বাল্যবিবাহ
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই বা বাল্যবয়সে বিয়ে / From Wikipedia, the free encyclopedia
বাল্যবিবাহ হল অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির আনুষ্ঠানিক অথবা অনানুষ্ঠানিক বিবাহ।[1] আইনত বিয়ের বয়স ১৮ বৎসর, বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে। কিন্তু বিশেষ ক্ষেত্রে অভিবাবকের অনুমতি সাপেক্ষে এই বয়সের আগেও বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়। যদিও আইন অনুযায়ী বিয়ের বয়স ১৮ বৎসর, তারপরও কিছু কিছু দেশের নিজস্ব প্রথাকেই আইনের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়।[2] বাল্যবিবাহে মেয়ে এবং ছেলে উভয়ের উপরই প্রভাব পড়ে। তবে মেয়েরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিশেষত নিম্ন আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কারণে।[3][4][5] বেশিরভাগ বাল্যবিবাহে দুজনের মধ্যে শুধু একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকে। বিশেষত মেয়েরাই বাল্যবিবাহের শিকার বেশি হয়। বাল্যবিবাহের কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রধানত - দরিদ্রতা, যৌতুক, সামাজিক প্রথা, বাল্যবিবাহ সমর্থনকারী আইন, ধর্মীয় ও সামাজিক চাপ, অঞ্চলভিত্তিক রীতি, অবিবাহিত থাকার শঙ্কা, নিরক্ষরতা এবং মেয়েদের উপার্জনে অক্ষম ভাবা।[6][7]
বিভিন্ন কারণেই বাল্যবিবাহের প্রচলন অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- দারিদ্রতা, নিরাপত্তাহীনতা, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণসমূহ। এখনও উন্নয়নশীল দেশসমূহ, যেমন, আফ্রিকার কিছু অংশ[8][9],দক্ষিণ এশিয়া,[10] দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া,[11][12] পশ্চিম এশিয়া,[13] লাতিন আমেরিকা [14] এবং ওশেনিয়া[15] প্রভৃতি দেশে বাল্যবিবাহ বহুল প্রচলিত। যাইহোক, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশগুলিতে আইনী ব্যতিক্রমগুলিতে ১৭ টি রাজ্যে ন্যূনতম বয়সের প্রয়োজন নেই।[16]
নাইজার, চাদ, মালি, ভারত, বাংলাদেশ, গিনিও মধ্য আফ্রিকার কিছু দেশে বাল্যবিবাহের হার সবচাইতে বেশি, যা প্রায় ৬০% এর উপর। ২০০৩-২০০৯ জরিপ অনুযায়ী, নাইজার, চাদ, বাংলাদেশ, মালি এবং ইথিওপিয়াতে ১৫ বছরের নিচে শিশুদের বাল্যবিবাহের হার ২০% এর উপর।[17][18]