মদিনা
ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্র শহর / From Wikipedia, the free encyclopedia
মদিনা (আরবি: المدينة المنورة আল-মদিনা আল-মুনাওয়ারাহ) পশ্চিম সৌদি আরবের হেজাজ অঞ্চলের একটি প্রসিদ্ধ শহর এবং আল-মদিনা প্রদেশের রাজধানী। মক্কার পরে মুসলিমদের দ্বিতীয় পবিত্র শহর যেখানে ইসলামের সর্বশেষ নবী ও রাসুল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পবিত্র রওজা শরীফ অবস্থিত। এটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হজরত মুহাম্মাদ (সা) হিজরতের পরে মদিনায় বসবাস করেছিলেন। নানান ঐতিহাসিক কারণে মদিনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ও পবিত্র এই নগরীটি।
মদিনা المدينة The Prophet's City مدينة النبي The Prophetic City المدينة النبوية The Kind طيبة The Kindest of Kind طيبة الطيبة | |
---|---|
শহর | |
আল মাদিনা আল মানোওয়ারা المدينة المنورة | |
Location of Medina | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°২৮′ উত্তর ৩৯°৩৬′ পূর্ব | |
রাষ্ট্র | সৌদি আরব |
প্রদেশ | মদিনা অঞ্চল |
প্রথমে বসতি স্থাপন | 9th century BC |
হিজরত | ৬২২ এডি (১ এএইচ) |
Saudi conquest of Hejaz | ৫ ডিসেম্বর ১৯২৫ |
নামকরণের কারণ | মুহাম্মাদ |
Districts |
|
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
• শাসক | Madinah Regional Municipality |
• নগরপ্রধান | Fahad Al-Belaihshi[1] |
• প্রাদেশিক গভর্নর | রাজপুত্র ফয়সাল বিন সালমান আল সৌদ |
আয়তন | |
• শহর | ৫৮৯ বর্গকিমি (২২৭ বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ২৯৩ বর্গকিমি (১১৭ বর্গমাইল) |
• গ্রামীণ | ২৯৬ বর্গকিমি (১১৪ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৬২০ মিটার (২,০৩০ ফুট) |
সর্বোচ্চ উচ্চতা (উহুদ পর্বত) | ১,০৭৭ মিটার (৩,৫৩৩ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১০) | |
• শহর | ১১,৮৩,২০৫ |
• ক্রম | 4th |
• জনঘনত্ব | ২,০০৯/বর্গকিমি (৫,২১২/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ৭,৮৫,২০৪ |
• পৌর এলাকার জনঘনত্ব | ২,৬৮০/বর্গকিমি (৬,৯৪৯/বর্গমাইল) |
• গ্রামীণ | ৩,৯৮,০০১ |
বিশেষণ | Madani مدني |
সময় অঞ্চল | Arabia Standard Time (ইউটিসি+৩) |
ওয়েবসাইট | amana-md |
ইসলামের প্রাচীনতম ও ঐতিহাসিক তিনটি মসজিদ যেমন মসজিদে নববী, কুবা মসজিদ (যেটি ইসলামের ইতিহাসে প্রথম মসজিদ ) এবং মসজিদ আল কিবলাতাইন (যে মসজিদে মুসলমানদের কিবলা পরিবর্তন হয়েছিল) অবস্থিত। হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে তার সাহাবী আবু বকর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুকে নিয়ে পবিত্র মক্কা হতে মদিনার উদ্দেশ্যে হিজরত করেন। উমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু এর খিলাফতকালে সে স্মৃতির উপর ভিত্তি করে ইসলামি বর্ষপঞ্জি প্রতিষ্ঠিত হয় যা হিজরী সাল নামে পরিচিতি লাভ করে। হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় হিজরতের পরে যে পবিত্র কুরআনের বাণী নাযিল হয়েছিল তাকে মাদানী সূরা বলা হয়।
হেজাজের মতো, মদিনা তার তুলনামূলকভাবে সংক্ষিপ্ত অস্তিত্বের মধ্যে অনেকগুলো ক্ষমতার অধীনে ছিল। অঞ্চলটি ইহুদি-আরবীয় উপজাতিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে (৫ম খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত), আউস ও খাযরাজ (মুহাম্মদের আগমন পর্যন্ত), মুহাম্মাদ এবং রাশিদুন (৬২২-৬৬০ খ্রিস্টাব্দ), উমাইয়া (৬৬০-৭৪৯ খ্রিষ্টাব্দ), আব্বাসীয় (৭৪৯-১২৫৪ খ্রিস্টাব্দ), মিশরের মামলুক (১২৫৪-১৫১৭ খ্রিস্টাব্দ), উসমানীয় (১৫১৭–১৮০৫ খ্রিস্টাব্দ), প্রথম সৌদি রাষ্ট্র (১৮০৫-১৮১১ খ্রিস্টাব্দ), মুহাম্মদ আলি পাশা (১৮১১–১৮৪০ খ্রিস্টাব্দ), দ্বিতীয়বারের জন্য উসমানীয়রা (১৮৪০-১৯১৮), হাশিমদের অধীনে মক্কা শরিফাত (১৯১৮-১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ) এবং অবশেষে বর্তমান সৌদি আরব সাম্রাজ্যের হাতে (১৯২৫-বর্তমান খ্রিস্টাব্দ)।[2]
জিয়ারতের জন্য পরিদর্শন করার পাশাপাশি, পর্যটকরা শহরের অন্যান্য বিশিষ্ট মসজিদ এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শন করতে আসে যেগুলো ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে যেমন উহুদ পর্বত, জান্নাতুল বাকি কবরস্থান এবং অন্যান্যদের মধ্যে সাত মসজিদ অন্যতম। সম্প্রতি, সৌদির হেজাজ বিজয়ের পর, সৌদিরা সুন্নি ইসলামের মধ্যে তাদের ওয়াহাবি বিশ্বাসের কারণে এই অঞ্চলে এবং এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি সমাধি ও গম্বুজ ধ্বংস করে।[3]