শোণিতপুর জেলা
আসাম রাজ্যের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আসাম রাজ্যের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
শোণিতপুর (অসমীয়া: শোণিতপুৰ জিলা) ভারতের আসাম রাজ্যের একটি প্রশাসনিক জেলা৷ জেলাটির প্রধান সদর হচ্ছে তেজপুর৷ ২০১১ সনের লোকগণনা[1] অনুসারে নগাঁও জেলা এবং ধুবড়ী জেলার পর তৃতীয় জনবহুল জেলা৷ শোণিতপুর জেলা প্রাকৃতিকভাবে অতি সুন্দর একটি জেলা এবং বিভিন্ন জাতি-জনগোষ্ঠীর মিলনভূমি৷ শোণিতপুর জেলা বিভিন্ন ঐতিহাসিক সময়ের সাক্ষী৷
শোণিতপুর জেলা শোণিতপুৰ জিলা | |
---|---|
District | |
মানচিত্রে শোণিতপুর জেলা | |
মানচিত্রে শোণিতপুর জেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৬.৬৩° উত্তর ৯২.৮° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
জেলা | আসাম |
প্রশাসনিক বিভাগ | উত্তর আসাম বিভাগ |
১৮৩৫ সালে দারাং হিসেবে এবং ১৯৮৩ আলাদা জেলাতে বিভক্ত | ১৯৮৩ |
সদর দপ্তর | তেজপুর |
আয়তন | |
• মোট | ৫,৩২৪ বর্গকিমি (২,০৫৬ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৪৮ মিটার (১৫৭ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৯,২৫,৯৭৫ |
• জনঘনত্ব | ৩৬০/বর্গকিমি (৯৪০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• সরকারি | অসমীয়া |
সময় অঞ্চল | IST (ইউটিসি+5:30) |
ওয়েবসাইট | sonitpur |
সাহিত্যিক ভাবে শোণিতপুরের অর্থ হচ্ছে তেজের নগর৷ প্রধানৎ শোণিতপুর নামটি এসেছে সংস্কৃত 'শোণিত' (অর্থ তেজ) এবং 'পুর' (অর্থ নগর) থেকে৷ এই স্থানটির পুরনো নাম বর্তমান এটির সদর এলাকা তেজপুর হিসাবেও জানা গেছিল৷ তেজপুর শব্দটিও এসেছে সংস্কৃত 'তেজ' এবং 'পুর' শব্দ থেকে৷ শোণিতপুর নামটির ঐতিহাসিক কাহিনী একই ধরনের৷[2]
শোণিতপুর জেলা ব্রহ্মপুত্র নদীর উত্তর দিকে মোট ৫৩২৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে ছড়িয়ে আছে৷ বর্তমানে জেলাটি ২৬° ৩০’ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৭° ০১’ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২° ১৬’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৯৩° ৪৩’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মাঝে অবস্থিত৷
জেলাটির চারিসীমা হ'ল[2]-
উত্তরে- অরুণাচল প্রদেশ
দক্ষিণে- ব্রহ্মপুত্র নদী, নগাঁও জেলা এবং গোলাঘাট জেলা
পূর্বে- লখিমপুর জেলা এবং
পশ্চিমে- দরং জেলা
২০১১ সনের লোকগণনা অনুসারে জেলার মোট জনসংখ্যা হচ্ছে ১,৯২৫,৯৭৫৷[1] ২০০১-২০১১ সনের ভিতরে জনসংখ্যার হার হচ্ছে ১৫.৬৭%[1]৷ জেলার শিক্ষিত হার হচ্ছে ৬৯.৯৬%৷ এখন জিলার হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোক সংখ্যা হচ্ছে ১,২৮৭,৬৪৬ জন এবং ইসলাম ধর্মাবলম্বী লোকসংখ্যা ২৬৮,০৭৮ (১৫.৯৪) জন৷
