সুয়েজ উপসাগর

সুয়েজ উপসাগর (আরবী: خليج السويس, অনুবাদ, খলির অ-সুউয়িস; পূর্ববর্তী بحر القلزم, বাআর আল-কুলজুম, "সাগর সাগর") লাল সাগরের উত্তরের প্রান্তে একটি উপত্যকা, সিনাই উপদ্বীপের পশ্চিম অবস্থিত এখানকার ছোটখাট উপসাগর। সিনাই উপদ্বীপের পূর্বে রয়েছে আকাবা উপসাগর। এই উপসাগরটি সুয়েজ রিফ্ট বেসিনের তুলনামূলকভাবে অল্প বয়স্ক কিন্তু এখন নিষ্ক্রীয় উপসাগরের মধ্যে গঠিত হয়েছিল, যা প্রায় ২৬ মিলিয়ন বছর আগের। ^[1] এটি উত্তর পশ্চিম থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৯০ মাইল) উত্তর প্রসারিত করে, মিশরীয় শহর সুয়েজ শহর পর্যন্ত বিস্তৃত এবং এটি সুয়েজ খালের প্রবেশপথটি প্রসারিত করে। উপসাগরের মধ্য লাইনের সাথে আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের সীমান্তকে চীহ্নিত করে। ^[2] ফলে উপসাগরটির পূর্ব অংশ এশিয়া মহাদেশের অন্তর্গত এবং পশ্চিম অংশ আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্গত। সুয়েজ খালে প্রবেশদ্বার ও খনিজ তেল এবং গ্যাস ক্ষেত্রের উপরে অবস্থিত এই উপসাগরে। ^[3]

সুয়েজ উপসাগর
দৃশ্যমান এলাকায় সুয়েজ উপসাগর (ছবি, ছবিতে বামে), আকাবা উপসাগর (পূর্ব, ছবিতে ডানদিকে) এবং লোহিত সাগর (দক্ষিণে ছবির নিচের তলায়)। ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখের ছবি।
অবস্থান	মিশর
স্থানাঙ্ক	২৮°৪৫′ উত্তর ৩৩°০০′ পূর্ব
ধরন	উপসাগর
প্রাথমিক অন্তর্প্রবাহ	লোহিত সাগর
অববাহিকার দেশসমূহ	মিশর (আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশ)
সর্বাধিক দৈর্ঘ্য	৩১৪ কিমি (১৯৫ মা)
সর্বাধিক প্রস্থ	৩২ কিমি (২০ মা)
গড় গভীরতা	৪০ মি (১৩০ ফু)
সর্বাধিক গভীরতা	৭০ মি (২৩০ ফু)
জনবসতি	সুয়েজ

ভূগোল

উপসাগরীটি আফ্রিকা ও সিনাই উপদ্বীপের (এশিয়া) মধ্য দিয়ে লাল সাগরে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বাহু নিয়ে গঠিত। এটি ট্রিপল জংশন রিফ্ট সিস্টেমের তৃতীয় বাহু, দ্বিতীয় বাহু হচ্ছে আকাবা উপসাগর

গোবলে ​​প্রণালী থেকে (বিকল্প নাম: স্ট্রেট অফ জুবল) ^[4] উপসাগরটির উত্তর অংশে সুয়েজ শহর পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ১৯৫ মাইল (৩১৪ কিমি) এবং প্রস্থ ১২ থেকে ২০ মাইল (১৯ থেকে ৩২ কিলোমিটার)।

ব্যাপ্তি

ইন্টারন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফিক অর্গানাইজেশন উপসাগরের দক্ষিণ সীমা নির্ধারণ করে "রাশ মুহম্মদ (২৭ ° ৪৩' উত্তর) থেকে শাদওয়ান দ্বীপের দক্ষিণে (৩৪ ° ০২' পূর্ব) থেকে একটি লাইন দ্বারা এবং তারপর পশ্চিম দিকে একটি সমান্তরাল (২৭ ° ২৭ উত্তর) আফ্রিকা উপকূলে "।^[5]

ভূতত্ত্ব

মূল নিবন্ধ: সুয়েজ উপসাগর রিফট

গলফ পাললিক বেসিন স্তরবিজ্ঞান অধ্যায় অলিগোসিনের ক্লাস্টিক পাথর এবং কার্বনেটেটে প্রারম্ভিক প্যালোজোয়িক গঠিত, এবং স্নিরফ্ট এবং পিকোরিট মিওসিন থেকে হোলসিন ক্লাস্টারস এবং ইপপোরাইটস। ^{[6]:২৩৬} তিনটি বড় তেল ক্ষেত্র উপসাগরের মধ্যে রয়েছে। এল মরগান ১৯৬৪ সালে আবিষ্কৃত হয়, বেলাইম ১৯৫৫ সালে আবিষ্কৃত হয় এবং অক্টোবর ক্ষেত্রটি ১৯৭৭ সালে আবিষ্কৃত হয়। ^[6] অক্টোবর ক্ষেত্রটি ক্রিয়েটিস নুবিয়া গঠন, উচ্চ ক্রিটেসিয়াস নেজাজাত গঠন, মিওসিন নূকুল গঠনের এবং উচ্চ রদীয়স গঠনের মায়োসিন এসএসএল সদস্য। ^{[6]:২৩৬}

সুয়েজ খাল

এই উপসাগরের উত্তর অংশের সঙ্গে সুয়েজ খালের দক্ষিণ পওরান্ত যুক্ত রয়েছে। ভারত মহাসগর থেকে লোহিত সাগর হয়ে জাহাজ গুলি উপসাগরটির মাধ্যমেই সুয়েজ খাল হয়ে ভূমধ্যসাগরে প্রবেশ করে। ফলে এই উপসাগরটি সুয়েজ খালের সঙ্গে লোহিত সাগরে প্রবেশের প্রধান ও একমাত্র পথ।

বাস্তুসংস্থান

আরও তথ্য: ফার্সী উপসাগর § বন্যপ্রাণী

তথ্যসূত্র

1. http://geoinfo.amu.edu.pl/wpk/geos/GEO_2/GEO_PLATE_T-37.HTML Detailed geological information on the Gulf
2. "ISS EarthKAM: Images: Collections: Composite: Gulf of Suez, Egypt and Saudi Arabia"।^{[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]}
3. "USGS Open File Report OF99-50-A Red Sea Basin Province (Province Geology)"। ২৪ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৭।
4. "Madiq jubal"। Tageo.com database of geographic coordinate information।
5. "Limits of Oceans and Seas, 3rd edition" (পিডিএফ)। International Hydrographic Organization। ১৯৫৩। ৮ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
6. Lelek, J.J., Shepherd, D.B., Stone, D.M., and Abdine, A.S., 1992, October Field, In Giant Oil and Gas Fields of the Decade, 1978-1988, AAPG Memoir 54, Halbouty, M.T., editor, Tulsa: American Association of Petroleum Geologists, আইএসবিএন ০৮৯১৮১৩৩৩০

বহিঃসংযোগ

• Satellite photographs of the Gulf, and of the Suez Canal ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ মার্চ ২০০৫ তারিখে