Loading AI tools
মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার একটি ইউনিয়ন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বিনোদপুর ইউনিয়ন বাংলাদেশের মাগুরা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
বিনোদপুর | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদ | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | মাগুরা জেলা |
উপজেলা | মহম্মদপুর উপজেলা |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | শিকদার মিজানুর রহমান (বাংলাদেশ আওয়ামীলিগ) |
আয়তন | |
• মোট | ১৪.৭০ বর্গকিমি (৫.৬৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩৬,৫৫০ |
• জনঘনত্ব | ২,৫০০/বর্গকিমি (৬,৪০০/বর্গমাইল) |
[1] | |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৯৮.৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৭৬৩১ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
বিনোদপুর ইউনিয়ন খুলনা বিভাগের মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার অন্তর্গত। মহম্মদপুর উপজেলা সদর হতে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ইউনিয়নের আয়তন ১৪.৭০ বর্গ কিলোমিটার।
বিনোদপুর ইউনিয়নটি অত্র অঞ্চলের প্রাচীন ইউনিয়ন। যতদুর জানা গিয়েছে, ১৮৭০ সালে বিনোদপুর প্রথম পঞ্চায়েত পদ্ধতির আওতায় আসে। বর্তমান পরিষদ ভবনটি ১৯৬৩ সালে নির্মিত হয়।
বিনোদপুর ইউনিয়নের ভূ-প্রকৃতি ও ভৌগোলিক অবস্থান এই এলাকার মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত এই ইউনিয়নের পার্শ্বে রয়েছে নবগঙ্গা নদী যার পূর্ব পাশে দীঘা ইউনিয়ন, দক্ষিনে রাজাপুর ইউনিয়ন, উত্তরে বগিয়া ইউনিয়ন এবং পশ্চিমে চাউলিয়া ইউনিয়ন অবস্হিত। এখানে ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মতই, তবুও কিছুটা বৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন কথ্য ভাষায় মহাপ্রাণধ্বনি অনেকাংশে অনুপস্থিত, অর্থাৎ ভাষা সহজীকরণের প্রবণতা রয়েছে। ইউনিয়নের আঞ্চলিক ভাষার সাথে সন্নিহিত যশোর, খুলনা ও ফরিদপুর এলাকার ভাষার অনেকটা সাযুজ্য রয়েছে। নবগঙ্গা নদীর গতিপ্রকৃতি এলাকার মানুষের আচার-আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, ভাষা, সংস্কৃতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
এই এলাকার ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় যে সভ্যতা বহুপ্রাচীন। সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বিনোদপুরের অবদানও অনস্বীকার্য। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব গনেশ ঘোষ এই বিনোদপুর ইউনিয়নের সন্তান।
বিনোদপুর ইউনিয়ন অত্র অঞ্চলের প্রাচীন ইউনিয়ন। স্থানীয় পর্যায়ের শাসন ব্যবস্থায় প্রথমে ছিল পঞ্চায়েত পদ্ধতি পরবর্তিতে আসে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতি। বর্তমানে চেয়ারম্যান- মেম্বার সমন্বিত পদ্বতি। সেই পঞ্চায়েত পদ্ধতির সময় থেকেই বিনোদপুরে স্থানীয় শাসন পদ্ধতি চালু হয়েছে। যতদুর জানা গিয়েছে ১৮৭০সালে বিনোদপুর প্রথম পঞ্চায়েত পদ্ধতির আওতায় আসে। বর্তমান পরিষদ ভবনটি ১৯৬৩ সালে নির্মিত হয়।
২০১১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী এখানকার লোকসংখ্যা ৩৭,০৭৯ জন (প্রায়)।
২০০১ এর শিক্ষা জরীপ অনুযায়ী এখানে শিক্ষার হার - ৯৮%। এখানে রয়েছে মোট ৩৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান -
ঘুল্লিয়া শতাব্দী প্রাচীন কালী বট বৃক্ষ। বিনোদপুর চৌরাস্তা থেকে ২ কি.মি. দুরে ঘুল্লিয়া বাজারে এটির অবস্থান।
জেলা সদর ও উপজেলা সদরের সংযোগ সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে বিনোদপুর ইউনিয়ন অবস্থিত। ঢাকার সহিত সরাসরি বাস সার্ভিস চালু আছে। মাগুরা এবং মহম্মদপুর উপজেলা থেকে বাস, টেম্পু, ভ্যান রিক্সা যোগে বিনোদপুরের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু আছে।
১। বিপ্লবী গনেশ ঘোষ (ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় যোদ্ধা)
২। বীর মুক্তিযোদ্ধা- আব্দুর রশিদ (সাবেক এমপি)
৩। প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা (উপ-উপাচার্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের)
৪। বীর মুক্তিযোদ্ধা- সাঈদুর রহমান (সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান)
৫। বীর মুক্তিযোদ্ধা- আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল (সাবেক সরকারী কর্মকর্তা)
৬। বীর মুক্তিযোদ্ধা- মুহাম্মদ আবুল হাশেম (সাবেক মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার)
৭। ইঞ্জি. নুরুজ্জামান (সাবেক প্রধান প্রকৌশলী জনস্বাস্থ্য)
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.