Loading AI tools
কর্ণাটকের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বিদার জেলাটি ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের উত্তরের অংশে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক জেলা। ভৌগোলিকভাবে এটি রাজ্যের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থানের কারণে এটিকে "রাজ্যের মুকুট" বলা হয়ে থাকে। জেলাটির উত্তর দিকে রয়েছে মহারাষ্ট্র রাজ্যের নান্দেড় জেলা, পূর্ব ও উত্তর-পূর্বে রয়েছে লাতুর জেলা, দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে ওসমানাবাদ জেলা, দক্ষিণে রয়েছে কর্ণাটকের গুলবার্গা জেলা, পূর্ব দিকে রয়েছে তেলেঙ্গানা রাজ্যের কামারেড্ডি জেলা ও উত্তর-পূর্ব দিকে রয়েছে সাঙ্গারেড্ডি জেলা৷
বিদার জেলা | |
---|---|
জেলা | |
কর্ণাটক রাজ্যের মধ্যে বিদর জেলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | কর্ণাটক |
Division | গুলবার্গা বিভাগ |
MP | Bhagwanth Khuba |
Constituency | One: বিদর লোকসভা কেন্দ্র |
সরকার | |
• শাসক | জেলা পঞ্চায়েত |
আয়তন[1] | |
• জেলা | ৫,৪৪৮ বর্গকিমি (৩১৩ বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা[1] | ১৬৫ বর্গকিমি (২,৫৮৬ বর্গমাইল) |
• গ্রামীণ | ৫,২৮৩ বর্গকিমি (২৪২ বর্গমাইল) |
• বনভূমি | ৪৩৬ বর্গকিমি (১৬৮ বর্গমাইল) |
• Land | ১,৫০,৯৮১ বর্গকিমি (৫৮,২৯৪ বর্গমাইল) |
উচ্চতা[2] | ৬১৫ মিটার (২,০১৮ ফুট) |
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ৭১৫ মিটার (২,৩৪৬ ফুট) |
জনসংখ্যা (2011)[1] | |
• জেলা | ১৭,০৩,৩০০ |
• আনুমানিক (2021)[3] | ১৯,২৭,৮২৮ |
• ক্রম | 287 (out of 640) |
• জনঘনত্ব | ৩১০/বর্গকিমি (৫,৪০০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা[1] | ৪,২৫,৯৫২ |
• পৌর এলাকার জনঘনত্ব | ১৬৫/বর্গকিমি (২,৫৮৬/বর্গমাইল) |
• গ্রামীণ[1] | ১২,৭৭,৩৪৮ |
• গ্রামীণ ঘনত্ব | ৫,২৮৩/বর্গকিমি (২৪২/বর্গমাইল) |
• পুরুষ জনসংখ্যা | ৮,৭০,৬৬৫ |
• পুরুষ জনসংখ্যা ঘনত্ব | ১৫৯/বর্গকিমি (৪১০/বর্গমাইল) |
• নারী জনসংখ্যা | ৮,৩২,৬৩৫ |
• নারী জনসংখ্যা ঘনত্ব | ১৫৩/বর্গকিমি (৪০০/বর্গমাইল) |
লিঙ্গানুপাত[1] | |
• per 1000 males | 956 females |
সাক্ষরতা[1] | |
• গড় | ৭০.৫১% |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+5:30) |
Pin Code | 585401/02/03 |
Pin Code | 585326/27/28/29/30 585411/12/13/14/16/17/18/19/21/36/43/44 |
Telephone Code | +৯১-৮৪৮২ |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | IND-KA |
যানবাহন নিবন্ধন |
|
Hobli(s) | 30 |
