মেখলিগঞ্জ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক
পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমার একটি ব্লক উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমার একটি ব্লক উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি বিভাগে অবস্থিত কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমার অবস্থিত একটি ব্লক হলো মেখলিগঞ্জ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক। ব্লকটির ব্লকসদর চ্যাংড়াবান্ধা-তে অবস্থিত৷[1][2]
মেখলিগঞ্জ মেখলিগঞ্জ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক | |
---|---|
সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক | |
ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৬.৩৫° উত্তর ৮৮.৯২° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | কোচবিহার |
সরকার | |
• ধরন | সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক |
আয়তন | |
• মোট | ৩১৯.১৭ বর্গকিমি (১২৩.২৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১,৫৫,২৫০ |
• জনঘনত্ব | ৪৯০/বর্গকিমি (১,৩০০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | বাংলা, ইংরাজী |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
লোকসভা নির্বাচন কেন্দ্র | জলপাইগুড়ি |
বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্র | মেখলিগঞ্জ |
ওয়েবসাইট | coochbehar |
কোচবিহার জেলা মূলত নিম্ন ডুয়ার্স অঞ্চলে অবস্থিত। এবং জলঢাকা নদীকে প্রমাণ ধরে কোচবিহার সমতলভূমি কে পূর্ব এবং পশ্চিম দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। পশ্চিম দিকে অবস্থিত সমতলভূমি অর্থাৎ মেখলিগঞ্জ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকটি তুলনামূলকভাবে অধিক উচ্চতা বিশিষ্ট এবং জমি পশ্চিম থেকে পূর্বে সামান্য ঢালু এবং ঢিবিযুক্ত। এই ব্লকের নদ-নদীগুলি উত্তর থেকে দক্ষিণ-পূর্বে দিকে প্রবাহিত। নদী গুলি হল যথাক্রমে, সিমলাজান, জলঢাকা, সুটুঙ্গা, তিস্তা এবং ধরলা নদী।[3]
মেখলিগঞ্জ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এর উত্তর দিকে রয়েছে ধুপগুড়ি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক (জলপাইগুড়ি জেলা), উত্তর-পশ্চিম দিকে রয়েছে ময়নাগুড়ি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক (জলপাইগুড়ি জেলা), পশ্চিম দিকে রয়েছে জলপাইগুড়ি (জলপাইগুড়ি জেলা) ও হলদিবাড়ী সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, উত্তর-পূর্ব দিকে রয়েছে মাথাভাঙ্গা ১ ও মাথাভাঙ্গা ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, আন্তর্জাতিকভাবে ব্লকটির দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলা এবং দক্ষিণ দিকে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলা ও নীলফামারি জেলার ডিমলা উপজেলা রয়েছে।[4][5]
মেখলিগঞ্জ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকটির সর্বমোট গ্রামীণ ক্ষেত্রফল ৩১৯. ১৭ বর্গকিলোমিটার৷ [2] এখানে একটি পঞ্চায়েত সমিতি, আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত, ৯৫ টি গ্রাম সংসদ, ১৮৭ টি মৌজা এবং ১৩৭ টি জনাধিষ্ঠিত গ্রাম রয়েছে। [6] মেখলিগঞ্জ (আংশিক) ও কুচলিবাড়ী পুলিশ থানাদুটি এই ব্লকে পরিষেবা দান করে। [7]
মেখলিগঞ্জ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি হলো; বাগডোকরা ফুলকাডাবরি, ভোটবাড়ী, চ্যাংড়াবান্ধা, জামালদহ, কুচলিবাড়ী, নিজতরফ, রাণীরহাট এবং উচলপুকুরি।[8]
২০১১ খ্রিস্টাব্দের ভারতের জনগণনা অনুসারে মেখলিগঞ্জ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মোট জনসংখ্যা ১,৫৫,২৫০ জন, যারমধ্যে ৪,৪৮৩ জন শহরবাসী ও গ্রামীণ জনসংখ্যা ১,৫০,৭৬৭ জন৷ ব্লকটিতে ৮০,০৫২ জন পুরুষ এবং ৭৫,১৯৮ জন মহিলা অর্থাৎ প্রতি হাজার পুরুষে ৯৩৯ জন মহিলা থাকেন। ছয় বৎসর অনূর্ধ্ব শিশু সংখ্যা ২১,৪১২। ব্লকের ৭১.২৪ শতাংশ অর্থাৎ ১,১০,৫৯৫ জন তপশিলি জাতি এবং ১.২৮ শতাংশ অর্থাৎ ১,৯১৮ জন তপশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। [9][10]
