মালাপ্পুরম জেলা
কেরলের একটি জেলা, ভারত / From Wikipedia, the free encyclopedia
মালাপ্পুরম জেলা (মালয়ালম: മലപ്പുറം ജില്ല; টেমপ্লেট:IPA-ml), কেরলর ১৪ টি জেলার মধ্যে একটি, যা ৭০ কিমি (৪৩ মা) সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন৷ জেলাসদর ও প্রশাসনিক দপ্তর মালাপ্পুরম শহরের নামানুসারে জেলাটি নামাঙ্কিত৷ কেরালার সর্বাধিক জনবহুল জেলা এটি যা রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ নিয়ে গঠিত।[13] ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই জুন তারিখে এই জেলাটি আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন করা হয়। জেলাটি ৩,৫৫৪ কিমি২ (১,৩৭২ মা২) বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত যা এটিকে ক্ষেত্রফলের ভিত্তিতে কেরালার তৃতীয় বৃহত্তম জেলা করে তুলেছে। কেরালার একমাত্র এই জেলারই পশ্চিম দিকে রয়েছে আরব সাগর এবং পূর্ব সীমান্তে রয়েছে পশ্চিমঘাট পর্বতমালা।
মালাপ্পুরম জেলা | |
---|---|
জেলা | |
ডাকনাম: কেরালা ফুটবলের মক্কা,[1][2][3] পর্বতচূড়ার শহর[4] | |
কেরালায় মালাপ্পুরম জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ১১.০৩° উত্তর ৭৬.০৫° পূর্ব / 11.03; 76.05 | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | কেরল |
জেলা গঠন | ১৬ জুন ১৯৬৯; ৫৪ বছর আগে (1969-06-16) |
প্রতিষ্ঠাতা | কেরল সরকার |
সদর | মালাপ্পুরম |
তালুক | তালিকা
|
সরকার | |
• জেলা সমাহর্তা | কে. গোপালকৃষ্ণণ, আইএএস[5] |
• জেলা পুলিশ অধীক্ষক | ইউ. আবদুল করিম, আইপিএস[6] |
• জেলা পঞ্চায়েত সভাপতি | এ. পি. উণ্ণিকৃষ্ণণ (আইইউএমএল)[7] |
• লোকসভা সাংসদ |
|
আয়তন | |
• জেলা | ৩,৫৫৪ বর্গকিমি (১,৩৭২ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | তৃতীয় |
সর্বোচ্চ উচ্চতা (মুকুর্তি) | ২,৫৯৪ মিটার (৮,৫১০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১৮) | |
• জেলা | ৪৪,৯৪,৯৯৮[8] |
• ক্রম | প্রথম |
• জনঘনত্ব | ১,২৬৫/বর্গকিমি (৩,২৮০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ৪৪.১৮%[9] |
• মহানগর | ১৭,২৯,৫২২[9] |
বিশেষণ | মালাপ্পুরমীয়[10] |
জনতত্ত্ব | |
• ভাষা (২০১১) | |
• ধর্ম (২০১১) | |
মানবোন্নয়ন | |
• লিঙ্গানুপাত (২০১১) | ১০৯৮ ♀/১০০০ ♂[9] |
• সাক্ষরতার হার (২০১১) | ৯৩.৫৭%[9] |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | আইএন-কেএল |
যানবাহন নিবন্ধন |
|
ওয়েবসাইট | malappuram |
মালাপ্পুরম জেলাটিতে রয়েছে সাতটি তহশীল এগুলি হল যথাক্রমে - এরনাড় (মঞ্জেরী),কোণ্ডোট্টি, নীলম্বুর, পেরিন্তালমন্না, পোন্নানি, তিরূর এবং তিরুরঙ্গাড়ি। জেনেটির অর্থনীতি মূলত পরিযায়ীদের উপর নির্ভরশীল। [14] কেরালা রাজ্যের মধ্যে মালাপ্পুরম জেলাটির মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ সর্বনিম্ন। ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের তথ্য অনুসারে কেরালা রাজ্যের স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের সর্বমোট পরিমাণে এই জেলাটি এর্নাকুলাম এবং তিরুবনন্তপুরম জেলার পরে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। [15] জেলার সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা মালায়ালাম। সংখ্যাভিত্তিক ধর্মাবলম্বী ক্রম অনুযায়ী প্রথমে আসে ইসলাম ধর্মাবলম্বী, হিন্দু এবং খ্রিস্টান ছাড়াও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা এই জেলায় সংখ্যালঘু। এটি ভারতের সর্বপ্রথম ডিজিটাল স্বাক্ষর এবং সাইবার স্বাক্ষর জেলা।[16][17] রাজনৈতিকভাবে জেলাটি ভারতীয় ইউনিয়ন মুসলিম লীগ বা আইইউএমএল-এর গড় বলা যেতে পারে।[18]
১.৭ মিলিয়ন জনসংখ্যা বিশিষ্ট মালাপ্পুরমমহানগর অঞ্চল জনসংখ্যার ভিত্তিতে কেরালার চতুর্থ এবং সমগ্র ভারতের ২৫তম বৃহত্তম শহরাঞ্চল।[19] ২০১১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা অনুসারে এই জেলার জনসংখ্যার ৪৪.২০% লোক শহরাঞ্চলে বাস করেন। ২০০১ থেকে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই জেলার শহরবাসী জনসংখ্যার পরিমাণ বিপুল হারে বৃদ্ধি পায়, এই বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ৪১০.২১%।[20] ভারতীয় দ্রুতগতিতে শহরায়ন হওয়া জেলাগুলির মধ্যে এই জেলাটি অগ্রগণ্য।[21]
ব্রিটিশ ভারতের মালাবার জেলায় অবস্থিত মালাপ্পুরম শহরটি ছিল পূর্বতন ব্রিটিশ সেনাদের সদর দপ্তর। এটি ছাড়া ওই জেলায় ব্রিটিশ বিভাগীয় সেনার সদরদপ্তর গুলির ছিল তালসেরি, কালিকট, পালঘাট, এবং কোচিন বন্দর।[22] মধ্যযুগীয় প্রাক্কালে এই জেলাটি ছিল কেরালার চারটি বিখ্যাত রাজবংশের বাসভূমি, কেরালায় আধিপত্য বিস্তার করা এই চারটি রাজবংশই যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। এই জেলার পেরুম্বড়প্পু বা পেরুম্বড়প্পু স্বরূপম ছিল কোচিন সাম্রাজ্যের রাজাদের রাজবাড়ী এবং কালিকটের জমিদার রাজার বসত বাড়ী ছিল এই জেলারই নেদিইরুপ্পুতে।