তালুক | Aurad, Basavakalyan, Bhalki, Humnabad, Chitgoppa, Kamalnagar, Hulsoor, Bidar |
গ্রাম পঞ্চায়েত | 186 |
MLA | 06 |
ওয়েবসাইট | bidar |
প্রচলিত লোককাহিনী অনুযায়ী বিদরকে মহাভারতের কালের বিদুরনগর এবং নল ও দময়ন্তীর প্রথম আলাপের স্থান হিসাবেও উল্লেখ করা হয়[4]। ঐতিহাসিকভাবে, জেলার একটি গৌরবময় অতীত ছিল। এটি মৌর্য, সাতবাহন, রাষ্ট্রকূট, চালুক্য, কালাচুরি, কাকাতিয়া, খলজি, বাহামানি, বড়িশাহী, মোগল এবং হায়দরাবাদের নিজাম দ্বারা শাসিত ছিল। একের পর এক শাসক দ্বারা লালিত সংস্কৃতি, চারুকলা এবং স্থাপত্য এর সমৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। একইভাবে এই অঞ্চলে বাসবেশ্বর এবং গুরু নানকের মতো সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কারকরাও সাম্যের ভিত্তিতে সামাজিক সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন[5]। দ্বাদশ শতাব্দীতে শিবশারনদের দ্বারা বিশাল বিপ্লব, এই ভূমিতে সামাজিক, সাক্ষরতা এবং ধর্মীয় ক্ষেত্রকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল।
প্রথম রাষ্ট্রকূট রাজধানী ছিল বর্তমান বিদর জেলার ময়ূরখণ্ডি (মোরখণ্ডি)। পরে প্রথম অমোঘবর্ষর রাজত্বকালে নিয়মিত রাজধানীটি বর্তমান কালবুর্গী জেলায় মান্যখেতা (মালখেদ) এ স্থানান্তরিত হয়।
বিদর জেলার কল্যাণী (বর্তমানে বাসবকল্যাণ নামে পরিচিত) পশ্চিম চালুক্যদের রাজধানী ছিল; তাদের রাজধানীর নামানুসারে কল্যাণী চালুক্যও বলা হত। পরবর্তীতে কলচুরিরাও কল্যাণীকে তাদের রাজধানী রূপে রেখেছিল।
পরবর্তীকালে, বিদার দেবগিরির সেভুনা যাদব, ওয়ারাঙ্গালের ককাতীয় সাম্রাজ্য, আলাউদ্দিন খিলজি এবং মুহাম্মদ বিন তুঘলকের অধীনে এসেছিল।
মোহাম্মদ বিন তুঘলকের যে জেনারেলরা সদ্য বিজয়ী দাক্ষিণাত্য অঞ্চলের ভাইসরয় হিসাবে মনোনীত হয়েছিল তারা সাম্রাজ্য থেকে আলাদা হয়ে আল্লাউদ্দিন হাসান গাঙ্গু বাহমান শাহের নেতৃত্বে বাহমানি সুলতানিয়াত গঠন করে।
বাহমনি রাজধানী কালবুর্গী বা কালুবার্গ (গুলবর্গা নামে পরিচিত এবং পরবর্তীকালে মুসলিম শাসকরা আহসানবাদ নামকরণ করেছিলেন) থেকে বিদারে (বাহামানীদের দ্বারা মোহাম্মদাবাদ নামকরণ করা হয়েছিল) স্থানান্তরিত করা হয়েছিল ১৪২৫ সালে। ১৫১৮ সালে বাহমানি সুলতানি ভাঙ্গনের সময়কাল অবধি বিদার রাজধানী হিসাবে অবস্থান করে। বাহমানি সালতানাত ভেঙে যে পাঁচটি স্বতন্ত্র সালতানাত তৈরি হয়, তাদের মধ্যে দাক্ষিণাত্য সুলতানির কেন্দ্র বিবেচিত হত বিদার।
