সাফাভীয় সাম্রাজ্য
From Wikipedia, the free encyclopedia
সাফাভীয় সাম্রাজ্য, সাফাভীয় পারস্য বা সাফাভীয় ইরান (ফার্সি: شاهنشاهی صفوی শহানশহিয়ে সাফাভী) ছিলো ৭ম শতাব্দীর মুসলিমদের পারস্য বিজয়েরপরবর্তী অন্যতম বৃহৎ পারসিক সাম্রাজ্য যা;১৫০১ থেকে ১৭৩৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সাফাভীয় রাজবংশের দ্বারা শাসিত হয়েছিল।[26][27][28][29] এটিকে প্রায়শই আধুনিক ইরানের ইতিহাসের সূচনা [30] এবং অন্যতম বারুদীয় সাম্রাজ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[31] সাফাভীয় শাহগণ 'শিয়া ইসলামের' ইসনা আশারিয়া মতবাদকে সাম্রাজ্যের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল[32];আর তা ছিল ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মোড়।
এই নিবন্ধটি উইকিপিডিয়ার জন্য মানসম্পন্ন অবস্থায় আনতে পরিচ্ছন্ন করা প্রয়োজন। মূল সমস্যা হল: রচনাশৈলী। (ডিসেম্বর ২০২১) |
সাফাভীয় সাম্রাজ্য شاهنشاهی صفوی
| |||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১৫০১–১৭৩৬ | |||||||||||||||||||||||||||||||
প্রতীক[5]
| |||||||||||||||||||||||||||||||
শাহ প্রথম আব্বাসের শাসনামলে সাফাভীয় সাম্রাজ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||
অবস্থা | সাম্রাজ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||
রাজধানী | |||||||||||||||||||||||||||||||
প্রচলিত ভাষা | |||||||||||||||||||||||||||||||
ধর্ম | শিয়া ইসলাম (রাষ্ট্রধর্ম)[22] | ||||||||||||||||||||||||||||||
সরকার | রাজতন্ত্র | ||||||||||||||||||||||||||||||
শাহেনশাহ | |||||||||||||||||||||||||||||||
• ১৫০১–১৫২৪ | প্রথম ইসমাইল (প্রথম) | ||||||||||||||||||||||||||||||
• ১৭৩২–১৭৩৬ | তৃতীয় আব্বাস (সর্বশেষ) | ||||||||||||||||||||||||||||||
উজির-এ-আজম | |||||||||||||||||||||||||||||||
• ১৫০১–? | আমীর জাকারিয়া (প্রথম) | ||||||||||||||||||||||||||||||
• ১৭২৯–১৭৩৬ | নাদের কুলী বেগ (সর্বশেষ) | ||||||||||||||||||||||||||||||
আইন-সভা | রাষ্ট্রসভা | ||||||||||||||||||||||||||||||
ঐতিহাসিক যুগ | প্রারম্ভিক আধুনিক যুগ | ||||||||||||||||||||||||||||||
• সফিউদ্দীন আর্দাবিলী কর্তৃক সফবিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠা | ১৩০১ | ||||||||||||||||||||||||||||||
• প্রতিষ্ঠা | ২২ ডিসেম্বর[23] ১৫০১ | ||||||||||||||||||||||||||||||
১৭২২ | |||||||||||||||||||||||||||||||
• নাদের শাহের নেতৃত্বে পুনর্বিজয় | ১৭২৬–১৭২৯ | ||||||||||||||||||||||||||||||
• বিলুপ্ত | ৮ মার্চ ১৭৩৬ | ||||||||||||||||||||||||||||||
• নাদের শাহের অভিষেক | ৮ মার্চ ১৭৩৬[24] | ||||||||||||||||||||||||||||||
মুদ্রা | তুমান, আব্বাসি (জর্জীয় আবাজিসহ), শাহী[25]
| ||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||
বর্তমানে যার অংশ |
সাফাভীয় রাজবংশের সূচনা হয়েছিল সুফিবাদের সফবিয়া তরিকা থেকে, যা আজারবাইজান অঞ্চলের আর্দাবিল শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়। তারা কুর্দি বংশোদ্ভূত ইরানি রাজবংশ ছিল[33] তবে তাদের শাসনকালে তারা তুর্কমেন,[34] জর্জীয়,[35] সির্কাসীয়,[36][37] এবং পন্তীয় গ্রীকদের[38] বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। সাফাভীয়রা তাদের আর্দাবিলের ঘাঁটি থেকে বৃহত্তর ইরানের কয়েকটি অংশের উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে এবং এসকল অঞ্চলের ইরানি আত্মপরিচয় পুনরুদ্ধার করে।[39] এভাবে 'সাফাভীয়রা' সাসানীয় সাম্রাজ্যের পর প্রথম দেশীয় রাজবংশ হয়ে ওঠে;যারা সরকারিভাবে ইরান নামের একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে।[40]
১৫০১ থেকে ১৭২২ সাল পর্যন্ত 'সাফাভীয়রা' শাসন ক্ষমতায় ছিল (১৭২৯ থেকে ১৭৩৬ সাল পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত পুনর্জয়ের অভিজ্ঞতা হয়েছিল) এবং ক্ষমতার সর্বোচ্চ সীমায় তারা অধুনা ইরান, আজারবাইজান, বাহরাইন, আর্মেনিয়া, পূর্ব জর্জিয়া, রাশিয়াসহ উত্তর ককেশাসের কিছু অংশ, ইরাক, কুয়েত এবং আফগানিস্তানের পাশাপাশি তুরস্ক, সিরিয়া, পাকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করেছিল। ১৭৩৬ সালে পতন সত্ত্বেও তারা যে উত্তরাধিকার রেখে গিয়েছিল;তা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে একটি অর্থনৈতিক দুর্গ হিসাবে ইরানের পুনরুত্থান, রোধন ও সমন্বয়ের ভিত্তিতে একটি দক্ষ রাষ্ট্র ও আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, স্থাপত্য উদ্ভাবন এবং সাফাভীয় শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতায় অবদান রেখেছিল। সাফাভীয়রা ইরানের পাশাপাশি ককেসাস, আনাতোলিয়া এবং মেসোপটেমিয়ার প্রধান অংশ জুড়ে শিয়া ইসলাম ছড়িয়ে দিয়েছিল যার ছাপ আজও টিকে আছে।