Loading AI tools
ভারতীয় দার্শনিক ধারণা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মহাবাক্য (সংস্কৃত: महावाक्य) বা মহাবাক্যসমূহ হল অদ্বৈত বেদান্ত কর্তৃক নির্ধারিত উপনিষদের মহাবানী।
মহাবাক্যের সংখ্যা অসংখ্য হলেও চারটিকে প্রধান হিসাবে বিবেচনা করা হয়।[1][2] অদ্বৈত অনুসারে, সকল মহাবাক্য সংক্ষেপে একই বিশ্বজনীন বার্তা প্রেরণ করে।
মহাবাক্যের সংখ্যা অসংখ্য হলেও ৪টি বেদের ৪টি স্তবকে মহাবাক্য ধরা হয়।[3]
নং | মহাবাক্য | সংস্কৃত | অর্থ | উৎস |
---|---|---|---|---|
১ | প্রজ্ঞানং ব্রহ্ম | प्रज्ञानम् ब्रह्म | প্রজ্ঞা[টীকা 1] হল ব্রহ্ম,[টীকা 2] বা ব্রহ্ম হলেন প্রজ্ঞা[ওয়েব 2] | ঋগ্বেদের ঐতরেয় উপনিষদ ৩.৩[7] |
২ | অয়ং আত্মা ব্রহ্ম | अयम् आत्मा ब्रह्म | আমিই সেই আত্মা যা ব্রহ্ম | অথর্ববেদের মুণ্ডক উপনিষদ, দ্বিতীয় মুণ্ডক[8][9] |
৩ | তৎ ত্বং অসি | तत् त्वम् असि | তুমিই সেই | সামবেদের ছান্দ্যোগ্য উপনিষদ ৬.৮.৭[10] |
৪ | অহং ব্রহ্মাস্মি | अहम् ब्रह्मास्मि | আমিই ব্রহ্ম, বা আমি দিব্য[6] | যজুর্বেদের বৃহদারণ্যক উপনিষদ ১.৪.১০[11] |
নং | মহাবাক্য | অর্থ | উৎস |
---|---|---|---|
১ | ব্রহ্ম সত্য জগন্মিথ্যা | ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা | বিবেকচূড়ামণি |
২ | একমেবাদ্বিতীয়ং ব্রহ্ম | ব্রহ্ম এক ও অদ্বিতীয় | ছান্দোগ্য উপনিষদ ৬.২.১[12] |
৩ | সোহং | তিনিই আমি | ঈশোপনিষদ |
৪ | সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম | এই সবই ব্রহ্ম | ব্রাহ্মণ, ছান্দোগ্য উপনিষদ ৩.১৪.১[13] |
৫ | এতদ্বই তৎ | এটা সত্যই, এটাই | কঠোপনিষদ |
"প্রজ্ঞানং ব্রহ্ম" (সংস্কৃত: प्रज्ञानम् ब्रह्म) হল ঋগ্বেদের ঐতরেয় উপনিষদে পাওয়া মহাবাক্য।[14] [15] পরমাত্মার চেতনা হল "প্রজ্ঞানং ব্রহ্ম"।
সবকিছুই চৈতন্য (চেতনা) দ্বারা উৎপন্ন হয়, এবং সবকিছুই চেতনার অপর নাম। জগৎ চেতনা দ্বারা পরিচালিত হয়। চেতনাই কারণ, চেতনাই ব্রহ্ম।[4][16]
"অয়ং আত্মা ব্রহ্ম" (সংস্কৃত: अयम् आत्मा ब्रह्म) হল অথর্ববেদের মুণ্ডক উপনিষদে পাওয়া মহাবাক্য।[8][9]
অন্যান্য মহাবাক্যের মতো, এটিও ব্রহ্ম ও আত্মার একত্বকে ব্যাখ্যা করে, যা অদ্বৈত দর্শনের মূল নীতি।[17] গুরু গীতা অনুসারে, "অয়ং আত্মা ব্রহ্ম" হল অভ্যাস বাক্য বা অনুশীলনের বিবৃতি।[17]
"তৎ ত্বং অসি" (সংস্কৃত: तत् त्वम् असि) হল সামবেদের ছান্দোগ্য উপনিষদে পাওয়া মহাবাক্য।[18][19] অন্যান্য মহাবাক্যের মতো, এটি ব্রহ্ম ও আত্মার একত্বকেও ব্যাখ্যা করে যা অদ্বৈত দর্শনের মূল নীতি।
"অহং ব্রহ্মাস্মি" (সংস্কৃত: अहम् ब्रह्मास्मि) হল যজুর্বেদের বৃহদারণ্যক উপনিষদ পাওয়া মহাবাক্য।[11] উক্তিটি অদ্বৈত বেদান্তের মূল দর্শন।[20] আত্মা শুধুমাত্র মন বা শরীরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি সমগ্র সীমাহীন মহাবিশ্বকে প্রকাশ করে।[20] এর উপলব্ধিই চূড়ান্ত লক্ষ্য, বেদান্তের আধ্যাত্মিক পথের লক্ষ্য।[20]
বাক্যগুলিতে অন্তর্দৃষ্টিকে সমর্থন করে ব্যাখ্যা করা হয় যে স্বতন্ত্র আত্মা (জীব) যা পৃথক অস্তিত্ব হিসাবে আবির্ভূত হয়, তা (আত্মা) মূলত অংশ এবং সমগ্র (ব্রহ্ম) এর প্রকাশ।
অদ্বৈত বেদান্ত অনুসারে মহাবাক্য আত্মা ও পরব্রহ্মের সর্বোচ্চ মিলনের দ্যোতক।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] অদ্বৈত অনুসারে সন্ন্যাস দীক্ষায় দীক্ষিত ব্যক্তিরা মহাবাক্য মন্ত্র হিসেবে শিক্ষা করেন "যাতে তাঁরা সেই সর্বোচ্চ অবস্থায় পৌঁছতে পারেন যে অবস্থায় ব্যক্তির আত্মা অবিচ্ছেদ্যভাবে ব্রহ্মে লীন হতে পারে"।[21]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.