Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন: ১৯৭২ হতে বর্তমান এই প্রবন্ধ-টিতে ১৯৭২ হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনের পর্যায়ক্রমিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।
এই নিবন্ধটিতে যদিও তথ্যসূত্রের একটি তালিকা, সম্পর্কিত পাঠ বা বহিঃসংযোগ রয়েছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও এটির তথ্যসূত্রগুলি অস্পষ্ট, কারণ এটিতে নির্দিষ্ট বাক্য বা অনুচ্ছেদকে সমর্থনকারী অভ্যন্তরীণ তথ্যসূত্র প্রদান করা হয়নি। (সেপ্টেম্বর ২০১৩) |
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন : ১৯৭২ হতে বর্তমান | |
---|---|
অবস্থান | বাংলাদেশ |
কারণ |
|
পদ্ধতি |
|
১৯৭২ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হয়। বিশেষ করে জহির রায়হানের মা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। [4]
১৯৭৯ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হয়।[5]
ডা. এম এ হাসানের নেতৃত্বে শহীদ লেফটেন্যান্ট সেলিম মঞ্চ হতে আন্দোলন শুরু হয়।[6]
১৯৯১ সালের ২৯শে ডিসেম্বর গোলাম আযমকে জামায়াতে ইসলামী তাদের দলের আমীর ঘোষণা করলে বাংলাদেশে জনবিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। বিক্ষোভের অংশ হিসাবে ১৯৯২ সালের ১৯শে জানুয়ারি ১০১ জন সদস্য বিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয় জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে। তিনি হন এর আহ্বায়ক। এর পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী প্রতিরোধ মঞ্চ, ১৪টি ছাত্র সংগঠন, প্রধান প্রধান রাজনৈতিক জোট, শ্রমিক-কৃষক-নারী এবং সাংস্কৃতিক জোটসহ ৭০টি সংগঠনের সমন্বয়ে পরবর্তীতে ১১ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৯২ সালে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’ গঠিত হয়। সর্বসম্মতিক্রমে এর আহ্বায়ক নির্বাচিত হন জাহানারা ইমাম। এই কমিটি ১৯৯২ সালে ২৬শে মার্চ ’গণআদালত’ এর মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একাত্তরের নরঘাতক গোলাম আযমের ঐতিহাসিক বিচার অনুষ্ঠান করে। গণআদালাতে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে দশটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপিত হয়। ১২ জন বিচারক সমন্বয়ে গঠিত গণআদালতের চেয়ারম্যান জাহানারা ইমাম গোলাম আযমের ১০টি অপরাধ মৃত্যুদণ্ডযোগ্য বলে ঘোষণা করেন।
২০০৬ এ আন্দোলনের ডাক দেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম।
২০০৭ - এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জরুরি অবস্থার হুমকির মধ্যেও সরকারি বাঙলা কলেজ -এর শিক্ষার্থীবৃন্দ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ও বাঙলা কলেজ বধ্যভূমিতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলনের সূচনা করে এবং পর্যায়ক্রমে মানববন্ধন, প্রতীকী অনশন, সমাবেশ, পথসভা, মিছিল, নিরবতা পালন, প্রতীকী বেদিতে পুষ্প অর্পণ ইত্যাদি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে। [7][8][9][10][11] সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগে, নেতৃত্বে ও সমন্বয়ে শুরু হওয়া চলমান এই আন্দোলনে কলেজের জাতীয় অঙ্গনের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠন সুদৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করে। [12][13][14][15][16] ২০০৭ হতে ২০১০ পর্যন্ত রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালনের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডিজিটাল আন্দোলন সবসময়ই অব্যাহত রাখে। [17][18][19][20][21]
২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শাহবাগে ফেব্রুয়ারির ৫ই তারিখ শুরু হয়। এই দিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত আসামী আব্দুল কাদের মোল্লার বিচারের রায় ঘোষণা করে। কবি মেহেরুন্নেসাকে হত্যা, আলুব্দি গ্রামে ৩৪৪ জন মানুষ হত্যা সহ মোট ৬টি অপরাধের ৫টি প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে। কিন্তু এতোগুলো হত্যা, ধর্ষণ, সর্বোপরী গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডকে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ মেনে নিতে পারেনি। রায়ের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকার শাহবাগে জড়ো হতে শুরু করে এবং এর অনুসরণে একসময় দেশটির অনেক স্থানেই সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয় ও এই আন্দোলনের মুখপাত্র ও নেতা হলেন ডা. ইমরান এইচ সরকার। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সহিংস গণ-আন্দোলন।।[22][23]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.