রোহতাস জেলা
বিহারের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বিহারের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
রোহতাস জেলা (হিন্দি: रोहतास ज़िला; উর্দু: روہتاس ضلع) হলো ভারতের বিহার রাজ্যের ৩৮টি জেলার অন্যতম।
রোহতাস জেলা रोहतास ज़िला, روہتاس ضلع | |
---|---|
বিহারের জেলা | |
বিহারে রোহতাসের অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | বিহার |
প্রশাসনিক বিভাগ | পাটনা |
সদরদপ্তর | সাসারাম |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্র | সাসারাম, কারাকাট |
আয়তন | |
• মোট | ৩,৮৪৭.৮২ বর্গকিমি (১,৪৮৫.৬৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২৯,৬২,৫৯৩ |
• জনঘনত্ব | ৭৭০/বর্গকিমি (২,০০০/বর্গমাইল) |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৭৬.৫৯% |
• লিঙ্গানুপাত | ৯৫০ |
প্রধান মহাসড়ক | ২ নং জাতীয় সড়ক |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
রোহতাস জেলা পাটনা বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা। এই জেলার আয়তন ৩৮৫০ বর্গকিলোমিটার। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে এই জেলার জনসংখ্যা ২,৯৬২,৫৯৩। ভোজপুরি ও হিন্দি ভাষা এই অঞ্চলে প্রচলিত।
রোহতাস জেলার সদর সাসারাম একটি ঐতিহাসিক শহর। রোহতাস জেলার রোহতাসগড় দুর্গটি মধ্যযুগে একটি গুরুত্বপূর্ণ দুর্গ ছিল।
বর্তমানে এই জেলাটি রেড করিডোরের অন্তর্গত।
রোহতাস জেলার আয়তন ৩,৮৫১ বর্গকিলোমিটার (১,৪৮৭ মা২)।[1] আয়তনের দিক থেকে এই জেলা সলোমন দ্বীপপুঞ্জের মালাইটা দ্বীপের প্রায় সমান।[2]
রোহতাস জেলার আয়তন ছোটো হলেও এই জেলার ভৌগোলিক গঠনের মধ্যে বৈচিত্র্য দেখা যায়। কৈমুর পর্বতমালা ও রোহতাস মালভূমি এই জেলার একাংশে অবস্থিত। মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে উৎপন্ন সোন নদী (গঙ্গার শাখানদী) এই রাজ্যের অধিকাংশ অঞ্চলে একটি প্লাবন সমভূমি সৃষ্টি করেছে। বিন্ধ্য পর্বতমালার অংশ কৈমুর পর্বতমালার যে অংশটি এই জেলায় অবস্থিত সেটি কিছুকাল আগে পর্যন্ত গভীর বনে আচ্ছন্ন ছিল। এখন অবশ্য দ্রুত বন কেটে ফেলা হয়েছে জ্বালানির কাঠ সংগ্রহের জন্য। রোহতাস জেলার সমভূমি অঞ্চল বেশ উর্বর এবং সেই কারণে ঘন জনবসতিবহুল।
রোহতাস জেলা তিনটি মহকুমায় বিভক্ত। এগুলি হল: সাসারাম, বিক্রমগঞ্জ ও দেহরি।
১৯৮০ সাল পর্যন্ত রোহতাস জেলার ডালমিয়ানগর ছিল ভারতের অন্যতম প্রধান শিল্পনগরী। এখানে চিনি, সবজি তেল, সিমেন্ট, কাগজ ও কেমিক্যাল কারখানা ছিল। কিন্তু এগুলি এখন বন্ধ। ডাকাতি, দুষ্কৃতিদের দৌরাত্ম্য ও স্থানীয় মাফিয়াদের অত্যাচারের ফলে এই অঞ্চলের শিল্পের অবনতি ঘটে। ২০০৮-০৯ সালের বাজেটে ডালমিয়ানগরে একটি রেল কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব রাখা হয় এবং ডালমিয়ানগর কারখানাটির প্রাঙ্গণ রেল মন্ত্রক কর্তৃক অধিগৃহীত হয়।
দেহরি অন সোন একটি বিখ্যাত কয়লা ডিপো। সারা উত্তর ভারত থেকে খদ্দেররা এখানে আসে কয়লা কিনতে। এখানে ৬.৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রও রয়েছে।
২০০৬ সালে ভারত সরকারের পঞ্চায়েত মন্ত্রক দেশের ২৫০টি সর্বাধিক অনগ্রসর জেলাগুলির তালিকায় রোহতাস জেলার নাম নথিভুক্ত করে।[3] বিহারের যে ৩৬টি জেলা অনগ্রসর অঞ্চল অনুদান তহবিল কর্মসূচির অধীনে অনুদান পায়, রোহতাস জেলা তার মধ্যে অন্যতম।[3]
এই জেলায় সোন নদীর উপর পাশাপাশি নির্মিত সড়ক ও রেলসেতু দুটি জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন। ১৯৬৩-৬৫ সালে গ্যামন ইন্ডিয়া কর্তৃক নির্মিত সড়ক সেতুটি এশিয়ার দ্বিতীয় দীর্ঘতম সড়ক সেতু। এই সেতুটির নাম জওহর সেতু। এই সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩০৬১ মিটার। পাটনায় গঙ্গা নদীর উপর নির্মিত মহাত্মা গান্ধী সেতু (দৈর্ঘ্য ৫৪৭৫ মিটার) নির্মিত হওয়ার আগে পর্যন্ত এটিই ছিল এশিয়ার দীর্ঘতম সড়ক সেতু। নেহেরু সেতু নামে পরিচিত রেল সেতুটি ভারতের দ্বিতীয় দীর্ঘতম রেল সেতু।
সাসারাম শহরটি রেল ও সড়ক পথে রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত। সাসারাম ও দেহরি অন সোন জেলার দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। প্রায় সব প্রধান ট্রেনই এখানে থামে। গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড এই দুই শহরের উপর দিয়েই গিয়েছে।
২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, রোহতাস জেলার জনসংখ্যা ২,৯৬২,৫৯৩।[4] জনসংখ্যার হিসেবে এই জেলা আর্মেনিয়া রাষ্ট্র[5] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি রাজ্যের প্রায় সমান।[6] আয়তনের হিসেবে ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে এই জেলার স্থান ১২৭তম।[4] জেলার জনঘনত্ব ৭৬৩ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (১,৯৮০ জন/বর্গমাইল)।[4] ২০০১-২০১১ দশকে এই জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০.২২%।[4] রোহতাস জেলায় লিঙ্গানুপাতের হার প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯১৪ জন মহিলা।[4] এই জেলার সাক্ষরতার হার ৭৬.৫৯%,[4] যা বিহার রাজ্যে সর্বাধিক।
১৯৮২ সালে কৈমুর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য গঠিত হলে রোহতাস জেলার কিয়দংশ এই অভয়ারণ্যের মধ্যে পড়ে। এই অভয়ারণ্যটির আয়তন ১,৩৪২ কিমি২ (৫১৮.১ মা২)।[7]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.