Loading AI tools
ঐতিহাসিক ঘটনা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মুসলিমদের পারস্য বিজয় (আরবদের ইরান বিজয় বলেও পরিচিত[2]) ৬৫১ সালে সাসানীয় সাম্রাজ্যের পতন ঘটায়। এই বিজয়ের ফলে ইরানে জরস্ট্রিয়ান ধর্মের প্রভাব কমে আসে। মুসলিমরা ৬৩৩ সালে সাসানীয় অঞ্চলে আক্রমণ করে। এসময় খালিদ বিন ওয়ালিদ বর্তমান ইরাকের অংশ মেসোপটেমিয়ায় হামলা চালান। তৎকালীন সময় এই অঞ্চল ছিল সাসানীয় সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র।[3] সিরিয়ার রোমান যুদ্ধক্ষেত্রে খালিদকে বদলি করে পাঠানো হলে ইরানিদের পাল্টা আক্রমণে মুসলিমরা তাদের অবস্থান থেকে পিছু হটে। ৬৩৬ সালে সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাসের নেতৃত্বে দ্বিতীয় পর্যায়ের অভিযান শুরু হয়। কাদিসিয়ার যুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে সাসানীয় অঞ্চলে মুসলিমরা স্থায়ীভাবে আধিপত্য লাভ করে। এরপর জগ্রোস পর্বতমালা রাশিদুন খিলাফত ও সাসানীয় সাম্রাজ্যের মধ্যে প্রাকৃতিক বাধা ও সীমানা হিসেবে কাজ করে। পারসিয়ানদের ক্রমাগত আক্রমণ চলতে থাকায় ৬৪২ সালে খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাব সাসানীয় সাম্রাজ্যে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণের নির্দেশ দেন। ৬৫১ সালে এই জয় সম্পন্ন হয়। পারস্য বিজয় খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাবের অন্যতম বড় অর্জন ছিল। তিনি মদিনা থেকে এই অভিযানের সফল দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন যা তার সামরিক ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় বহন করে।[4]
মুসলিমদের পারস্য বিজয় | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: মুসলিম বিজয় | |||||||||
মুসলিমদের অভিযানের সময় পারস্য ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানচিত্র | |||||||||
| |||||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||||
সাসানীয় সাম্রাজ্য ককেসিয়ান আলবেনিয়া (৬৩৩–৬৩৬) আরব খ্রিষ্টান (৬৩৩–৬৩৭) কানারাঙ্গিয়ান (৬৩৩–৬৫১) ইসপাহবুদান পরিবার (৬৩৩–৬৫১) হেফথালিয় (৬৫১–৬৫৪) মিহরান পরিবার (৬৩৩–৬৫১) কারিন বংশ (৬৩৩–৬৫৪) দাবুয়ি রাজবংশ (৬৪২–৬৫১) |
রাশিদুন খিলাফত কানারাঙ্গিয়ান (৬৫১ এর পর) | ||||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||||
তালিকা দেখুন
|
তালিকা দেখুন
|
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.