১৬১৯ সালে বিদার সুলতানি পশ্চিমে বিজাপুর সুলতানি দ্বারা আক্রান্ত ও অধিকৃত হয় এবং ১৬৫৬ সালে যা মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য অভিযানের সময় মুঘল সাম্রাজ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়। আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পরে মুঘল সুবহদার প্রথম আসাফ জাহ, নিজাম-উল-মুলক উপাধি গ্রহণ করে বিদার অঞ্চলের শাসক হয়ে ওঠেন ।
ভারতের সমীক্ষা বিভাগের অস্থায়ী পরিসংখ্যান অনুসারে জেলার মোট ভৌগোলিক ক্ষেত্রফল ৫৫৪১ বর্গ কিলোমিটার; রাজ্যের জরিপ নিষ্পত্তি ও ভূমি রেকর্ডস এবং স্থানীয় রাজ্য অধিদফতরের হিসাবে ক্ষেত্রফল ৫৪৪৮ বর্গকিলোমিটার[5]
ভূপ্রাকৃতিকভাবে জেলাটি দুটি অঞ্চলে বিভক্ত হতে পারে, উত্তরাঞ্চলীয় নিম্ন ভূমি এবং দক্ষিণের উচ্চ জমি। দক্ষিণের উঁচু জমিগুলি বিদর মালভূমি রূপে পরিচিত, যা ল্যাটাইটাইট মৃত্তিকা দ্বারা গঠিত। গড় উচ্চতা সমুদ্রতল থেকে ৪২০ থেকে ৬৮৪ মিটার। স্থলভাগ সমতল, আস্তে আস্তে প্রশস্ত উপত্যকা এবং সমতল শীর্ষ মালভূমিতে উঠে যায়। জেলার দক্ষিণ অর্ধটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭১৫ মিটার উঁচু ।
পুরো জেলাটি দাক্ষিণাত্য মালভূমির একটি অংশ এবং বেশিরভাগ অংশ প্রস্তরীভূত লাভা দ্বারা গঠিত। জেলার উত্তরের অংশটি স্তূপাকার এবং বৃক্ষবিহীন , কালো মাটি এবং বেসালটিক শিলা দ্বারা গঠিত। পলি জমি সাধারণত মাঞ্জরা নদী এবং এর প্রধান উপনদীগুলির তীরে দেখা যায়।
বছর | জন. | ±% |
---|---|---|
১৯০১ | ৩,৫৭,৫৯৩ | — |
১৯১১ | ৪,২৫,৩৩৯ | +১৮.৯% |
১৯২১ | ৪,০০,৬০৬ | −৫.৮% |
১৯৩১ | ৪,৩৮,৬৯৫ | +৯.৫% |
১৯৪১ | ৫,১২,৮২৬ | +১৬.৯% |
১৯৫১ | ৫,৫১,০৪৮ | +৭.৫% |
১৯৬১ | ৬,৬৩,১৭২ | +২০.৩% |
১৯৭১ | ৮,২৪,০৫৯ | +২৪.৩% |
১৯৮১ | ৯,৯৫,৬৯১ | +২০.৮% |
১৯৯১ | ১২,৫৫,৭৯৯ | +২৬.১% |
২০০১ | ১৫,০২,৩৭৩ | +১৯.৬% |
২০১১ | ১৭,০৩,৩০০ | +১৩.৪% |
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী বিদর জেলার জনসংখ্যা ১,৭০৩,৩০০ জন [6] যা প্রায় গাম্বিয়া[7] রাষ্ট্রের জনসংখ্যা অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কা[8] রাজ্যের জনসংখ্যার সমতুল্য। জনসংখ্যার বিচারে ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে বিদরের স্থান ২৮৭তম। জেলায় জনসংখ্যার ঘনত্ব ৩১২ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৮১০ জন/বর্গমাইল) । ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে জেলার জনসংখ্যা-বৃদ্ধির হার ছিল ১৩.১৬ শতাংশ।[9] জেলার লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ জন পুরুষ পিছু ৯৫২ জন নারী এবং সাক্ষরতার হার ৭১.০১ শতাংশ[9]।
জেলাটিতে আটটি তালুক রয়েছেঃ বিদর, হুম্নাবাদ, ভালকি, ঔরদ, হুলসুর, ছিতগোপ্পা, কমলনগর, বাসবকল্যাণ।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.