যুদ্ধকালীন যৌন সহিংসতা
From Wikipedia, the free encyclopedia
যুদ্ধকালীন যৌন সহিংসতা বলতে সাধারণত যুদ্ধ, সশস্ত্র সংঘাত অথবা সামরিক দখলদারিত্বের সময় যোদ্ধাদের দ্বারা সংঘটিত ধর্ষণ এবং অন্যান্য যৌন সহিংসতাকে বুঝানো হয়। সাধারণত যুদ্ধলব্ধ সামগ্রীর অংশ হিসেবে এটা ঘটে থাকে, তবে জাতিগত সংঘাতের ক্ষেত্রে এর বৃহত্তর সমাজতাত্ত্বিক উদ্দেশ্য থাকে। যুদ্ধকালীন যৌন সহিংসতায় গণধর্ষণ এবং বস্তুর সাহায্যে ধর্ষণও অন্তর্ভুক্ত হয়। এটি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সংঘটিত যৌন সহিংসতার ঘটনা থেকে পৃথক[1][2][3]। কোনো দখলদার শক্তি কর্তৃক দখলকৃত ভূখণ্ডের নারীদের পতিতাবৃত্তি কিংবা যৌন দাসত্বে বাধ্য করাটাও যুদ্ধকালীন যৌন সহিংসতার অন্তর্গত।
যুদ্ধ বা সশস্ত্র সংঘাতের সময় প্রায়ই মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের অংশ হিসেবে শত্রুকে অপমানিত করার উদ্দেশ্যে ধর্ষণকে অস্ত্রর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠিকে আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য ধর্ষণকে ব্যবহার করা হলে সেটিকে গণহত্যা এবং জাতিগত নির্মূলকরণ হিসেবে গণ্য করা হয়। এ ধরনের অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির জন্য আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে, কিন্তু সবেমাত্র ১৯৯০-এর দশক থেকে এই আইনের ব্যবহার শুরু হয়েছে[4]।