সূরা ইসরা
কুরআন শরীফের ১৭তম সূরা / From Wikipedia, the free encyclopedia
বনী-ইসরাঈল বা সূরা ইসরা (আরবি ভাষায়: سورة الإسراء) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১৭ তম সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ১১১ টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১২ টি। বনী-ইসরাঈল সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরা মুহাম্মাদ এর মেরাজের কথা, পিতা-মাতার ও আত্মীয়-স্বজনের হক, এতীমদের সম্পর্কে, ওয়াদা করার সম্পর্কে, নামায সম্পর্কে, রূহু সম্পর্কে কুরাইশদের প্রশ্ন, বলা হয়েছে।
শ্রেণী | মক্কী সূরা |
---|---|
নামের অর্থ | রাত্রির যাত্রা |
অন্য নাম | ইহুদী জাতি |
পরিসংখ্যান | |
সূরার ক্রম | ১৭ |
আয়াতের সংখ্যা | ১১১ |
পারার ক্রম | ১৫ |
রুকুর সংখ্যা | ১২ |
সিজদাহ্র সংখ্যা | ১ (১০৯ আয়াত) |
শব্দের সংখ্যা | ১,৫৫৯ |
অক্ষরের সংখ্যা | ৬,৪৮০ |
← পূর্ববর্তী সূরা | সূরা নাহল |
পরবর্তী সূরা → | সূরা কাহফ |
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ |
মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত সফরকে 'ইসরা' বলা হয় এবং সেখান থেকে আসমান পর্যন্ত যে সফর হয়েছে, তার নাম মে'রাজ। ইসরা অকাট্য আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। আর মে'রাজ সূরা নাজমে উল্লেখিত রয়েছে এবং অনেক মুতাওয়াতির হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। মে'রাজে গিয়ে মুহাম্মাদ তার উম্মতের জন্য প্রথমে পঞ্চাশ ওয়াক্তের নামাজ ফরয হওয়ার নির্দেশ হয়। অতঃপর তা হ্রাস করে পাঁচ ওয়াক্ত করে দেয়া হয়। এ দ্বারা সব এবাদতের মধ্যে নামাজের বিশেষ গুরুত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়। হরবী বলেনঃ ইসরা ও মে'রাজের ঘটনা রবিউস সানি মাসের ২৭ তম রাত্রিতে হিজরতের এক বছর পূর্বে ঘটেছে। ইবনে কাসেম সাহাবী বলেনঃ নবুওয়ত প্রাপ্তির আঠারো মাস পর এ ঘটনা ঘটেছে। মুহাদ্দেসগণ বিভিন্ন রেওয়ায়েত উল্লেখ করার পরে কোন সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করেননি। কিন্তু সাধারণভাবে খ্যাত এই যে, রজব মাসের ২৭ তম রাত্রি মে'রাজের রাত্রি।[1]