Loading AI tools
দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ও ম্যাচ রেফারী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মাইকেল জন প্রোক্টর (ইংরেজি: Mike Procter; জন্ম: ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৬) নাটাল প্রদেশের ডারবানে জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ও বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ফাস্ট বোলার ও আক্রমণধর্মী ব্যাটসম্যান হিসেবে ইংল্যান্ডের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিজের সক্ষমতা মেলে ধরেছিলেন। ১৯৭০ থেকে ১৯৮০-এর দশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গন থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বহিষ্কারাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭০ সালে উইজডেন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। এছাড়াও, ১৯৬৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ষসেরা ক্রিকেটারে ভূষিত হন মাইক প্রোক্টর।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মাইকেল জন প্রোক্টর | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ডারবান, নাটাল প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | প্রোক, প্রোকি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ডব্লিউসি প্রোক্টর (বাবা), এডব্রিউ প্রোক্টর (ভাই), এসি প্রোক্টর (কাকাতো ভাই) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক | ২০ জানুয়ারি ১৯৬৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৫ মার্চ ১৯৭০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৫-১৯৮১ | গ্লুচেস্টারশাযার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৫-১৯৮৯ | নাটাল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৯/৭০ | ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭০-১৯৭৬ | রোডেশিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ |
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর ক্রিকেট খেলা পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল কর্তৃক ম্যাচ রেফারি মনোনীত হয়েছিলেন তিনি। এ দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন বিতর্কের সাথে জড়িত হয়ে পড়েন।
গ্লুচেস্টারশায়ার প্রকাশ করেছে যে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ মরসুম শুরু হওয়া পর্যন্ত মাইক প্রক্টরের প্রতি সম্মানের চিহ্ন হিসাবে ক্লাবের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে, যা 5 এপ্রিল 2024 এ শুরু হতে চলেছে। গ্লুচেস্টারশায়ারে তার প্রাক্তন সতীর্থ ডেভিড গ্রেভেনি প্রকাশ করেছেন যে প্রক্টর, তার খেলার ক্যারিয়ার জুড়ে, তার হাঁটুতে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে খেলেছেন।
12 ফেব্রুয়ারী 2024-এ, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পরে তাকে ডারবানের নেটকেয়ার উমহলাঙ্গা হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল। এটি প্রকাশিত হয়েছিল যে তার স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে এবং একটি নিয়মিত অস্ত্রোপচারের সময় তার পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। প্রক্টর ডারবানে ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালে ৭৭ বছর বয়সে হার্ট সার্জারির সময় জটিলতার কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মারা যান।
দক্ষিণ আফ্রিকার হিল্টন কলেজে অধ্যয়ন করেন। ১৯৬৩ ও ১৯৬৪ সালে নাটালের হয়ে নাটফিল্ড সপ্তাহ ও দক্ষিণ আফ্রিকান স্কুলের হয়ে খেলেছেন। তার ভাই এডব্রিউ প্রোক্টর, কাকাতো ভাই এসি প্রোক্টর এবং বাবা ডব্লিউসি প্রোক্টর - তারা সকলেই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন।
মারিয়ানা গুডউইন নাম্নী ১৯৬২ সালের বর্ডার জুনিয়র মহিলা এককের চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ী টেনিস খেলোয়াড়ের সাথে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন প্রোক্টর। গুডউইন প্যাম ওয়াটারমেয়ারকে ৬-২, ৬-০ ব্যবধানে পরাজিত করে শিরোপা লাভ করেছিলেন।[1] এছাড়াও, তিনি ১৯৬৭ সালের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপের মহিলাদের এককের তৃতীয় রাউন্ডে, ১৯৬৭ ও ১৯৬৮ সালের ফরাসি চ্যাম্পিয়নশিপের মহিলাদের এককে এবং ১৯৬৮ সালের ফরাসি ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে ও ১৯৬৮ সালের ইউ.এস. ওপেনের মহিলাদের এককের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিলেন।
ম্যাচ রেফারি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করার পর তিনি প্রায়শই বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছেন।[2] ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে ওভাল টেস্টের বল টেম্পারিংয়ের কারণে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে পাকিস্তান দল চা-বিরতির পর ফিল্ডিং করতে অস্বীকৃতিকালীন তিনি ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করছিলেন।[2] ২০০৭-০৮ মৌসুমে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির দ্বিতীয় টেস্টে প্রোক্টর বর্ণবাদের অভিযোগে হরভজন সিংকে তিন খেলার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে জাস্টিস হ্যানসেন এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিষয়টি অভিযোগ আকারে এনেছেন ও তিনি ছাড়া অন্য কোন সাক্ষী না থাকায় তাকে উদ্দেশ্য করে হরভজনের ‘বানর’ শব্দ ব্যবহারের বিষয়টি বাতিল হয়ে যায়। এছাড়াও, জাস্টিস হ্যানসেন মাইকেল ক্লার্কের সাক্ষী হবার বিষয়টি প্রশ্ন আকারে তুলে ধরেন।[3] ফলশ্রুতিতে এ ধরনের সমস্যাগুলোর সমাধানে ব্যর্থতার জন্য প্রোক্টর বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হন। এছাড়াও, সুনীল গাভাস্কার প্রোক্টরের অস্ট্রেলিয়া প্রীতিরও সমালোচনা করেছেন।[4]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.