২০১১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা অনুযায়ী মেখলিগঞ্জ ব্লকে একটি জনগণনা শহর রয়েছে, তা হলো:
এছাড়াও এই ব্লকে অবস্থিত চার হাজারেরও অধিক জনসংখ্যা বিশিষ্ট গ্রাম গুলি হল: শৌলমারী (৫৪১৮), পূর্ব ধুলিয়া বৈদিয়াহাটী (৬০২৪), উচলপুকুরি (১২৮৫৮), উত্তর ভোটবাড়ী (৯৬৬৪) এবং কামত চন্দ্রবান্ধা (৬৯৭৯)।[9]
২০০১ খ্রিস্টাব্দে ব্লকটির জনসংখ্যা ছিল ১,৩২,৮৫৯ জন। ২০০১ থেকে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মেখলিগঞ্জ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৬.৮৫ শতাংশ। ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময়ের পর ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের দহগ্রাম ইউনিয়ন ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়৷
মেখলিগঞ্জ মহকুমার দুটি ব্লক ও দুটি পুরসভা শহরে প্রচলিত ভাষা, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও তাদের শতকরা হার নিম্নরূপ,
মেখলিগঞ্জ মহকুমাটিতে সর্বাধিক প্রচলিত ভাষাটি হলো বাংলা যা সমগ্র মহকুমার ২৮২৭৫০ জনের মধ্যে ২৭৭০৫৯ (৯৭.৯৯%) জনের মাতৃভাষা ৷
ক্রম | সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের নাম | সর্বমোট জনসংখ্যা - ২০১১ | সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা | দ্বিতীয় সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা | তৃৃতীয় সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা | চতুর্থ সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা | অন্যান্য ভাষাসমূহের জনসংখ্যা | পাই চিত্র |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | মেখলিগঞ্জ | ১,৫৫,২৫০ | বাংলা - ১,৫২,১৫৮ (৯৮.০১%) | হিন্দি - ১,৯২৯ (১.২৪%) | অন্যান্য - ১১৬৩ | |||
২ | হলদিবাড়ী | ১,০৩,৯৬৯ | বাংলা - ১,০৩,৩০১ (৯৯.৩৬%) | হিন্দি - ৫৪৫ (০.৫২%) | অন্যান্য - ১২৩ | |||
* | মেখলিগঞ্জ পৌরসভা | ৯,১২৪ | বাংলা - ৮,৩৪৯ (৯১.৪৮%) | হিন্দি - ৭১৪ (৭.৮২%) | অন্যান্য - ৬৪ | |||
* | হলদিবাড়ী পৌরসভা | ১৪,৪০৪ | বাংলা - ১৩,২৫১ (৯২.০০%) | হিন্দি - ১,০৮৯ (৭.৫৬%) | অন্যান্য - ৬৪ |
ক্রম | সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের নাম | সর্বমোট জনসংখ্যা ২০১১ - ২,৮২,৭৫০ | হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ২,১৩,৩৬২ (৭৫.৪৬%) | ইসলাম ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ৬৮,৪৫৮ (২৪.২১%) | খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ৪২৬ | শিখ ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ৪৩ | বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ৪৬ | জৈন ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ২০৩ | অন্যান্য ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ২১২ | সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্ম ২০১১ - হিন্দু |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | মেখলিগঞ্জ | ১,৫৫,২৫০ | ১,২৪,৮২৯ (৮০.৪১%) | ২৯,৮৯৬ (১৯.২৬%) | ১১৭ | ১৪ | ৩৮ | ১৯৮ | ১৫৮ | হিন্দু |
২ | হলদিবাড়ী | ১,০৩,৯৬৯ | ৬৯,১৬৮ (৬৬.৫৩%) | ৩৪,৪৫৩ (৩৩.১৪%) | ২৮৪ | ২৮ | ২ | ৩ | ৩১ | হিন্দু |
* | হলদিবাড়ি পৌরসভা | ১৪,৪০৪ | ১২,০৮৬ (৮৩.৯১%) | ২,২৯৬ (১৫.৯৪%) | ১১ | ১ | ০ | ২ | ৮ | হিন্দু |
* | মেখলিগঞ্জ পৌরসভা | ৯,১২৭ | ৭,২৭৯ (৭৯.৭৫%) | ১,৮১৩ (১৯.৮৬%) | ১৪ | ০ | ৬ | ০ | ১৫ | হিন্দু |
এই ব্লকে নিউ মাল-চ্যাংড়াবান্ধা-নিউ কোচবিহার লাইনের(বেঙ্গল ডুয়ার্স রেলওয়ে) রেলপথ রয়েছে এবং এই পথে অবস্থিত রেলস্টেশন দুটি হলো:[11][12]
এই ব্লকের উপর দিয়ে ১২ এ নং রাজ্য সড়ক দীর্ঘায়িত। [5]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.