতীয় ছবি।[9] ১৯শ বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছিল।[10] ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর ছবিটি বিশ্বব্যাপী মুক্তিলাভ করে। সমালোচকদের দ্বারা বহুল প্রশংসিত এই ছবিটি এর বিতর্কিত বিষয়বস্তুর জন্য গণমাধ্যমের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে।[8] এই ছবিতে বিশাল ভরদ্বাজের পরিচালনা, কে কে মেনন, টাবু ও শাহিদ কপূরের অভিনয়, চিত্রনাট্য, সংগীত পরিচালনা ও সম্পাদনাও প্রশংসিত হয় এবং একাধিক পুরস্কার লাভ করে।
হায়দর ছবিটিই প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র যেটি রোম চলচ্চিত্র উৎসবে পিপল’স চয়েস অ্যাওয়ার্ড লাভ করে।[8][11] ভারতে প্রাপ্ত একাধিক পুরস্কার ও মনোনয়নের মধ্যে এই ছবিটি পাঁচটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেছিল: শ্রেষ্ঠ নেপথ্য গায়ক, শ্রেষ্ঠ সংলাপ, শ্রেষ্ঠ নৃত্যপরিচালনা, শ্রেষ্ঠ পোশাক পরিকল্পনা ও শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালনা।
অভিনয়শিল্পী | ভূমিকা | মূল চরিত্র |
---|---|---|
শাহিদ কপুর | হায়দার মীর | রাজকুমার হ্যামলেট |
তাবু | গজলা মীর | গারট্রুড |
শ্রদ্ধা কাপুর | অর্শিলা লোন | ওফেলিয়া |
নরেন্দ্র ঝা | ডঃ হিলাল মীর | রাজা হ্যামলেট |
কে কে মেনন | খুররম মীর | ক্লদিয়াস |
ইরফান খান | রুহদার | ভূত |
কুলভূষণ খরবন্দ | হুসেন মীর | |
ললিত পামিরু | পারভেজ লোন | পলোনিয়াস |
আশীষ বিদ্ধার্থী | ব্রিগেডিয়ার টি এস মূর্তি | |
আমির বশির | লিয়াকত লোন | লায়েরতিস |
সুমিত কৌল | সালমান ১ | রোজেনক্রানৎজ |
রজত ভগত | সালমান ২ | গিল্ডেনস্টার্ন |
অশ্বত ভাট | জহুর হুসেন | |
মোহাম্মদ আলী শাহ | আর্মি মেজর | |
অংশুমান মালহোত্রা | কিশোর হায়দার |
হায়দার | ||||
---|---|---|---|---|
কর্তৃক অ্যালবাম | ||||
মুক্তির তারিখ | ২০ আগস্ট ২০১৪ | |||
শব্দধারণের সময় | ২০১৩-১৪ | |||
ঘরানা | চলচ্চিত্রের গান | |||
দৈর্ঘ্য | ৪২:০২ | |||
সঙ্গীত প্রকাশনী | টাইমস মিউজিক ইউটিভি রেকর্ডস | |||
প্রযোজক | বিশাল ভারদ্বাজ | |||
বিশাল ভারদ্বাজ কালক্রম | ||||
|
হায়দার চলচ্চিত্রের মৌলিক গানের সুর ও আবহ সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন বিশাল ভারদ্বাজ। চলচ্চিত্রে নয়টি গান রয়েছে, যার সাতটি গানের গীত রচনা করেছেন গুলজার এবং "গুলো মে রং ভরে" ও "আজ কে নাম" গানের গীত রচনা করেছেন ফায়ায আহমেদ ফায়েজ। শাহিদ কপুর ও শ্রদ্ধা কাপুর ২০১৪ সালের ২০ আগস্ট রেডিও মির্চি স্টুডিওতে বিশাল ভারদ্বাজের সাথে চলচ্চিত্রের গান প্রকাশ করেন।[12] গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এবং ডিজিটাল অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ২ অক্টোবর।
নং. | শিরোনাম | কণ্ঠশিল্পী(রা) | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|---|
১. | "আও না" | বিশাল দাদলানি | ৪:১৬ |
২. | "বিসমিল" | সুখবিন্দর সিং | ৬:০৬ |
৩. | "খুল কভি" | অরিজিৎ সিং | ৬:০৯ |
৪. | "গুলো মে রং ভরে" | অরিজিৎ সিং | ৫:১৬ |
৫. | "এক অউর বিসমিল" | সুখবিন্দর সিং | ৪:০৩ |
৬. | "ঝেলুম" | বিশাল ভারদ্বাজ | ৪:২৭ |
৭. | "সো যাও" | বশির লোন, মুজামিল ভবানী, বশির ভবানী | ২:০৬ |
৮. | "দো জাহাঁ" | সুরেশ ওয়াড়কর, শ্রদ্ধা কাপুর | ৪:২৫ |
৯. | "আজ কে নাম" | রেখা ভারদ্বাজ | ৪:১৫ |
মোট দৈর্ঘ্য: | ৪২:০২ |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.