জিলার বসবাস করা বৃহৎ সংখ্যক মানুষের মাতৃভাষা হ'ল অসমীয়া ভাষা৷ কিন্তু বহু স্থানে মিশ্রিত ভাষার ব্যবহার হয়৷ অন্যান্য কিছু সংখ্যক মানুষে কার্বি ,বড়ো, নেপালী, বাংলা এবং হিন্দী ভাষা ব্যবহার করে৷[2] বর্তমানে চাবাগানসমূহে বাস করা বৃহৎ সংখ্যক শ্রমিকের মাঝে মিশ্রিত রূপের অসমীয়া ভাষার ব্যবহার দেখা যায়৷
জিলার প্রধান সদর হচ্ছে তেজপুর৷ এটি ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে, ১৮১ কিলোমিটার গুয়াহাটির পূর্বে অবস্থিত৷ বর্তমান শোণিতপুর জেলার প্রধান নগর তেজপুর ঐতিহাসিক সম্পদের কারণে ভারত বিখ্যাত৷
শোণিতপুর জেলার তিনটা মহকুমা হ'ল তেজপুর, বিশ্বনাথ এবং গহপুর৷
গহপুর ভারত-এর উত্তর-পূর্ব রাজ্য আসামের শোণিতপুর জেলার একটা মহকুমা এবং এখন ইতিহাস প্রসিদ্ধ নগর৷ এখানেই স্বাধীনতা সংগ্রামী কনকলতা বড়ুয়ার জন্ম হয়৷ নগরটি ৫২ নং রাষ্ট্রীয় ঘাই পথর দ্বারা অরুণাচল প্রদেশের রাজধানী ইটানগর-এর নিকটে সংযোগ হয়ে আছে৷ নিকটে ব্রহ্মপুত্র নদীর দ্বারা মাজুলী এবং যোরহাট-এর নিকটে সংলগ্ন হয়ে আছে৷
এখানকার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি নাম তলত উল্লেখ করা হ’ল।
তেজপুর শহরের ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে অবস্থিত ঐতিহাসিক গড়। এই গড়টি তেজপুরের বাণরাজাই নির্মাণ করেছিল। কালিকা পুরাণ-এ উল্লেখ আছে যে শত্রুর পরা নগরটি সুরক্ষিত করে রাখবার জন্য বাণাসুরে সমগ্র নগরটিকে আগুনের বেড়া দিয়ে রেখেছিল। সেই থেকে গড়টির নাম অগ্নিগড় হ'ল। অগ্নিগড়ের সংরক্ষণের দায়িত্ব ১৯২৮ সনে তেজপুর পৌরসভার পৌরপতি পদ্মনাথ গোহাঞি বড়ুয়ায়ে ব্রহ্মপুত্র নদ-এর পারে থাকা টিলাটিতে একটি উদ্যান প্রতিষ্ঠা করে। বর্তমান তেজপুর পারিপার্শ্বিক সমিতির তত্বাবধানত এখন উদ্যান পরিচালনা করছে।
তেজপুর নগেরর প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিমে দ-পর্বতীয়া নামের গাঁয়ে অবস্থিত। ১৯২১-১৯২২ সনে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব জরিপ বিভাগের খনন কার্যের পরে দ-পর্বতীয়ায় শিলের মন্দিরের ওপরে আহোম যুগের শিল এবং ইট-নির্মিত দেয়ালের গাঁথনি উদ্ধার হয়। ঠাহর করা হয়েছে যে এই স্থানে বাণরাজা হরি-হর-এর মিলন ভূমির স্মৃতি চিরযুগমীয়া করে রাখিবার জন্যে ’হরি হরাত্মক’ শিব প্রতিষ্ঠা করে মন্দির নির্মাণ করাইছিলেন। বর্তমানের শিলর দ্বার এই মন্দিরের ভগ্নাবশেষ। কোনো কোনো প্রত্নতত্ববিদে এটিকে গুপ্ত যুগ-এর ঐতিহাসিক পুরনো স্মৃতি চিহ্ন বুলি মনে করে থাকে। এই স্থান ভারতীয় পুরাতত্ত্ব জরিপ বিভাগের দ্বারা সংরক্ষিত করা হয়েছে।[3]
বিশ্ববিদ্যালয় : তেজপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়
মহাবিদ্যালয়:
উচ্চ মাধ্যমিক/উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়:
কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান :
অনান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান :
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.