বৈজয়ন্তীমালা
ভারতীয় অভিনেত্রী / From Wikipedia, the free encyclopedia
বৈজয়ন্তীমালা বালি (তামিল: வைஜெயந்திமாலா பாலி; জন্ম: ১৩ আগস্ট, ১৯৩৬) তৎকালীন মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সী ত্রিপলিক্যান এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট ভারতীয় চলচ্চিত্রাভিনেত্রী, ভরতনাট্যম নৃত্যশিল্পী, কার্ণাটিক গায়িকা, নৃত্য নির্দেশিকা ও বিশিষ্ট সংসদ সদস্য।[1] ১৯৪৯ সালে তামিল ভাষায় নির্মিত ভাজকাই চলচ্চিত্রে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অভিষেক ঘটে তার। এরপর ১৯৫০ সালে তেলুগু চলচ্চিত্র জিভিথামে অভিনয় করেন বৈজয়ন্তীমালা। পরবর্তীকালে দক্ষিণ ভারতের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেত্রীর মর্যাদা লাভসহ বলিউডের স্বর্ণযুগে প্রবেশ করেন তিনি।
বৈজয়ন্তীমালা বালি | |
---|---|
জন্ম | বৈজয়ন্তীমালা রমন (1933-08-13) ১৩ আগস্ট ১৯৩৩ (বয়স ৯০)[1] |
অন্যান্য নাম | বৈজয়ন্তীমালা, বৈজয়ন্তী মালা, বৈজন্তীমালা, বৈজয়ন্তীমালা বালি |
পেশা | অভিনেত্রী, ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী, কার্ণাটিক গায়িকা, গল্ফার, রাজনীতিবিদ |
কর্মজীবন | ১৯৪৯-১৯৬৮ |
দাম্পত্য সঙ্গী | চমনলাল বালি (বি. ১৯৬৮–১৯৮৬)(মৃত্যু) |
সন্তান | সুচিন্দ্র বালি (জন্ম: ১৯৭৬) |
পিতা-মাতা | এম. ডি. রামস্বামী (বাবা) (প্রয়াত) বসুন্ধরা দেবী (মা) (প্রয়াত) |
পুরস্কার | পদ্মশ্রী, কালাইমামানি, সঙ্গীত নাটক একাডেমি পুরস্কার (আরও দেখুন) |
স্বাক্ষর | |
প্রায় দুই দশকব্যাপী বলিউড তারকাদের মধ্যে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ছিলেন।[2][3][4] প্রথম দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় তারকায় পরিণত হন ও অন্যান্যরা তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বলিউডের দিকে ধাবিত হয়।[5][6] বৈজয়ন্তীমালা নৃত্যকলায়ও পারঙ্গমতা দেখান এবং বলিউডে অর্ধ-ধ্রুপদী নৃত্যের অন্তর্ভূক্তিতে অন্যতম ভূমিকা রাখেন।[7][8] বেশকিছুসংখ্যক চলচ্চিত্রে নৃত্য সহযোগে অভিনয়ের কারণে তিনি 'টুইঙ্কল টোজ' পদবী লাভ করেন।[9][10] এছাড়াও তাকে হিন্দি সিনেমার অন্যতম প্রথম প্রমিলা চিত্রতারকাদের একজনরূপে গণ্য করা হয়ে থাকে। ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে তার বর্ণাঢ্যময় চলচ্চিত্র জীবনের কারণে তাকে 'নুমেরো ইউনো অভিনেত্রী' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।[4][11][12] বৈজয়ন্তীমালা তামিল, তেলুগু, হিন্দি কন্নড়, মোট চারটি ভাষাতে কাজ করেছেন। তাঁর প্রথম ছবি তামিলে ভাজকাই।